উপবাস ও কৌতুক
উপবাস ও কৌতুক
উপবাস সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। মানব-শরীর উপবাসের উপযোগী করেই তৈরি। উপোসের মাধ্যমে শরীর কতটা ঝরঝরে হয়ে ওঠে, যিনি উপবাস করেন তা তার পক্ষে বোঝা সম্ভব। উপবাসের পরই গ্রহণ করতে হয় সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাদ্য।...
লাইন এখান থেকে চেঞ্জ করি :
এক ব্যক্তি বড়ই কৃচ্ছ্বসাধন করছেন। দিনে তার চব্বিশ ঘণ্টা উপবাস। তিনি বন্ধুকে বলছেন, “দশদিন হলো উপবাস করছি, যদিও ঠ্যাঙে জোর পাচ্ছি না। আমার মনে হচ্ছে এতে করে আমি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারবো।”
বন্ধু বললেন, “আমারও তাই মনে হচ্ছে, এভাবে আরও কয়েকদিন পার করলে সরাসরি ঈশ্বরের সাথে সাক্ষাৎ ঘটবে!”
ন্যাপলা : মদনা, একটা গুটখা দে ভাই খাই।
মদনা : শোন্ ন্যাপলা, আজকে আমার উপবাস চলছে, পেটে কিছু দেওয়া বারণ।
ন্যাপলা : তাহলে এক কাজ কর, একটা বিড়ি দে ভাই।
মদনা : ওটাও খাচ্ছি না, ঐ একই কারণে।
ন্যাপলা : কি বোকা তুই! বিড়ি খেলে পেটে যায় নাকি?
মদনা : তা যায় না ঠিকই, কিন্তু মুখ দিয়ে খাচ্ছি তো!
ন্যাপলা : তবে এক টিপ নস্যি অন্তত দে।
মদনা : তুই নাকে মুখে কিছু একটা গুঁজবি এটা আগে জানা ছিল না। আমার কাছে একটা চোখের আর একটা কানের ড্রপ আছে, চলবে কি!
“সারাটা দিন খাসনি কেন?”
“উপবাস করছি বাবু।”
“ভালো, ওটা শরীরকে তাজা রাখে।”
“না বাবু, বাড়িতে কিছু ছিলনা, তাই মনে মনে বললাম, একটা উপোস করি।”
“তা উপোস ফুরোলে কি খাবি?”
“তখন খাবি খেতে হবে বাবু। ভাবছি আরও একটা উপোস বাড়িয়ে নেবো।”
তিন বছরের শিশু বলছে, “মা..ও-মা, আমি উপবাস করে যাবো।”
মা বলছে, “ঠিক আছে, কেউ তো বারণ করছে না, কর।”
শিশু বলছে, “মা, ঐ বাসে করে তোমরা কোথায় যাও?”
মা বলছে, “ওটা ওমন চড়ার বাস নয়। না খেয়ে চলতে হয়।”
শিশু বলছে, “না খেয়ে কেমন বাসে চলতে হয়, ও-মা বলোনা?”