আশ্রয়
আশ্রয়
এই পৃথিবীতে একা একা কাঁদে তো সবাই,
পুরুষ যে আসলে নারীর আশ্রয়,
সে কাঁদলে নারী যাবে কোথায় !
আমার তো মনে হয় মেয়েদেরও
চোখের জল কাউকে দেখাতে নেই।
নাইবা হলো কোনোদিন হেঁটে যাওয়া দুজনে,
বৃষ্টি কিংবা রোদে এক ছাতার তলায়।
তবে, খুব বেশী দূরত্ব যেন কোনোদিন না তৈরী হয়।
সারাটা জীবনে যদি একবারও পাশে না থাকা হয়,
হাতে হাত রেখে কখনও পথ চলা না হয়,
তবু তা ভালো, শুধু দূরত্বটা যেন আর না বেড়ে যায়।
কখনও কখনও এক বাড়িতে বাস করেও,
কেউ কেউ তো ইচ্ছে করেই আলাদা ঘরে রয়।
আবার হয়তো কেউ এক ঘরে থেকেও,
সারা দিনমান কেউ কারও সাথে কথা না কয়।
তার চেয়েও মারাত্মক যখন কোনো বর - বৌ,
এক বিছানায় থাকলেও, তারা কেউ কারও নয়।
এভাবেই হয়তো কেটে যায় জীবনের অমূল্য সময় !
খুব সামান্য ছোটোখাটো মান অভিমান এর কারণে,
নিজেদের অজান্তেই অনতিক্রম্য দূরত্ব তৈরী হয়।
ঝগড়া হলে তাই একজনকে ক্ষমা চাইতেই হয়,
তা নাহলে দিনে দিনে মানসিক দূরত্ব যে বেড়েই যায়।
স্বামী-স্ত্রী, বা ভালোবাসার মানুষের মনোমালিন্য তাই,
পারতপক্ষে কখনও বাসি করতে নেই।
বাসি বা পুরোনো হলে সম্পর্কটা পচে গিয়ে নষ্ট হয়,
তখন দুর্গন্ধ বেরোয়, পাড়া পড়শীর কানে তো যায়ই,
নিজেদেরও অসহ্য মনে হয়, টেঁকা হয়ে ওঠে দায়।
প্রত্যেক মানুষের আসলে একটা আশ্রয় চাই,
মন খুলে কাউকে মনের সব কথা খুলে বলা চাই,
যেন অকারণে চোখের জল ফেলতে না হয় !
কাঁদলে চোখ পরিষ্কার হলেও, হৃদয় যে বড় কষ্ট পায়।
ছড়িয়ে থাকা মনকে কুড়িয়ে সামলে রাখা চাই,
মনের বাস কিন্তু শুধুই মস্তিষ্ক কিংবা হৃদয়ে নয়।
সারা শরীরের চেতনায় এই মন রয়।
আর যাই হোক, বেঁচে থাকতে গিয়ে,
কক্ষনো নিজের মনের সাথে দূরত্ব না তৈরী হয়,
খুব সাবধান, তাহলেই কিন্তু মানুষের বোধ চলে যায়,
এভাবেই কেউ কেউ এই পৃথিবীতে পাগল হয়।