কাঠবেড়ালির লেজ
কাঠবেড়ালির লেজ
রাগ অথবা ঝড় যখন এসে পড়ে,
মানছি তা সামলানো খুব কঠিন।
চলে যাবার পর যায় বোঝা,
কত কি হলো ক্ষতি, কি কি গেল নিয়ে,
রইল কি? বা কি করে কাটবে দিন!
কিন্তু পা টিপে টিপে চুপিসারে যখন,
তার চেয়েও মারাত্মক প্লাবন এলো!
গেলনা বোঝা, গ্রাম-গন্জ, মাঠ-ঘাট সব একাকার,
বেনো জল ঢুকে সব একদম ভরিয়ে দিল।ও
বানভাসি হাজার হাজার অক্ষর,
চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে কত কি বললো।
কিন্তু উদ্ভ্রান্ত যে সকলেই, দিক যে হারিয়ে গেছে,
চেনবার নেই উপায় পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ।
নোনা জলে সব দিকভ্রান্ত অক্ষর গুলো,
কেমন যেন আনমনে ঘুরে বেড়াতে লাগলো।
দিন দুই উপোসেও খুললোনা মুখ,
লজ্জ্বা এসে ওদের মুখ যেন চেপে ধরলো।
কিন্তু সময়! তার তো উপায় নেই থেমে থাকবার,
কি আর করা যাবে ভেবে, অক্ষর কুড়োতে লাগলো।
স্বর অ তে অনন্ত, অসাধারণ, অপার, অসীম ।
স্বর আ তে আমার, আশা, আনন্দ, আজীবন।
হ্রস্ব ই তে ইচ্ছে, ইন্দ্রিয়, ইশারা, ইস্কুল, ইহজীবন।
দীর্ঘ ঈ তে ঈপ্সিত, ঈষা, ঈষৎ, ঈশ্বর, ঈশান।
হ্রস্ব উ তে উইপোকা, উচিত, উজান, উচ্ছল, উড়ান।
দীর্ঘ ঊ তে ঊর্ননাভ, ঊর্মি, ঊর্ধদৃষ্টি, উষাকাল।
ঋ তে ঋজু, ঋষি, ঋত্বিক, ঋদ্ধি, ঋগ্বেদ, ঋতুবদল।
জানে,কাঠবেড়ালির লেজের মতো আছে একটা লি,
কিন্তু সময় একটা ছোট্ট প্রশ্ন করতে চেয়েছিলো,
বোঝা বয়ে চলা ক্লান্ত বাংলা ভাষার ইতিহাসকে,
"ওতে কি সারাজীবনেও কোনো শব্দ পেলি? "
ইতিহাস তাকায় নীরবে চোখ তুলে,
করতে চায় পাঠোদ্ধার, সময়ের মনের ভাষার।