ছ্যারাব্যারা এ্যালজেবরা
ছ্যারাব্যারা এ্যালজেবরা
ইঁটের গাঁদার নীচে গজিয়েছে বিলিতি ধনেপাতা,
সজনে গাছে ফুল এসেছে , কমেছে তাই পাতা ।
দশটা কড়াই,ছটা খুন্তি,দুটো ঝাঁঝরি আর কিছু হাতা,
চামচ আর কাঁটা চামচ কটা মনে নেই, ছাতার মাথা !
কাঁসার থালা বাসন কে আর মাজে, কাঁচ পছন্দ নয়,
লা অপালাও দেখি এখন , যখন তখন ফেঁটে যায়।
ম্যালামাইনে তো বাংলাদেশে দেখি পান্তাভাত খায়!
এদিক থেকে ষ্টিলের থালা-বাটি-গ্লাস কিন্তু মন্দ নয়,
ভাঙ্গেনা এসব অত সহজে যত বেশীই আছাড় খায় !
না আছে রূপ , না আছে ছিরি, অহঙ্কার ও নেই ভারী,
আচার আচরণ কেমন ? অনেকটা যেমন আমারই।
রেগে গেলে ঝন ঝনা ঝন, ঝনন ঝনা ঝনঝন,
একটু আঘাতেই চোখে জল, অনেকটা বিরস বদন!
জানে তো নিজের সকল খামতি, আছে যত ত্রুটি,
আমিও কিছুটা জানি,নিজের যত খাপছাড়া বিচ্যুতি।
জানি না দরকারি জিনিসপত্র, থাকে কোন স্থান !
খুঁজে খুঁজে অযথা হয়ে পড়ি আমি যে হয়রান।
ভালো করে গুছিয়ে রাখা আইডিয়াল গিন্নির কাজ,
জানি, এ কথাটা হামেশাই বলে আমাদের সমাজ।
কি আর করা যাবে , আছে যে আমার এক ভুলো মন,
ছিল আধখানা পাকা বেল, নাকি পাকা চালতা ফল,
ডিম ভরা কই, নাকি দই, আমারও যে হয় গোলমাল !
রেখেছি কখন্ শীত ও গ্ৰীষ্মের কাপড় আলাদা করে,
কোথায় কোন আলমারীতে অথবা কোন ব্যাগে ভরে !
কি বিষম জ্বালা,মন বলে সংসার ছেড়ে শিগ্গির পালা,
কি জানি কোথায় খুরপি, কোদাল, বা কুলো-ডালা।
জুতো কয় জোড়া যদি রয়, মোজার জুড়ি মেলা ভার,
হারিয়ে পাই বার বার, যত গয়নাগাঁটি, দুল-চুড়ি-হার।
এ্যালজেবরার ফর্মুলা যেন সংসারের এসব কাজ,
বুঝিনা সকলের, সকল কথা কি করে যে মনে রয় !