অন্তরলোকে রবীন্দ্রনাথ
অন্তরলোকে রবীন্দ্রনাথ
একশত ষাট বর্ষের প্রাপ্ত আলোকে আজ
তোমায় স্মরণ করি --
অন্তরে পেয়েছি তোমায়
কখনো খরতপ্ত দুরন্ত দ্বিপ্রহরে --
কখনো বা স্নিগ্ধ কোনো বিনম্র সন্ধ্যায়।
তুমি নাকি অক্ষয় বট !
সাহিত্যের প্রতিটি অন্দরে নামিয়েছিল
অসংখ্য ঝুরি !
তাই বুঝি তোমার মূলকাণ্ডের সন্ধানে
ব্যর্থ হয়ে ঘুরি।
আজও বাংলাসাহিত্যের নানান ভাঙাগড়ার খেলায়
তোমার শব্দরাজি এত মহিমময় !
রাজদণ্ড হস্তান্তরিত হওয়ার পর
ইংরাজি সন-তারিখের টাই গলায় ঝুলিয়ে
নববর্ষ পালন করি ডিস্কোথেকে।
তবু --
পয়লা বৈশাখ আর পঁচিশে বৈশাখ
বাঙালির বড়ো আপন দুই বিবাহিতা দুহিতা
নির্দিষ্ট দিনেই আসে পিতৃগৃহে
মিষ্টান্ন ভোজনে তৃপ্ত
সিঁদুরে -শিমুলে রাঙা হয়ে -- ফিরে যায় তারা।
দূর-প্রবাসিনী বাইশে শ্রাবণ
বেতার-দূরদর্শনে করুণ রাগিনী পাঠিয়ে
বাৎসরিক রবীন্দ্রচর্চার ইতি ঘোষণা করে।
রেপ্লিকা-র অন্তরে থাক -- তোমার পদক।
হে মহীরূহ !
আজ এই উগ্রপন্থার,
নৃশংস ভাইরাসের ঘোর দুর্দিনে
রক্তাক্ত মানবাত্মার কণ্ঠে ধ্বনিত হোক
তোমার অভয়-মন্ত্র
তোমার নাইট ত্যাগের শৌর্য --
রাক্ষস বিনাশের পথ ধরে আসুক
জীবনের জয়।
