অটল ভরসা
অটল ভরসা
সাঁতার জানিনা যে, তাই নামিনা বেশী জলে,
সৈকতে বসে শুধু দেখি তোমার ঢেউ কি করে দোলে।
এমনকি কাউকে যদি ডুবে যেতেও দেখি,
একদম নিজের দুটো চোখের সামনে
তবু চুপ করে থাকা ছাড়া উপায় নেই যে আমার।
বোবা মন চিৎকার করতেও যায় একেবারে ভুলে !
তবে মন আমার জানে, ডোবা কঠিন ঐ নোনা জলে,
ভয় থাকে এঁদো পুকুর হলে।
দুতিন দিন পর নাকি ওখানে দেহ ভেসে ওঠে ফুলে,
সমুদ্রের মন তো অনেক বেশী উদার,
জানি তোমার মনে আছে স্নেহ যে অপার।
বিরাট বড় জাহাজ টাহাজ ছাড়া,
ছোটোখাটো কিছুই নাওনা টেনে তোমার কোলে।
আছে অটল ভরসা, দেবেই ফিরিয়ে তুমি কিছু নিলে,
হয়তো আগের চেয়ে আরো বেশি ভালো, শুদ্ধ হলে।
তাই তীরে বসে করি সময়ের অপেক্ষা,
চেয়ে চেয়ে দেখি উর্মীমালাদের,
ঢেউয়ের মাথায় দোলা, নেচে নেচে আনন্দে,
ঢেউ ভেঙে আছড়ে পড়ার খেলা, এই ওদের প্রতীক্ষা।
এক একটা মুহুর্তের মতো অনন্ত ঢেউ বয়ে চলে,
দোলন ঘড়ির দোলনের মতোই আমার মন দোলে।
অনন্ত সময় মাপার কোনো একক আমি জানি না,
সমুদ্রের সৈকতে বসেও ঢেউ গোনার চেষ্টা করিনা।
যদি কেউ নিজেকে মৃত ভাবতে পারে,
নিজেকে অসহায় ভাবে ছেড়ে দিতে পারে জলে,
তার আর কোনো চিন্তা নেই তাহলে।
কিন্তু বাঁচার চেষ্টায় হাত পা ছুড়ে,
দাপাদাপি করে পেট ভরে যদি জল নেয় গিলে
তখনই বিপদ আসে ঘনিয়ে,
পেটে চাপ দিয়ে জল বের করা হয়ে পড়ে জরুরী ! যতই কাঁদুক তখন ইনিয়ে বিনিয়ে।
কেন পেয়েছিল ভয়?কেন গিলেছিলো ঐ নোনা জল!
এটা তো জানা কথা সমুদ্র যা নেয়, দেয় ফিরিয়ে !