শ্মশানের রাস্তা
শ্মশানের রাস্তা
আমার নাম সুজয় চৌধুরী চাকরির জন্য নানান জায়গায় পোস্টিং। সেইবার পোস্টিং হয়েছিল এক গ্রামে, গ্রামের নাম না হয় নাই বললাম। কয়েকদিন অফিস ভালোই চলছিল, এই ফাঁকে বলে রাখি এখানে যানবাহনের বেজয় সমস্যা। তার পরেও নিয়মিত যাতায়াত করতে করতাম বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যেত, একদিন বাবা আমাকে বলল (সমরেশ তুই একটা গাড়ি কেন!) আমি আর না করলাম না কথাটা একদম ঠিক। কয়েকদিন পর একটি গাড়ি কিনে নিলাম। এরপর থেকে ঠিক সময়ে অফিস যাতায়াত করতাম। একদিন অফিসের কাজ সারতে সারতে দেরি হয়ে গেল। তাই আমি ভাবলাম যে শ্মশানের রাস্তা দিয়ে যাব তাহলে বাড়ি ফিরতে সময় লাগবে না। আমি শ্মশানের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছি, হঠাৎ আমার গাড়ির বাঁদিকের চাকাটি পাংচার হয়ে গেল।
অগত্যা গাড়ি থেকে নামলাম,দেখি রাস্তাঘাট অন্ধকার যতদূর আমার গাড়ির আলো যায় ততটুকু ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় কেউ নেই। আমি গাড়ি পিছন দিক থেকে এক
্সট্রা চাকা বের করে গাড়ির চাকা লাগাচ্ছে। ঠিক সেইসময় আমি অনুভব করলাম আমার কাধে কারো গরম নিঃশ্বাস পড়ছে। পিছনে ঘুরে তাকাতেই কেউ ছিলনা। এরপর আমি আমার মনের ভুল ভেবে গাড়ি চাকা সারাচ্ছি । ঠিক সে সময় আমার পা কেউ যেন শক্ত করে ধরে আছে,আমি একটু ভালো করে দেখতে গিয়ে দেখলাম আমার পা এক কঙ্কাল এর হাত ধরে আছে। আমি ছাড়ানোর খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু ছাড়ছে না, এরপর আমাকে ধীরে ধীরে সেই শ্মশানর জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছে।কোন রকম ভাবে আমার পা থেকে তার হাত ছাড়িয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম। কিন্তু গাড়ি আর স্টার্ট নিচ্ছে না, প্রচন্ড চেষ্টার পর স্টার্ট নিল। সোজা বাড়ির গন্তব্যের দিকে এগোলাম। বাড়ি ফিরে দেখি বাবা এখনো ঘুমোইনি । আমি ফিরতে বাবা বলল সুজয় এত দেরি হল কেন? আমি বললাম অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল তাই আসতে দেরি হল। পরদিন খবরের কাগজ পরে জানতে পারলাম, সেই রাস্তাতে একটি লোক কাল সন্ধ্যায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছ