আয়নার সামনে, তিলোত্তমা
আয়নার সামনে, তিলোত্তমা


আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, তিলোত্তমা, নিজের মুখ
আমি যে দেখতে পারি না আর।
মনে হয় গুঁড়িয়ে দিই দেওয়ালের ওই কাঁচ,
ভেঙে দিই চারপাশের সমাজ সংসার,
যেখানে ছড়িয়ে আছে আমার-ই মত
একই চেহারার, অবিকল একই অবয়বের
অসংখ্য রক্তবীজের ঝাড়। কত শত
সহস্র নিরপরাধ ধমনীর রক্ত ঝড়ছে যাদের
হিংস্র নখের ডগায়! তিলোত্তমা, জানি তারা লুকিয়ে নেই
আর। প্রকাশ্যেই হানবে আঘাত, বার বার, তোমার
প্রতি তীব্র আক্রোশে। নিরন্তর, অসহনিয় সেই
আক্রমণে ছিঁড়ে খুঁড়ে হবে কি ছারখার
বিশ্বচরাচর? তবে তাই হোক! ধ্বংস হয়ে যাক সব।
তিলোত্তমা! তোমার রোষের দাবানলে ভস্ম হয়ে যাক পৃথিবীর শব!