পূবালী
পূবালী
বেলকনিতে রাখা ইজি চেয়ারটা বারবার দোল খাচ্ছে,,, এটা সাধারন ব্যাপার,,,বাতাসে দোল খেতেই পারে,,,কিন্তু ইজি চেয়ারটার এমন দোল খাওয়া দেখে পূবালীর কাছে স্বাভাবিক লাগছে না।তার মনে হচ্ছে এখানে সে এসে বসে আছে,,, তার দিকে হয়তো এক দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে সে,,,সেই দৃস্টি অপলক অনেকটা মরা মাছের মতো শীতল দৃস্টি,,,আর তার মুখে রয়েছে সেদিনের সেই বিদঘুটে হাসি। না আর এর চেয়ে বেশি ভাবতে পারছে না পূবালী,,,কারন এতটুকু ভাবতেই তার শরীরের সব লোম দাড়িয়ে যাচ্ছে,,,চেস্টা করেও ভাবনাটাকে সড়াতে পারছে না ও মন থেকে। মানুষ মাত্রই সহজে দুঃখের জিনিস ভুলতে পারে না,,,যত ভুলবার চেস্টা করে তত বেশি মনে পড়ে। পূবালীরও ঠিক এমন অবস্থাই হচ্ছে,,,ভুলতে চেয়েও ভুলতে পারছে না। এদিকে ইজি চেয়ারটার নড়াচড়া আগের চেয়ে বেড়ে গেছে মনে হচ্ছে,,,আর হালকা শব্দও হচ্ছে।পূবালী আর সেদিকে দেখতে চায় না,,,মনের মধ্যের ভয়টাকে চেপে রেখে নাকে মুখে কাথা দিয়ে শুয়ে পড়ল।
কিছুদিন আগে,,,
24th novembar ওর জন্মদিনের দিন,,,
পূবালী অফিসের কাজ শেষ করে বাড়িতে আসল।অফিসে আজ প্রচুর চাপ গিয়েছে,,,গত দুদিন প্রচন্ড জ্বরের জন্য অফিস যেতে পারে নি সে।আজ যদিও পুরোপুরি সুস্থ্য হয় নি সে তারপরও আজ অফিস জয়েন করল।আর যাওয়ার পরই দুদিনের জমানো কাজের চাপ আর বাদবাকি অন্য বিষয়গুলোর চাপও তাকে ঘিরে ধরল।পূবালীর একটা দিক নিয়ে সবাই তার প্রশংসা করে,,,আর সেটা হলো ধৈর্য্য। অসুস্থ্য থাকলেও সে মন দিয়ে কাজ করতে পারে,,,তার কাছে মনে হয় কাজ করলে সময় দ্রুত চলে যায়,,,শরীর মন দুটোই অসুস্থ্যতার একঘেয়েমির থেকে মুক্ত থাকে।আজও প্রচুর ধৈর্য্য ধরে সে তার জমানো কাজগুলো সহ আজকের দিনের কাজ করে এসেছে,,,শুধু বাকি রয়েছে একটা ফাইল।সেটাও সাথে করে নিয়ে এসেছে সে,,,তবে সে জানে না সেটা আজ কম্প্লিট করতে পারবে কিনা ও।একদিকে সবেমাত্র জ্বর ছাড়ল তারপর আবার একটানা কাজ করার কারনে ওর মাথাব্যাথা শুরু হয়ে গেছে।সে ফ্রেস হতে গেল।
ফ্রেস হয়ে বের হয়ে রান্নার কাজটা শেষ করল।একা মানুষ সে তাই অতোবেশি কিছু রান্না করতে হয় না।রান্না শেষে বেলকনির লাইটটা অন করে ফাইলটা হাতে নিয়ে ইজি চেয়ারটায় বসল ।হাতে এক কাপ কফি,,,কফিতে চুমুক দিতে দিতে ফাইলের কোথায় কী করতে হবে আর কোনো ভুল আছে কিনা পূর্বেই সেটা চেক করতে লাগল ও।এমন সময় ফোনে একটা নোটিফিকেশন আসল মেসেঞ্জার থেকে,,,পূবালী সাধারনত কাজের সময় ফোন হাতে নেয় না।তবে আজ কেন যেন ফাইলটা কোলে রেখে ফোনটা হাতে নিয়ে নোটিফিকেশন চেক করল ও।আর চেক করতেই তো হাজার ভোল্টের শক খেল ,,,
পূবালী:এটা কী করে সম্ভব,,,না এটা হতে পারে না।কোনোভাবেই সম্ভব নয় এটা হওয়া।
25th novembar,,,
আজ অফিসে এসেও ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছে না কাজে।বারবার শুধু গতকালের ঘটনাটা মাথায় আসছে ওর। তাই সে মনোযোগ দিতে পারছে না কিছুতে। তার মনে বারবার প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে এটা কী করে হতে পারে। তবুও প্রশ্নটাকে পাশে রেখে কাজ চালিয়ে যেতে লাগল পূবালী। এরকম করে কাজ করতে করতে লাঞ্চ ব্রেকের সময় চলে আসল।
অন্যদিনের মতো পূবালী আজ সবার সাথে আড্ডা দিতে দিতে লাঞ্চ করছে না। অফিস ক্যান্টিনের একটা কর্নারে ফাঁকা একটা টেবিলে একা একা বসে আছে ও,সামনে খাবার আছে।তবে খাওয়ার দিকে ওর মন নেই।একটা সময় সে চুপ করে চোখটা বন্ধ করে গতকাল কী দেখল সেটা আবার মনে করতে চেস্টা করল,,,
গতকাল নোটিফিকেশন আসল সময় কী মনে করে ফোনটা হাতে নিল ও।মেসেঞ্জারে ঢুকে দেখল অর্পিতার মেসেজ। প্রথমেই ওই নামটা দেখে মোটামোটি বড় রকমের একটা ধাক্কা খেল পূবালী।সেই ধাক্কাটাকে কোনোমতে সয়ে নিয়ে মেসেজ ওপেন করল সে কাপা হাতে,,,মেসেজে একটা ভিডিও সেন্ড করা হয়েছে ওকে। রোশনী ভিডিওটা ওপেন করল,,,প্রথমে হালকা ঝিরঝির করল স্ক্রিন তারপর দেখা গেল পূবালীর হোস্টেলের রূমটা।সেখানে একটা চেয়ার মাটিতে পড়ে রয়েছে,,,আর চেয়ারের কাছে পড়ে আছে একটা মৃত দেহ।আর সেই দেহটা আর কারোর নয়, বরং সেটা অর্পিতার।আর তারপর,,, হঠাৎ চোখ খুলল পূবালী।ভাবনাটাকে বন্ধ করে দিল।বরং ভাবতে লাগল,,, অর্পিতা মারা গেছে দুই বছর হলো।গতকাল দুই বছর পূর্ন হয়েছে।দুই বছর আগে মারা যাওয়া একজন মানুষ কী করে তাকে মেসেজ করতে পারে আর সেই গোপন ভিডিওটাও কী করে পাঠাল।কিছুই মাথায় ঢুকছে না ওর।
এদিকে লাঞ্চ টাইম প্রায় শেষ,অথচ কিছুই খাওয়া হলো না । তবে আজ চিন্তার কারনে খিদেটাও যেন তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে।লাঞ্চ টাইম শেষে কাজে জয়েন করার আগে পূবালী তন্ময় কে কল দিল।সে ওর প্রেমিক।আর এই শহরে পূবালীর একমাত্র কাছের মানুষ ,তাই বিষয়টা তন্ময়কে জানানোই ওর ঠিক মনে হলো।
সেদিন সন্ধ্যায়,,,
অফিস ছুটি হয়ে গেছে সন্ধ্যা ৬:০০ টায়। একটা কফিশপে সে এসে বসে আছে,,,এখানেই তন্ময় এর
সাথে দেখা করার কথা। তন্ময়ের অফিসও একই সময়ে ছুটি হয়,সে হিসেবে তারও উপস্থিত থাকার কথা।কিন্তু সে এখনও আসে নি,,,যখন আধঘন্টা পার হওয়ার পরও সে আসল না,,,তখন পূবালী রায়ানকে ফোন করল। কিন্তু বারবার কল করার পরও ফোনটা কেউ রিসিভ করছে না। রিং হয়েই চলেছে,কিন্তু রিসিভ করছে না কেউ। ওদের রিলেশন শুরু হওয়ার পর হতে কখনও এমন হয় নি।প্রচুর দুশ্চিন্তা হতে লাগল মেয়েটির,,,বারবার মনে হতে লাগল তন্ময় এর কিছু হয় নি তো আবার। আবার কখনও কখনও এমনও মনে হতে লাগল,,,হয়তো তন্ময় ভুল করে অফিসে তার ফোন ফেলে এসেছে।কিন্তু এই সম্ভাবনাকেও সে দূরে ঠেলে ফেলে দিল,,,কারন তন্ময় এতটাও ভুলোমনা নয়।" কিন্তু তাহলে কী হতে পারে ,,,ফোন কেন তুলছে না সে",,,বারবার নিজেকে এই প্রশ্ন করছে পূবালী।
২০ বার কল দেওয়ার পর অপর পাশ থেকে ফোনটা রিসিভড হলো।
পূবালী: হ্যালো তন্ময়,,,আজ এতবার কল দেওয়ার পরও রিসিভ করছ না কেন???কী হলো তোমার???
অপর পাশে: হ্যালো ম্যাডাম,,,আমি তন্ময় স্যার না। স্যার এখন হাসপাতালে,,,আমি ওনার কলিগ অপূর্ব বলছি।
পূবালী: তন্ময় হাসপাতালে কেন??? ওর কী হয়েছে???
অপূর্ব:ডাক্তার বলল চিন্তার তেমন কিছু নেই।তবে আপনি হাসপাতালে আসুন,,,তারপর সবটা বলছি কী করে কী হলো।
পূবালীর চোখ দিয়ে না চাইতেও অঝোরে কান্না আসতে লাগল।কারন তন্ময়কে সে অনেক ভালোবাসে,,,তন্ময় এর কিছু হলে সে কী করে বাঁচবে। তাড়াহুড়ো করে কোনোমতে হাসপাতালে পৌছুল ।গেইটের কাছে অপূর্ব অপেক্ষা করছিল ওর জন্য।পূবালী আর তন্ময় এর আগে তেমন কথা হয় নি,,,তন্ময় এর সাথে বেশ কয়েকবার অফিসে এসেছিল ও,,তখন জাস্ট দেখেছিল অপূর্ব কে। সেই থেকে পরিচয়। তবে আজ এমন একটা পরিস্থিতিতে তাদের কথা হচ্ছে যখন ভালো করে আন্তরিকতার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ নেই,,,সুযোগ নেই বলা ভুল হবে,,,আসলে কারও মনোভাব আজ ওমন নেই।
অপূর্ব: পূবালী ম্যা'ম,,, স্যারের সেন্স ফিরতে সময় লাগবে।আপনি চলুন,,,ওনাকে একটা সিঙ্গেল কক্ষে রেখেছে।এর পাশে নিয়ে যাচ্ছি আপনাকে।
পূবালী কিছু বলল না,,,শুধু সম্মতিসূচক মাথা নাড়িয়ে অপূর্বর পিছনে চলতে লাগল।তিনতালার একদম শেষের দিকের একটা কক্ষে তন্ময়কে রাখা হয়েছে। কক্ষটার বাইরে টুল রাখা আছে,,,সেখানে ওরা ২ জনে বসল।প্রথমেই রূমে ঢুকতে চেয়েছিল পূবালী,,,কিন্তু ডাক্তার নাকি আগামী তিন ঘন্টা পর দেখা করার অনুমতি দিয়েছে,,,তার আগে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। দুজনেই চুপ করেছিল,,,তবে নিরবতা ভাঙ্গল পূবালী,,
পূবালী:এবার বলুন মি.অপূর্ব কী করে তন্ময় এর এমন দুর্ঘটনা ঘটল???
অপূর্ব : স্যার সিড়ি দিয়ে নামছিল!সেই সময় পড়ে গিয়ে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল।আর স্যারের হাত আর পায়ের কিছু অংশ কেটে গেছে।
পূবালী : কী করে পড়ল ও??? ও তো যথেস্ট সাবধানতার সাথেই সব করে।
অপূর্ব : সেটাই অবাক করার বিষয় ছিল ম্যা'ম।স্যার যখন সিড়ি দিয়ে নামছিল তখন লাফ দেওয়ার মতো করে এক দেড় ফুট উপরে উঠে গিয়ে নিচে পড়ে যান। তিনি তো বাচ্চা না যে সিড়িতেও লাফালাফি করবেন।
পূবালী : আসলে কেন এমন করেছিল ও সেটা ওর সেন্স আসলেই জানা যাবে।
তারপর দুজনেই চুপ করে রইল।তিন ঘন্টা সময় যেন আজ ৯ ঘন্টার মতো দীর্ঘ লাগল।তিন ঘন্টা সময় পার হওয়ার পর পূবালী প্রবেশ করল তন্ময় এর রূমে।তাকে আগেই বলে দেওয়া হয়েছে যেন শব্দ না করে।শব্দ না করলেও পূবালীর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করার শব্দ অনিচ্ছা সত্বেও হচ্ছে।পূবালী গিয়ে তন্ময় এর পাশে বসল।তন্ময় ঘুমিয়ে আছে,,,ঘুমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে,,,আর ৩ ঘন্টা পর ঘুম ভাঙ্গবে ওর। পূবালী যতটা সম্ভব ফুপানোর শব্দ আটকিয়ে কান্না করছে,,,আর তন্ময় কে দেখছে। রিলেশনের পর হতে তন্ময় এর সাথে তার কাটানো সময়গুলো নিয়ে সে ভাবছে।
সময় অতিধীরে পার হলো,,,তিনঘন্টা পর তন্ময় এখনও ঘুমোচ্ছে।তবে ডাক্তারের পারমিশন আছে এ সময় তার ঘুম ভাঙ্গানোর। পূবালী চেয়ার থেকে উঠে তন্ময় এর বেডের কাছে যাবার জন্য উঠল।আর তখনই সে হঠাৎ করে তন্ময় এর পায়ের কাছে অর্পিতাকে বসে থাকতে দেখল। শিড়দাড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাওয়ার কথা এতকাল সাহিত্যের পাতায় পড়েছে পূবালী,,,আজ সে সত্যিকার অর্থে এটা কেমন সেটা বোঝল। অর্পিতার চেহারাটা ফ্যাকাসে,,,একদম সাদা হয়ে আছে।পূবালী যেই তন্ময়কে জাগানোর জন্য ধরতে যাচ্ছিল তখনই চোখের পলকে অর্পিতা তন্ময় এর গলার কাছে চলে আসল পায়ের দিক থেকে।অর্পিতার চোখ এখন কেমন যেন আগুনের মতো হয়ে গেল,,,চেহারাটাও বিকৃত হয়ে গেছে।অর্পিতা গলার কাছে এসেই সরাসরি তন্ময় এর গলায় চাপ দিতে নিল ,,,আর তখনই নিরবতার নিয়ম ভেঙ্গে জোরে চিৎকার দিয়ে সেন্সলেস হয়ে গেল পূবালী।
যখন পূবালীর সেন্স আসল সে দেখল সে তন্ময় এর পাশে শুয়ে আছে।তন্ময় এখন জেগে আছে এবং পূবালীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। পূবালী কে জাগতে দেখে তন্ময় বলল,,,
" তোমার কী হয়েছিল ??? চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলে তুমি."
পূবালী বলল,,," তুমি কী করে জানলে আমি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছি???"
তন্ময় বলল,,," আমি তোমার চিৎকার শুনে সজাগ হয়ে গেছিলাম।তবে শরীরে বল পাচ্ছিলাম না বলে কিছু দেখতে পারি নি।সম্ভবত তোমার চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গল বলেই আমার মাথাটা এখনও বেশি ব্যাথা করছে,,,না এটা হয়তো পড়ে যাওয়ার জন্য হয়েছিল।"
পূবালী তন্ময় এর দিকে তাকিয়ে বলল,,," তুমি তাহলে কী করে আমার অবস্থা জানলে??? আর মাথা কি খুব বেশি খারাপ লাগছে???"
তন্ময় মুচকি হাসল আর বলল,,," মাথায় খারাপ লাগছে না তেমন,,,মাথাব্যাথা করছে এটাই শুধু।আর তোমার অবস্থা জানলাম অপূর্বর থেকে।তোমার চিৎকার শুনে অপূর্ব নাকি এই কক্ষে এসেছিল,,,আর এসে দেখে তুমি সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছ।আর তোমার চিৎকার আর সেন্সলেস হয়ে পড়ে থাকা দেখেই সবটা বোঝল ও। তা চিৎকার করতে গেলে কেন তুমি??? ডাক দিলেই তো উঠে যেতাম।আর চিৎকার দিলে তো দিলে এমন জোরে চিৎকার দিলে যে নিজেই একদম অজ্ঞান হয়ে গেলে,,,হা হা হা"
বেডের পাশের চেয়ারটার দিকে দেখল পূবালী,অপূর্ব সেখানে বসে আছে।লোকটা এতটাই চুপচাপ যে তার উপস্থিতি বোঝাই যায় না।তবে আয়ানের দিকে মন নেই পূবালীর,,,সেই সময়ের ভয়ঙ্কার কথাটা সে ভাবছে।ফলে পূবালীর মুখটায় চিন্তার ছাপ পড়ল। চিন্তিত ভঙ্গীতে বলল,,," আমি তোমায় জাগাতে চিৎকার করি নি।আমি আসলে ভয় পেয়ে,,,"
এমন সময় অপূর্ব4ও বলে উঠল,,," এখন এ বিষয়ে কথা বলা থামান। ডাক্তার আপনাদের এখন বিশ্রাম নিতে বলেছে আর বলেছে যতটা সম্ভব কম কথা বলতে। তাই সবটা কথা নাহয় আপনাদের বাসায় গিয়ে বলবেন।এখন রেস্ট নিন।"
ওরা দুজনেই মাথা নেড়ে অপূর্বর কথায় সম্মতি দিল।
(চলবে...)