সেই চেনা গল্পটা
সেই চেনা গল্পটা
[এই গল্পটি আমার বাবাকে উৎসর্গ করলাম, যিনি ছোটবেলায় আমাকে এভাবে সঠিক পথ না দেখালে, অনুপ্রেরণা না দিলে আমি আজ যা কিছু তা কোনোদিনও হতে পারতাম না।]
"বৌমা একটা কেমন আওয়াজ আসছে না?"
"হ্যাঁ বাবা, এটা তো মনে হচ্ছে…"
মায়ের কথাটা শেষ হওয়ার আগেই বাবার কোলে চড়ে ঘরে ফিরল তাতাই। গলায় তার ত্রাহি ত্রাহি রব। ঠাম্মি ছুটে গিয়ে কোলে নিয়ে নিলেন তাকে। মা অবাক গলায় প্রশ্ন করল, "কি হয়েছে?"
"আমার দিকে তাকিও না, এই প্রশ্নটা আমি ওকে অন্তত বার শয়েক জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।" বিরস মুখে কথাগুলো বললেন বাবা।
দাদু চেষ্টা করলেন একবার, "ও দিদিভাই কি হয়েছে তোমার?"
দাদুর প্রশ্ন শুনে উত্তর দেওয়ার বদলে তাতাইয়ের গলার স্বর যেন আরও একটু চড়ে গেল। পিচাই মায়ের কাছে সেরেলাক খাচ্ছিল। সে দিদিকে দেখে কি বুঝলো কে জানে, সেও ত্রাহি ত্রাহি কান্না জুড়ে দিলো সঙ্গে সঙ্গে। এ পাড়ার মোটা হুলো বেড়ালটা গোপনে রান্না ঘরে ঢোকার তাল করছিল। এমন যৌথ কান্নার চোটে সে ভয়ে লেজ ফুলিয়ে দুদ্দাড় করে ছুটে পালাল। পেয়ারা গাছের ডালে দুটো শালিক ঝগড়া লেগেছিল, তারাও ভয়ে ফুড়ুৎ করে উঠে গিয়ে বসল মল্লিকদের কার্নিশে।
"ওগো চুপ করাও ওদের নয়তো আমার বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যাবে এক্ষুণি।" কাতর কণ্ঠে বললেন দাদু। এই কিছুদিন হলো তার হার্টের অসুখ ধরা পড়েছে। মা একবার তাতাইয়ের দিকে একবার পিচাইয়ের দিকে তাকালেন, কোনটাকে আগে চুপ করানো উচিৎ ঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না।
দেবেশ বাবু, তাতাইয়ের বাবা, লোকটা এমনিতে রসিক কিন্তু রেগে গেলে ভয়ানক। অনেকক্ষণ ধরে দেখেছিলেন ছেলে মেয়ের কান্ডকারখানা, আর বরদাস্ত হলো না। তাঁর বজ্রগম্ভীর কণ্ঠে হুঙ্কার ছাড়লেন এবার, "চোপ, একদম চুপ।"
কয়েক সেকেন্ডের জন্য পিনড্রপ সাইলেন্স নেমে এলো ঘরে। তারপরেই তাতাইয়ের ফোঁপানির আওয়াজ ভেসে এলো আবার। যদিও সে ইচ্ছে করে ফোঁপাচ্ছে না কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কাঁদার ফলে এখন চেয়েও আর থামাতে পারছে না নিজেকে।
রাস্তায় কিছু বলেননি দেবেশ বাবু। এবার রাগী রাগী চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, "শেষবারের মতো জিজ্ঞেস করছি কি হয়েছে, বলো।"
একটা ঢোঁক গিলল তাতাই। ঠাম্মি বলতে গেলেন কিছু, দেবেশ বাবু হাত তুলে মাকে থামতে ইশারা করলেন, চুপ করে গেলেন ঠাম্মি। তাতাই একবার মুখ তুলে রুমের সবাইকে দেখে নিয়ে আবার ভ্যাঁ করে কেঁদে উঠল, "আমার পরীক্ষা খুব খারাপ হয়েছে।"
"খুব খারাপ! কিচ্ছু লিখতে পারিসনি??" আঁতকে উঠলেন দীপিকা দেবী।
"নাহ…" কাঁদতে কাঁদতে জবাব দিলো তাতাই। ভ্রু কুঁচকে দীপিকা দেবী বললেন, "তা কি করে হয়! তোকে তো বেশ ভালো করে সব পড়ানো হয়েছিল। কি এমন প্রশ্ন করল যে লিখতে পারলি না?"
"খুব কঠিন প্রশ্ন ছিল মা, আমি আর প্রাইমারি ইস্কুলে যেতে পারবো না গোওওও…." আবার কান্নার সুর চড়ালো তাতাই।
আজকে ওদের স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তির জন্য এডমিশন টেস্ট ছিল। ওদের প্লে স্কুলের বাচ্চারা সহ আরও অন্যান্য প্লে স্কুলের বাচ্চারাও টেস্ট দিতে এসেছিল। ওই একই স্কুলের প্লে সেকশনে পড়ার সুবাদে দেবেশ বাবুদের ধারণা ছিল তাতাইয়ের প্রিপারেশনটা নিশ্চয় ভালো মতন হবে, কিন্তু এতো দেখা যাচ্ছে উলট পুরাণ! তাঁর কলেজের বন্ধু সৃঞ্জয়ের মেয়ে অন্য প্লে স্কুলে পড়ত, সেতো দেখা গেল পরীক্ষা দিয়ে নাচতে নাচতে বেরোলো। এদিকে তাতাইয়ের কিনা এই অবস্থা…!!!
"কটা প্রশ্ন লিখতে পেরেছিস?" জানতে চাইলেন দেবেশ বাবু।
"লিখেছি তো একটা বাদে সবগুলো, কিন্তু…" আবার ভ্যাঁ করে কেঁদে উঠল তাতাই। দীপিকা দেবী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন, "ওহ একটা পারিসনি! যাইহোক বাবা আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।"
"নাগো মা আরও আছে, বাংলা অংক ইংরাজি সব ভুল।"
"সব ভুল! এই যে বললি একটা বাদে সব লিখেছিস?"
"লিখেছি তো সব, কিন্তু ভুল।"
"ভুল লিখে এলি! কি ছিলোটা কি?" অনেকক্ষণ পর আবার ময়দানে নামলেন দাদু।
তাতাই নাক টেনে টেনে বলল, " cotton এর বাংলা লিখতে বলেছিল।"
"তুই কি লিখলি?"
"তোমরাই তো বলো কটনের জামা, তাই আমি জামা লিখে এসেছি কিন্তু অভি বলল ওটা নাকি ভুল হয়ে গেছে।"
"আহা সোনা কটনের জামা মানে সুতির জামা। আর কটনের বাংলা লিখতে হত সুতো।" বোঝালেন দীপিকা দেবী। দেবেশ বাবু সঙ্গে সঙ্গে বললেন,
"আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। এটা তো তুমি জানতে না। কিন্তু ইংরেজিতে আর কি ভুল হয়েছে?"
"বাকি সব ঠিক লিখেছি।"
"বোঝো কান্ড! আর বাংলাতে?"
উত্তর দেওয়ার আগে আবার জোর কেঁদে উঠল তাতাই। তারপর জড়ানো গলাতেই কোনো মতে বলল, "অলস না কি যেন একটা দিয়ে বাক্য রচনা করতে বলেছিল। ওটাই তো লিখতে পারিনি।"
"ইশ এতো সোজাটা পারলি না? অলস মানে তো কুঁড়ে। আচ্ছা বাকিগুলো করেছিস বাংলাতে?"
"হুঁ। বাবা…"
"কি?"
"যুগুম মানে কি?"
"যুগুম! সে আবার কি?" বাকি সবার মুখের দিকে তাকালেন দেবেশ বাবু। সবার মুখের অবস্থা একই। তাতাই বলল,
"হ্যাঁ গো, প্রশ্নে লেখা ছিল। আমি তো মানেই বুঝতে পারিনি।"
"যুগুম লেখা ছিল প্রশ্নে!!!" ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন দীপিকা দেবী, "প্রশ্নটা কি ছিল বলতো?"
"লেখা ছিল 'ঠিক না ভুল লেখো:চার একটি যুগুম সংখ্যা।" কান্নাভেজা গলায় বলল তাতাই।
"হাঃ হাঃ হাঃ…" হেসে উঠলেন দাদু, "আরে দিদিভাই ওটাকে যুগুম না যুগ্ম সংখ্যা বলে মানে জোড় সংখ্যা।"
দাদুর কথা শেষ হতে না হতেই আবার ডুকরে কেঁদে উঠল তাতাই, "এবার কি হবে! আমি তো বুঝতে না পেরে "ভুল" লিখে দিয়েছি।"
★★★★★
"হ্যাঁ গো কিছু একটা করো।" কাতর কণ্ঠে অনুরোধ করলেন দীপিকা দেবী। কম্পিউটারে কাজ করছিলেন দেবেশ বাবু। মুখ তুলে জিজ্ঞেস করলেন, "কিসের কি করব?"
"তোমার তো সারাদিন অফিস আর কাজ, বাড়ির দিকে কোনো খেয়াল আছে কি? আমার মেয়েটা যে কেমন হয়ে গেছে সেদিকে নজর দিয়েছো একটু?"
"কি হয়েছে তাতাইয়ের?" দেবেশ বাবু অবাক।
দীপিকা দেবী কাঁদো কাঁদো গলায় জবাব দিলেন, "সেদিন পরীক্ষা দিয়ে আসার পর থেকে কেমন মনমরা হয়ে আছে। ভালো করে খাওয়া দাওয়া করছে না, খেলছে না, এমনকি যে বকমবাজির জ্বালায় আমরা অতিষ্ট হয়ে থাকতাম সেই বকমবাজিও বন্ধ। আমাদের সাথে তো কথাও বলছে না। তুমি একবার চেষ্টা করে দেখো না।"
"হুমম।" চশমাটা খুলে টেবিলের ওপর রাখলেন দেবেশ বাবু।
"আমার বেটুন কি করছে? একি শুয়ে আছে কেন!!!" ঘরে ঢুকতে ঢুকতে কথাগুলো বললেন দেবেশবাবু। তাতাই একটা পুতুলকে জড়িয়ে নিয়ে শুয়েছিল খাটে, বাবাকে দেখে উঠে বসল কিন্তু মুখে বলল না কিছু। দেবেশ বাবু ওর পাশে এসে বসলেন, "শরীর খারাপ?"
দুদিকে মাথা নাড়ল তাতাই।
"রাগ হয়েছে কারুর ওপর?"
"না।" অস্ফুটে জবাব দিল সে।
"তাহলে কি মন খারাপ?"
এবার ওপর নীচে মাথা নাড়ল তাতাই। দেবেশ বাবু মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, "কেন? কি হয়েছে?"
"কিছু না।"
"আমাকে বলবে না?"
"বাবা, আমি তো ওয়ানে উঠতে পারব না।" তাতাইয়ের চোখ ভর্তি হয়ে এলো জলে।
"কে বলেছে? কেন উঠতে পারবে না?"
"আমি যে ভুল লিখে এসেছি।"
"তাতে কি হবে সোনা? বেশিরভাগটাই তো ঠিক করেছো।"
"কিন্তু সবাই তো সব ঠিক করেছে বাবা।"
"তুমি কি করে জানলে?"
"আমি জানি। বাবা আমাকে এবার বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেবে? সেই রাগী মাস্টমশয়ের স্কুলে?"
মেয়ের মুখের দিকে একবার তাকালেন দেবেশ বাবু। তাতাইয়ের মনটা ভীষণ চঞ্চল, পড়তে বসতে চাইতো না বলে রাগী মাস্টার মশাইয়ের বোর্ডিং স্কুলের গল্পটা তিনিই বানিয়েছিলেন মেয়েকে ভয় দেখিয়ে পড়তে বসাতে। কিন্তু এখন তার যে এমন বিপরীত প্রতিক্রিয়া হবে কে জানতো!
"তুমি তোমার স্কুলেই সুযোগ পেয়ে যাবে তাতাই,বোর্ডিং স্কুলে যাওয়ার দরকার হবে না। বাবা তো অনেক বড় তাই বাবা জানে তাতাই এই স্কুলেই সুযোগ পাবে।"
"কিন্তু বাবা আমি যে ভুল করে এলাম, আমি তো আর ফার্স্ট হতে পারব না!"
মেয়ের কোথায় খানিক স্তম্ভিত হয়ে গেলেন দেবেশ বাবু। প্লে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর এই দু'বছর সে বরাবর ফার্স্ট হয়ে এসেছে, তাই এডমিশন টেস্টে পাস করার থেকেও তার চিন্তা সে ফার্স্ট হতে পারবে তো! মেয়েটা জানেই না এই জীবনটা কতটা কঠিন। চাইলেও ফার্স্ট হওয়ার উপায় নেই সব কিছুতে। কি করে বোঝাবেন ওকে! একটা বড় করে নিঃশ্বাস নিলেন দেবেশ বাবু,
"একটা গল্প শুনবে?"
"গল্প? তুমি বলবে?"
"কেন বাবা গল্প বলতে পারেনা বুঝি?"
"পারে।"
"তাহলে শোনো।
অনেকদিন আগের কথা। একটা জঙ্গলে একটা খরগোশ থাকতো। সেই খরগোশ ছিল খুব অহংকারী, তার ধারণা সেই জঙ্গলের সব প্রাণীর মধ্যে সেই সবচেয়ে দ্রুত দৌড়োতে পারে। তাই সে সুযোগ পেলেই অন্য প্রাণীদের অপমান করত। তো একদিন হল কি সেই খরগোশ একটি কচ্ছপের ধীর গতি নিয়ে হাসাহাসি করছিল। কচ্ছপ এতে রেগে গিয়ে খরগোশকে একটি দৌড় প্রতিযোগীতায় চ্যালেঞ্জ করে বসল। প্রথমে খরগোশ তো খুব তাচ্ছিল্য করল কচ্ছপটাকে। তারপর মুখ বাঁকিয়ে বলল, "আচ্ছা তোর যখন আরও অপমানিত হওয়ার শখ হয়েছে তখন নে আমি দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে রাজী।"
দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল নির্দিষ্ট সময়ে। খরগোশ খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে, তার সে একেবারে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে দেখল পেছনে কচ্ছপের টিকিও দেখা যাচ্ছে না। তাই অবজ্ঞার হাসি হেসে ভাবলো এই বেলা বিশ্রাম করা যাক। কচ্ছপ এখানে পৌঁছাতে ঢের দেরি। এই ভেবে সে কিছুদূর গিয়ে একটা গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ল আলস্যে।
এদিকে কচ্ছপ থপথপ করে সেই জায়গায় এলো। এসে সে দেখতে পেল খরগোশ ঘুমিয়ে আছে। সে খরগোশকে পাশে রেখে দৌড়তে থাকল। সে কিন্তু থেমে গেল না। এইভাবে দৌড়তে দৌড়তে কচ্ছপ একসময় শেষ সীমানা অবধি পৌঁছে গেল। সেদিকে খরগোশ ঘুম থেকে উঠে দৌড়াতে দৌড়াতে এসে দেখল কচ্ছপ তো ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। আর বিজয়ী বলে জঙ্গলের সব পশুরা তাকে মাথায় তুলে নাচছে।"
গল্পটা শেষ করে একটু দম নিলেন দেবেশ বাবু। দেখলেন তাতাইয়ের মুখটা হাসিহাসি। তিনি বুঝলেন কচ্ছপের জয়ে খুশি হয়েছে তার মেয়েও। তাতাইকে এবার কোলে টেনে নিলেন তিনি, "গল্পটা ভালো লাগলো?"
"হুঁ।"
"আচ্ছা কচ্ছপ জিতেছে বলে তোমার ভালো লাগছে?"
"হ্যাঁ। খুব…" ঘাড়টা অনেকটা কাত করল তাতাই।
"কিন্তু এখানে কচ্ছপটা জিতেছে যে সেটা বড় কথা নয়,বড় কথা হল সে প্রতিযোগিতাটা সম্পূর্ণ করতে পেরেছে। খরগোশ তো এর আগে প্রতিটা রেস জিতেছে কিন্তু তাতে লাভ কি হল!"
দেবেশ বাবু দেখলেন তাতাই বড় বড় চোখে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি ওর মুখটা দেখে নিয়ে বললেন, "যারা সবসময় ফার্স্ট হতে চায় তারা কিন্তু এক সময় অহংকারী হয়ে পড়ে খরগোশের মতো,অন্যের ক্ষমতা না বুঝেই তাদেরকে হেয় করে। এর ফলে কি হয় বলোতো? এই ফার্স্ট হওয়ার দৌড়ে একসময় নিজে ক্লান্ত হয়ে যায়, এদিকে যাদের সে হেয় করছিল তারা কিন্তু কচ্ছপের মত একটু একটু করে এগোতে এগোতে ঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, তারা কিন্তু ক্লান্ত হয়না। তাহলে তুমি কি হতে চাইবে খরগোশ না কচ্ছপ?"
চিন্তায় পড়ে গেল তাতাই। বাবা আবার বললেন, "তুমি ফার্স্ট হও না হও তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসেনা, আমরা শুধু চাই তুমি ভালো ভাবে জীবনে এগিয়ে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হও আর জীবনে প্রতিষ্ঠিত হও।
প্রতিটা ক্লাসে ফাস্ট হওয়া জরুরি নয়,কিন্তু জরুরি হল তুমি যেন পড়াশুনাটা মন দিয়ে করো আর কচ্ছপ যেমন তার লক্ষ্য---- প্রতিযোগিতার শেষ সীমায় পৌঁছেছিল তেমনই তুমিও তোমার লক্ষ্যে পৌঁছে যাও। ব্যস তাহলেই হবে। বুঝলে?"
"হুঁ। বাবা…"
"কি?"
"আমি কচ্ছপ হবো বাবা।"
"ঠিক আছে, এই তো আমার গুড গার্ল।" এই বলে মেয়েকে আরও কাছে টেনে নিলেন দেবেশ বাবু,তারপর সস্নেহে মেয়ের কপালে একটা চুমু দিলেন। বেশ কয়েকদিন পর আবার হাসি ফুটল মেয়ের মুখে।