"অজানা পৃথিবী "
"অজানা পৃথিবী "
একদিন, শহরের এক কোণে, জনা নামের এক যুবক একটা পুরনো বইয়ের দোকানে ঢুকল। দোকানটা ছিল অদ্ভুত, অন্ধকার এবং এক ধরনের রহস্যময় পরিবেশে পূর্ণ। জনা বইগুলো স্ক্যান করতে করতে একটা পুরনো, আবছা কালো কাভারের বই দেখল। বইটার নাম ছিল "অজানা পৃথিবী"। সে বইটি নিয়ে চলে আসে।
বাড়িতে গিয়ে, জনা বইটির পাতা উল্টাতে শুরু করল। যতই সে পড়তে লাগল, ততই অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকল। বইতে লেখা ছিল যে, যদি তুমি এই বই শেষ করতে পার, তাহলে তুমি অন্য এক বিশ্বে প্রবেশ করতে পারবে। জনা প্রথমে বিশ্বাস করতে চায়নি, কিন্তু বইটা পড়তে গিয়ে তার চারপাশে অদ্ভুত পরিবেশ তৈরি হতে শুরু করল।
হঠাৎ, বইয়ের শেষ পৃষ্ঠার দিকে আসতেই, জনা অনুভব করল, তার ঘরটা সরে যাচ্ছে। তার চোখের সামনে পৃথিবীটা হারিয়ে যেতে লাগল। এক মুহূর্তে সে নিজেকে এক অদ্ভুত, অচেনা স্থানে পেয়ে গেল—অন্ধকার জঙ্গল, হালকা আলো, আর চারপাশে এক রহস্যময় পরিবেশ।
এখানে মানুষ ছিল না, শুধু কিছু অদ্ভুত প্রাণী, যারা তাকে দেখলে পালিয়ে যেত। জনা ভয় পেয়ে দৌড়াতে লাগল, কিন্তু কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। তার মনে হচ্ছিল, সে অন্য পৃথিবীতে প্রবেশ করেছে, এবং তাকে এই স্থান থেকে বের হতে হবে। সে দ্রুত বইটি আবার খুঁজে পেতে চাইল, কারণ তার বিশ্বাস ছিল যে বইটা হয়তো তাকে এই অদ্ভুত জগত থেকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
তবে, কিছু সময় পর জনা বুঝল, যে বইয়ের শেষ পাতা আসলেই তাকে অন্য পৃথিবীতে নিয়ে গিয়েছিল, এবং এখন তাকে নিজের মনোবল দিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। তাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, কিন্তু কীভাবে সে ফিরে আসবে, সেটা সে নিজেই জানত না।
কিন্তু একসময়, তার সামনে এক অদ্ভুত দরজা দেখা দিল, যা তাকে পুরনো পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। জনা সেই দরজার দিকে এগিয়ে গেল, এবং তারপর... সে আবার নিজের ঘরে ফিরে এলো।
কিন্তু তার জীবনে সবকিছু আগের মতো ছিল না। সে জানত যে, কিছু রহস্যময় শক্তি তার চারপাশে ঘুরছে, এবং সেই অজানা পৃথিবী তার কাছে চিরকাল থাকবেই।
