ভাটরা
ভাটরা
মালদার ঐ জায়গার নাম পাকুয়াহাট, ঘোর মফস্বল,
সেই গ্রামেরই এক ভালো ছেলে, নাম তার অমল।
শুনেছিলো লোকের মুখে ভাটরা বিলের কথা,
গ্রীষ্ম-শীতে জমিতে ধান চাষ হয় যেথা।
মহানন্দা, টাঙন আর বেহুলা এই তিনেতে বর্ষাকালে,
বেশি বৃষ্টি হলে নদীতে জল বেড়ে গেলে,
তিনটি নদীই অতিরিক্ত জল এনে ঢালে এই বিলে।
শুকনো খটখটে বিলের জমি হয়ে ওঠে যেন সমুদ্দুর,
ঘুরতে আসে মানুষ যতো, মালদা ও দুই দিনাজপুর।
মাধাইপুর ও তো জানা ছিল এক মফস্বল,
আছে রূপসনাতন মন্দির, দর্শনে আনে বুকে বল।
মাধাইপুর এর সাহাপুর, তার মধ্যেই ভাটরা !
মনে মনে ভাবে একদিন বন্ধুরা মিলে যাবো আমরা।
সেই মতো গাড়ি ঠিক করে রওনা দেয় সকালে,
মনে ভীষন খুশি, গান গায় নয় বন্ধু মিলে।
রূপ সনাতনের মন্দির মানেই মনে আছে সবাকার, পন্ডিত জনের পীঠস্হান বটেই এক সময়কার।
নয় জনের মধ্যে চারজন দেখেনি আগে সমুদ্দুর,
ভাটরা বিলের ঢেউ দেখেই মনে তাদের আনন্দ প্রচুর।
ভাবে, কি করে যে এত জল নিঃশেষ হবে কদিনেই !
জগতের লীলা খেলা বোঝা আশ্চর্য সত্যিই ।
যারা এখনও দেখেনি এই অস্হায়ী সমুদ্দুর,
বার্তাটা শিগ্গির পাঠাতেই হবে দুর হতে সুদুর।
এই কথাটা নেটের বন্ধুদের সবাইকে হবে যে বলতেই।
দেখে যাক এসে সকলেই জল ও মাটির নতুন খেলা,
পর্যটন কেন্দ্রের মতোই বসছে রোজ লোকের মেলা।
এক বছরের লুকোচুরি যেন এই আছে তো এই নেই।
ভ্রমণ পিপাসু, আনন্দ খুঁজে নিতে জানে মফস্বলেই।