চুম্বন
চুম্বন
সেদিন সন্ধ্যে নামার আগে একটুকরো রোদ্দুর কিনেছিলাম;
গোলাপের ঘ্রাণ নিয়ে ফিরেছিলাম আপন কক্ষে,
চন্দ্রালোকিত জ্যোৎস্নায় শুভ্রতা ছড়িয়েছিল নীলাকাশে,
যমুনার তীরে ভেসেছিল হাজারো সন্ধ্যাপ্রদীপ।
সৌন্দর্যের পান্ডুলিপি হাতে সেদিনও ব্যস্ত ছিলেন বিধাতা;
ধ্রুবতারাকে সঙ্গী করে তরি ভিড়েছিল তীরে,
নিশির আঁধারকে প্রগাঢ় করেছিল একরাশ ঝিঁঝিঁ পোকা,
প্রচন্ড উল্লাসে নদীময় তুফান উঠেছিল।
পাড়ার আটচালাটায় প্রবীণদের তর্ক থেমেছিল রাত্রি সাড়ে আটটায়,
পাশের বাড়ির ছেলেটার প্রাকৃতিক ভূগোল পড়া হয়েছিল সেদিন;
রথীন পিয়াসাকে খুঁজেছিল সেদিন নিষ্ঠাভরে,বিরহে,একান্তে
বেহাগের সুরে বসন্ত নেমেছিল সেই রাতে কৃষাণুর নীড়ে,
শব্দের মতো হাজারো স্বপ্ন এসেছিল সত্যি,
ভালোবাসা বেঁচে থাক আরও এক চুমুর দিব্যি।