ভাঙা ছন্দ
ভাঙা ছন্দ
নয়নে নয়ন হঠাৎ মিলেছিল যখন
নতুন জীবন হবে শুরু, বুঝেছিল দুই মন।
সঞ্চয় অল্প, তবুও তো স্বপ্ন অগাধ
বাসনা বলতে দুজনের একটাই হবে ছাদ।
হাতের রেখায় লেখাছিল যা কিছু
সুখও আসছিল তাদের ক্রমশঃ পিছুপিছু।
একচিলতে ঘরে বিশ্বাসের সংসার
ভালবাসা ছাড়া ছিলনা তেমন কিছু আর।
নুনে ভাতে পেরোচ্ছিল দিন সব
অভাবকে আঁকড়ে খুশী থাকারই উৎসব।
আঁধার ঘুচিয়ে ফুটল শিশুর কান্না
লড়তে হবে এবার, অভাবী জীবন আর না।
সুখের মেয়াদ শেষে এলো ব্যাধি
নিথর দেহ বলে, জীবন তো এই অবধি।
আলো ক্ষণস্থায়ী, এভাবেই দেয় ফাঁকি
তাদের গন্তব্যের অনেকটা পথই রইল বাকি।
সব ক্ষতির হয় না কোনো খতিয়ান
অপত্যকে কবরস্থ করার জারি নিষ্ঠুর ফরমান।
যুদ্ধ হল কঠিন, তলোয়ারে দিয়ে শাণ
যোদ্ধা দুজন করবে লড়াই, ছাড়বে না ময়দান।
অভাবের নীচে বেঁধেছিল যারা ঘর
আনন্দ তাদের জীবনের কোনো বিরল খবর।
ঘুরছে ঘড়ির কাঁটা, বুকভর্তি ভয়
ক্যান্সারের রিপোর্টটা যেনো নেগেটিভ হয়!
কিছু পাতায় কেবলই ফোটে নিরাশা
সব দেওয়ার পরেও জোটে নাতো ভালোবাসা।
ধীরে ধীরে নিভল প্রদীপ, হল সমাপন
এভাবেই শুরু হল মোদের প্রতিশ্রুতির ভাঙন।
তুমি অনন্ত ক্লান্তিবিহীন একলা দুপুর
আমার সঙ্গী এখন কেবলই ভাঙা সমুদ্দুর।
পরজন্মে মিলব আবার ভিন্ন আদলে
জোনাকির দল মনরাখার এমনই গল্প বলে।
ভালোবাসা বাঁধে বাসা পুরাতন অভ্যাসে
আমাকেও জড়িয়ে নিও প্রিয়তমা কবরের পাশে।
ইঁট কাঠ পাথরের নাগরিক অট্টালিকায়
পরজন্মে দুজনে অচিনদেশের পথে নৌকা ভাসায়।