ফেলুদা বনাম জটাদা:দ্বিতীয় পর্ব
ফেলুদা বনাম জটাদা:দ্বিতীয় পর্ব
ফেলুদা বনাম জটাদা: পর্ব ২
বাড়িটার সত্যিই জরাজীর্ণ অবস্থা। মেরামতি করা দরকার। বিশেষ করে একতলাটাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মনে হলো। সিঁড়ির প্লাষ্টার উঠে গিয়ে অধিকাংশ জায়গায় ইঁট বেরিয়ে পড়েছে। একতলায় মুখোমুখি দুটি ঘর। পিছনের দিকের অংশটা ভাঙাচোরা জিনিষে ভর্তি, দেখলে বোঝা যায় বহুদিন বন্ধই পড়ে আছে। একটা দেওয়ালও কিছুটা ভেঙে পড়েছে দেখলাম আমরা। বাড়ির সামনের দিকের ফ্ল্যাটটিতে একটি পরিবার থাকে। কিন্তু ভিতরে কোথাও আলো জ্বলছিলো না। যেন সব নিঝুমপুরী। দরজায় বেল দেওয়ার একটু পরেই আলো জ্বলে উঠলো। মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোক দরজা খুললেন। ভাঙা চোয়াল, বিমর্ষ মুখ, কোটরগত দুটি চোখ। চেহারায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। ইনিই যে মৃতার বাবা, তা আর বলে দিতে হয় না।
ভদ্রলোকের নাম সনৎ সেন। বয়স চল্লিশ-বেয়াল্লিশ হবে। গায়ে হালকা একটা পাঞ্জাবি, তার উপরে চাদর। দু'পাল্লার দরজাটা খুলে সেটারই একটা পাল্লার উপর ঠেস দিয়ে কোনোমতে দাঁড়ালেন তিনি। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়া খুবই স্বাভাবিক। হয়তো সকাল থেকে বিভিন্ন জনকে নানান বর্ণনা দিতে দিতে ক্লান্তও। ডিসুজা সাহেব ছিলেন আমাদের সাথে। তিনি জটাদার আসল পরিচয় না দিয়ে কায়দা করে বললেন, "এনারা একটা সিকিউরিটি এজেন্সির লোক। আসলে ভাবছি বাড়িতে একটা পাহারা রাখবো। কাল যা হয়ে গেলো, তারপর তো আর এভাবে থাকা যায় না।"
ভদ্রলোক কিছু বললেন না, আমাদেরকে একবার দেখলেন শুধু। জটাদা জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি, আপনার মিসেস আর আপনাদের মেয়ে - এই তিনজনেই কি থাকেন এই ফ্ল্যাটে ?"
সনৎবাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, "আসুন -।"
দরজাটা ছেড়ে কাছেই রাখা একটা টুলের উপর ধপ করে বসে পড়লেন ভদ্রলোক। চোখের দৃষ্টি যেন শূন্য।
ঘরের ভিতর ঢুকে খুব অস্বস্তি হচ্ছিলো আমাদের। ভিতরের দিকের ঘর থেকে একটা চাপা কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। অত্যন্ত শোকসন্তপ্ত পরিবেশ।
একসময় সনৎবাবু কিছুটা যেন অস্ফুটেই জটাদার প্রশ্নের উত্তর দিতে মুখে খুললেন। গলাটা ধরা ধরা। বললেন, "তিনজন আর রইলাম কোথায়। মেয়েটা তো চলেই গেলো। আজ থেকে আমরা শুধুই দু'জন।"
জটাদা কিছুটা স্বান্তনা দেওয়ার সুরে বললো, "হ্যাঁ, আমরা শুনলাম। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত সনৎবাবু এই বাড়ির এই মর্মান্তিক খবরে। এতো অল্প বয়সে... কী নাম ছিলো যেন আপনার মেয়ের ?"
ভদ্রলোক একটু নিজেকে সামলে নিয়ে জটাদার দিকে এবার তাকালেন। "ভালো নাম অহনা, ডাক নাম ছিলো পিউ। কিন্তু আপনারা দাঁড়িয়ে রইলেন কেন, বসুন -।" ভদ্রলোক ডাইনিং টেবিল-লাগোয়া চেয়ারের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন। এই ঘরটা দেখলাম বাইরের বসার ঘর কাম খাওয়ারও জায়গা। ঘরে খুব কম পাওয়ারের একটা হলুদ আলো জ্বলছিলো, কেমন মরা-মরা।
জটাদা হাত জড়ো করে বললো, "না আরেকদিন আসবো নাহয়, আজ আর বসবো না। আপনাদের মনের অবস্থা ঠিক কীরকম এই মুহূর্তে, সেটা বুঝতে পারছি। এখনো বডি হাতে পাননি মনে হয়।"
"পুলিশ বলেছে কাল-পরশু পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট আসবে হয়তো। এলে তবেই ছাড়বে। যা কিছু কাজকর্ম সব তার পরেই হতে পারবে।"
"অফিস থেকে এখন ছুটি নিয়ে নিয়েছেন তো ?"
"হ্যাঁ, সে তো এখন যাচ্ছিই না। এক দু'সপ্তাহ পরে দেখা যাবে।"
"সরকারি ?"
"আমার ডিউটি ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। ওই একটা অস্থায়ী পোস্টে আছি আর কি।"
"আচ্ছা, আমরা তাহলে আজকে চলি।" বেরিয়ে আসার আগে ভদ্রলোকের কাঁধে একটা হাত রেখে বললো জটাদা, "আপনার সঙ্গে পরে কথা হবে।"
"তারপর ? তারপর কী হলো ?" অতিশয় আগ্রহের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলো পিঙ্কি।
কাল বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত বারোটা প্রায় বেজে গিয়েছিলো। দুর্গাপুজো হোক কি ক্রিস্টমাস, কলকাতার রাস্তায় আগে গাড়িঘোড়াগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি পিঙ্কি এসে হাজির। কালকে ওকে মেসেজ করেছিলাম। কিন্তু সাতসকালেই এসে হাজির হবে ভাবিনি। ব্রাশও করেনি নাকি।
"তারপর আর কী, আমরা বেরিয়ে এলাম।" আমি আঙুলের কর গুনে বললাম, "আপাতত যে ক'জনের সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে, বলছি। সনৎবাবু ও তার স্ত্রী, সনৎবাবুর মেয়ে পিউ, যে মারা গেছে। মিস্টার ডিসুজা, ওনার স্ত্রী, ওদের একমাত্র মেয়ে মারিয়া। মারিয়ার সঙ্গে এনগেজমেন্ট হয়েছে যার, তার নাম অ্যালিস্টার। ব্যাস।"
"ঈশ, কাল বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়ে আমি কতকিছু মিস করেছি। এই কেসটাতে আমি শুরু থেকে থাকতেই পারলাম না।" পিঙ্কির গলায় আফশোস ঝরে পড়লো।
আমি বললাম, "আরে তুই চিন্তা করছিস কেন। কেস তো এখনো কিছুই শুরু হয়নি। এটা খুনের কেস, নাকি চুরির কেস, নাকি দুটোই - সেটাই তো প্রথমে বুঝতে হবে।"
চুরির কথা শুনে সিগারেট কেসের কথাটা পিঙ্কির মনে পড়লো। বললো, "হ্যাঁ হ্যাঁ, ওই ছবিটা কই দে তো দেখি, ওই বাক্স না কী।"
আমি জটাদার মোবাইলে মারিয়ার পাঠানো ছবিটা খুলে পিঙ্কিকে দিলাম। তারপর খোকনদাকে ফোন করে তিনটে চা উপরে পাঠাতে বললাম।
জটাদা সিগারেট হাতে ঘরে পায়চারি করছিলো। কপালে বেশ কয়েকটা ভাঁজ। যেন কিছু হিসেব করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "কী বুঝছো - কেসটা সিম্পল না কমপ্লেক্স ? খুনের সাথে চুরিটা কি জড়িত মনে হয় ?"
জটাদা প্রথমে কোনো উত্তর দিলো না। তারপর খোলা জানলা দিয়ে তাকিয়ে দূরের বিল্ডিংগুলো দেখতে দেখতে কিছুটা যেন আপনমনেই বললো, "আমরা যখন একতলার ঘরে ঢুকলাম, খুব কম পাওয়ারের একটা হলুদ আলো জ্বলছিলো।" তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো, "ঋভু তোর মনে আছে ?"
"হ্যাঁ, মনে আছে।" আমি বললাম, "আলো তো জ্বলছিলোই না মনে হয়, দরজা খোলার আগে উনি আলো জ্বালালেন। এতো বড়ো শোকের মধ্যে আছেন ওনারা, আলো জ্বালাননি হয়তো আর সন্ধ্যের পরে।"
খোকনদা এই সময় এসে আমাদের চা দিয়ে গেলো। আমি চট করে উঠে মুখটা ধুয়ে এসে বসলাম। পিঙ্কিকে বললাম, "তুই কী দেখছিস বলতো তখন থেকে মোবাইলে ?"
"হুম, দেখছি বাবা, ভালো জিনিষই দেখছি। জটাদা এই দ্যাখো, তোমার মারিয়া ম্যাডাম তো ইন্সটাতে বেশ জনপ্রিয় গো। মডেলের পোজে কত ফটো পোষ্ট করেছে। রীতিমতো ঘন্টায় ঘন্টায় পোষ্ট মারে দেখছি।"
"তাতে কী হলো ?" আমি খোঁচা মেরে বললাম, "তোর মতো ভূতনী তো নয়। দেখতে সুন্দর, তাই পোষ্টায়। সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র, শুনিসনি ?"
"অ্যাই তুই আমাকে ভূতনী বলবি না। একদম বলবি না। টেস্টলেস একটা অকাল কুষ্মান্ড কোথাকার। তুই আর কী বুঝবি। আমার হলো গিয়ে ন্যাচারাল বিউটি।"
"হ্যাঁ, ওই মরুভূমি অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মতো।"
পিঙ্কি রাগের চোটে হাতের সামনে আজকের খবরের কাগজটা পেয়ে ওইটাই ছুঁড়ে মারলো আমার দিকে। বললো, "রাস্কেল -।"
"এই তোরা ঝগড়া করিস না।" জটাদা বিছানার উপরে বসে চায়ে চুমুক দিয়ে বললো, "ঋভু, খবরের কাগজটায় দেখ তো কিউরেটর বা পুরোনো শৌখিন সামগ্রীর কোনো বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে কিনা। থাকলে, নাম আর অ্যাড্রেসটা নোট করে নিস।"
আমি কাগজটা খুলে দেখতে থাকলাম। পিঙ্কি বললো, "জটাদা, এই মিস্টার ডিসুজাকে তুমি কীভাবে চেনো ? উনি যা বলছেন, সেটা সত্যি বলছেন কিনা -।"
"মিস্টার ডিসুজা ইতিহাসের অধ্যাপক। বাবার একটা কেসে হেল্প করেছিলেন একবার। সেই থেকে ডিসুজাদের ফ্যামিলির সাথে আমার বাবার পরিচয় ছিলো। বাবার কাছে শুনেছিলাম।" জটাদা সকালের চায়ে চুমুক দিয়ে বললো। "আর তাছাড়া উনি মিথ্যে বলতে চাইলে তো পুলিশকেই বলতে পারতেন। খামোখা আমাকে এর মধ্যে জড়িয়ে নিজের বিপদ বাড়াবেন কেন। তবে সন্দেহের ঊর্ধ্বে কেউই নয় যদিও।"
"তাহলে কি ওনার আশঙ্কাটা সত্যি ? মানে ওনাকে কেউ খুনের চেষ্টা করছে ? সেটা কি সেই প্রোমোটার বা তারই কোনো লোক হতে পারে ?"
"হতে নিশ্চয়ই পারে।" সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলো জটাদা।
"উফ, বলো না তাহলে আমাদের পরবর্তী প্ল্যানটা কী ?"
"তোর ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে না-পারার দুঃখটা হয়তো আজই ঘুচে যাবে। আমি একবার ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিই, দাঁড়া।"
জটাদা ফোন করলো কাউকে। সে রিসিভ করলো। আমরা ওপাশের কথা শুনতে পাচ্ছিলাম না। জটাদা তাকে বললো, "গুড মর্নিং, আমি প্রজ্জ্বল মিত্র বলছি। ওদিকের খবর সব ভালো তো ?.... আচ্ছা, আজ বিকেল চারটের সময় আমরা এলে অসুবিধা হবে ?.... কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার ছিলো.... না, সবাইকেই লাগবে.... হ্যাঁ, বিশেষ কিছু না, একটু সবার সাথেই কথা বলার দরকার.... ঠিক আছে, তাহলে ছ'টার দিকে গেলে ?.... ওকে, তাহলে আমরা ছ'টার সময় যাচ্ছি... ধন্যবাদ।"
"কোথায় যাচ্ছি আমরা ?" কৌতূহলের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলো পিঙ্কি।
"স্যার এলিজা ইম্পের ডিয়ার পার্কে।" হেয়াঁলি করে বললো জটাদা।
"মানে ?"
আমি খোলসা করলাম, "মধ্য কলকাতার মিডলটন রো। সেখানে একসময় একটা ডিয়ার পার্ক ছিলো। ডিসুজা সাহেব যেখানে এখন থাকেন।" তারপর জটাদার উদ্দেশ্যে বললাম, "একটাই বিজ্ঞাপন খুঁজে পেলাম। আইস স্কেটিং রিং-এ আজ বেলা বারোটার সময় এক্সিবিশান কাম নিলাম হবে, পুরোনো বনেদি কিছু জিনিষের। তার মধ্যে বেশ কিছু কালেকশান আইটেম থাকছে। প্রবেশ অবাধ।"
"গুড। তাহলে বারোটার সময় ওখানে গিয়ে সন্ধ্যের মুখে মুখে আমরা পার্কস্ট্রিট চলে যেতে পারবো।" জটাদা বললো।
"কিন্তু তুমি কি সন্দেহ করছো যে ওই পুরোনো সিগারেট রাখার বাক্সটা চোরেরা নিলামে বিক্রি করার চেষ্টা করবে ?"
"না। সিগারেটের বাক্সটা সম্ভবত এখনো ওই বাড়িতেই আছে, বাইরে যায়নি। ঋভু, মোবাইলের ছবিটা জুম করে দেখ তো কোনো কিছু ছোট লেখা দেখতে পাস কিনা। কোনো নাম বা আর কিছু।"
"আমি দেখছি।" তৎপর পিঙ্কি সঙ্গে সঙ্গে বললো। আমাকে কিছু করতে হলো না। ও-ই জুম করে দেখে আবিষ্কার করলো, "এই তো। সাল লেখা আছে। নাম কোনোকিছু লেখা নেই। সাল লেখা আছে একটা - সতেরোশো ছিয়ানব্বই।"
"১৭৯৬ ? মাই গুডনেস!" আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, "এ তো দুশো বছরেরও বেশি পুরোনো। এর দাম নিশ্চয়ই অনেক হবে।"
"ইয়েস।" একটা সিগারেট ধরিয়ে জটাদা বললো, "এখন জানতে হবে, এই সুপ্রাচীন জিনিষটার কথা কে কে জানতো।"
"কিন্তু খুনের সাথে এই বাক্সটার কী সম্পর্ক ? মানে আমি বলতে চাইছি, এই বাক্সটার জন্য বাচ্চাটাকে মারার তো কোনো মানে হয় না।"
"তা হয় না। আবার হতেও পারে। ধর বাচ্চাটা এমন কিছু হয়তো দেখে ফেলেছিলো, যার মূল্য তাকে দিতে হলো। তবে এটা একটা সম্ভাবনা মাত্র। আসল ঘটনা অন্যরকমও হতে পারে। ভাবতে হবে রে।"
"আরিব্বাস, আমি কী পেলাম দ্যাখো- দ্যাখো জটাদা", পিঙ্কি উত্তেজিতভাবে মোবাইলটা নিয়ে এলো আমাদের কাছে। "এই দ্যাখো, মারিয়া ম্যাডামের বার্থডে পার্টির ভিডিও। লাইভ পোস্ট করেছে।"
আমরা ঝুঁকে পড়ে দেখলাম। সত্যিই মারিয়ার বার্থডে পার্টি। কেক কাটছে মারিয়া, হই-হুল্লোড় চলছে। কিন্তু ডেটটা খেয়াল করে আমি বললাম, "ধুস, এটা পুরোনো ভিডিও। গত বছরের ভিডিও। তুইও যেমন।"
"ও সরি। সরি।" পিঙ্কি বললো।
জটাদা পিঙ্কির হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে ভিডিওটা মনোযোগ সহকারে দেখছিলো। পিঙ্কি আমাকে প্রশ্ন করলো, "খুনটা হলো কীভাবে সেটা কিছু বুঝতে পারলি তোরা ? মানে বিষ ছিলো কীসে ? বাচ্চা মেয়েটা যা খেয়েছে, বাকিরাও তো সেসব খেয়েছে। তাহলে ?"
আমি বললাম, "হয়তো বিষটা অল্প মাত্রায় ছিলো। বাকিদের তেমন এফেক্ট করেনি, ওই মেয়েটা বাচ্চা বলে ওর উপর বেশি এফেক্ট করেছে।"
জটাদার দৃষ্টি দেখলাম আবার দূরের বিল্ডিংগুলোর দিকে চলে গেছে। কপালে অনেকগুলো ভাঁজ। বললো, "ফরেনসিক রিপোর্ট এলেই সেটা বোঝা যাবে, কোনো খাবারে বিষ ছিলো, নাকি বিষ বাইরে থেকে শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে।"
(এরপর আগামী সংখ্যায়)