বিশ্বাস
বিশ্বাস
জানি, বেশী রাত জাগার অভ্যেসটা যে ভালো নয়,
ধীরে ধীরে এভাবেই মানুষ ইনসমনিয়ার শিকার হয়।
বারোটা বাজতে কয়েক মিনিট আছে বাকি,
সময়টা দুহাজার একুশের উনত্রিশে ডিসেম্বর, সেকি!
এর পর রইলো হাতে একুশের আর দুটো মাত্র দিন,
মাথায় বাজছে ঝিঁঝিঁপোকাদের মতো ঝিনঝিন।
দূরে আদিবাসীদের পাড়ায় মাদলে উঠেছে বোল,
বোধহয় ওদের উৎসবে মেয়েরা নাচছে একদল।
সাথে মানে না বুঝতে পারা সেই একঘেয়ে সুর।
আজ ভোরে আর সন্ধ্যেতে ডেকেছিলো শেয়ালেরা,
এখন মাঝরাতে ডাকছে দু চারটে দূরের কুকুর।
মনে হয় তাড়াতাড়ি আজ ঘুমানোর চেষ্টা করেছি,
হয়তো তাই ঘুমটা পালিয়েছে দিয়ে আমায় ফাঁকি।
পিঠে, কোমরে হয়ে গেল ব্যাথা করে এপাশ ওপাশ,
অন্যদিন তো ঘুমিয়ে পড়ি একেবারে শুয়েই ধপাস।
আজ শোবার আগে পড়ছিলো কয়েক ফোঁটা অশ্রু,
চেখে দেখেছি, একদম নোনতা নয়, যেন প্রায় মিশ্রি।
এভাবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতেই হয় ঈশ্বরের কাছে,
শেয়ালেরা এখন আবার হুঁয়া শব্দে যেন তাই করছে।
জীবন নদীতে বিপদ হামেশাই, যখন তখন ওঠে ঝড়,
কিছুই যায়না বোঝা কখন বাজ পড়ে শব্দে কড়কড়।
এমন একটা ছাতার তলায় সদাই থাকতে চাই,
আছে বিশ্বাসের ত্রিশূল, বাজ পড়লেও বাঁচা যায়।
যাদের ভালোবাসি তাদের সকলের যেন হয় ঠাঁই,
এখানে হিংসা-দ্বেষ, ধার্মিক-নাস্তিকে ভেদাভেদ নাই।
জানিনা সাঁতার মাঝি মাল্লাদের ওপর ভরসা এতটাই,
দায়িত্ব নিয়েছে যখন, পার করে দেবে নিশ্চয়ই ।
সে আমি পারের কড়ি দিই বা না থাকলে না দিই,
ডুবিয়ে তো মারতে পারবেনা আমাদের কিছুতেই।
