অভিযাত্রী
অভিযাত্রী
ফিরে আসার পালা
পেটের খিদে; মৃত্যুর অবহেলা!
গরম পিচ; তপ্ত রবি
আমরা শব্দ; তোমাদের সহজ কবিতা।
সাজানো সভ্যতার আকাশে উজ্জ্বল জ্যোৎস্না
খড়কুটোয় বাস। এতো ভালোবাসিস না!
পেরিয়ে গেল কতকাল;
কালো চশমার ওপারে প্রতিটা লাশের রঙ লাল।
চোখের পাতা খুললে ফুটফুটে বাচ্চার খিদের কান্না,
জেল্লাদার পৃথিবীর লাখো ফুটপাতে ভালোবাসার ঠিকানা।
তোমাদের ফেলে দেওয়া ডাস্টবিনে শুকনো পোড়া রুটি,
একবেলার অনাহারের সাথে ইচ্ছেদের কাটাকুটি।
ধুলোকাদায় বেড়ে ওঠা;
গায়ে জড়ানো তোমাদের আভিজাত্যের ঘেন্না,
পারিনি হতে আমরা কখনো লেখকের প্রেমের বর্ণনা।
যতবার ভোররাতে এসে দাঁড়িয়েছে দরজায়
হতাশাগ্রস্ত বর্ণমালার উপর দেখেছি আলোকিত নেশার গন্ধ।
হাঁড়িতে বুনেছে জাল মাকড়সা
কর্মখালির ব্যামোর নীচে চাপা পড়ে আছে কতশত অজানা ফুল
আমরা ভোরের অপেক্ষায় আছি চেয়ে
ঝরে পড়া পাতার হিসেব রাখি না।
ঐ দেখো ট্রেনের আওয়াজ; ফেরার সময় আসন্ন
ঘরে ফিরে ডাকব 'মা'
বা অতল সাগরে টুকরো দেহ থাকবে জমা।