ফিসফিসে ছায়া
ফিসফিসে ছায়া
সুহানা ছোটবেলা থেকেই অন্ধকারকে ভয় পেত, কিন্তু দাদির পুরানো বাড়িতে আসার পর সেই ভয় আরও বেড়ে গেল। বাড়িটা অনেক পুরানো, কাঠের দেয়ালগুলো যেন নিজে থেকেই কেঁপে উঠত। গ্রামের লোকেরা এ বাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটত না, বলত, এখানে কিছু আছে… কিছু অদ্ভুত, অশুভ!
এক রাতে, পড়ার সময় হঠাৎ খুব হালকা একটা ফিসফিসানি শুনতে পেল সুহানা। প্রথমে ভেবেছিল বাতাসের শব্দ। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠল।
"সুহানা… পিছনে তাকিও না।"
তার পুরো শরীর অবশ হয়ে গেল। সে তো একা!
কিন্তু কৌতূহল দমন করতে না পেরে ধীরে ধীরে আয়নার দিকে তাকাল। আর ঠিক তখনই তার শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গেল।
আয়নার ভেতরের প্রতিচ্ছবি হাসছে, কিন্তু সে তো হাসেনি!
ধীরে ধীরে সেই হাসি বড় হতে লাগল… অস্বাভাবিকভাবে… আতঙ্কজনকভাবে!
"আরও কাছে এসো… আমাকে বের হতে দাও।"
হঠাৎ বাতি টিমটিম করে জ্বলে উঠল, ফিসফিসানি আরও জোরে হলো।
সুহানা ভয়ে দৌড়ে দরজার দিকে গেল, কিন্তু দরজা কিছুতেই খুলল না! আর তখনই, আয়নার ভেতরের ছায়াটা ধীরে ধীরে বেরিয়ে এলো…
সকালবেলা, গ্রামবাসীরা এসে দেখে, পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ। সুহানা কোথাও নেই।
শুধু আয়নাটাই পড়ে আছে। আর তার মধ্যে আটকে আছে এক জোড়া আতঙ্কিত চোখ… চিরদিনের জন্য!

