উপকারের প্রতিদান
উপকারের প্রতিদান
অমিতের ছোটবেলা থেকেই গাছের প্রতি অমোঘ ভালোবাসা। ও যেখানেই দেখতে পেত যে গাছ কাটা হচ্ছে বা গাছের কোনোরকম অবহেলা করা হচ্চে, সেখানেই ও প্রতিবাদ জানাতো । ওর বাড়ির বাগান বলতে ছোটখাটো একটা বোটানিক্যাল গার্ডেন। কি গাছ নেই সেখানে, আম, জাম, কাঁঠাল , লিচু বট ও আরো বিভিন্ন ধরনের গাছ, তার মধ্যে কোনটা দেশি আবার কোনো টা বিদেশি। ও যেই পথ দিয়ে স্কুল যেত সেই পথে পড়ত একটা বিশাল শিমুল গাছ।একদিন ও স্কুল ফেরত দেখল যে ওই শিমুল গাছের তলায় জটলা। ও একটু এগিয়ে গিয়ে দেখল যে কয়েকজন মিলে ওই গাছটি কাটার ব্যবস্থা করছে। ও ওদের কাছে গিয়ে গাছ টা কাটার জন্য বারন করল। কিন্তু ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই ওর মুখে একটা বিরাশি সিক্কার ঘুষি পড়ল।ও তৎক্ষণাৎ গ্রামে চলে গেল । এইভাবেই গ্রামের সকলের তৎপরতা য় গাছটি বাঁচল।
এরপর অনেক বছর কেটে গেছে, অমিত এখন কলকাতা র একটা বড় কর্পোরেট অফিসে কাজ করে, আর রোজ শনিবার বাড়ি ফেরে নিজের স্ত্রী আর মেয়ের কাছে। এরই মধ্যে একদিন খবর পেল যে ওর সাধের সেই শিমুল গাছটি মারা গেছে। এইভাবে দিন যায়, বছর যায় , একদিন অমিতের ফিরতে রাত হয়ে যায়। ও শিমুল তলা দিয়ে ফিরছিল । এমন সময় বন্দুক হাতে কতগুলো লোক ওকে ঘিরে ধরে। আর সেই সময় তুমুল ঝড় ওঠে আর একটা বিশাল শিমুল গাছের ডাল ওদের উপর পড়ে আর ওরা মারা যায়। তারপর অমিত শোনে কেউ যেন বলছে অমিত আমি তোমার সেই শিমুল গাছ, আমাকে ছোটবেলায় বাঁচিয়েছিলে , আর আজ আমি তোমাকে বাঁচালাম। এই বলে গাছটি মিলিয়ে গেল