পাহাড়ি ঝরনা
পাহাড়ি ঝরনা


পাহাড়ি অঞ্চল, চারিদিকে শীতল বাতাস বইছে, সায়ক পাহাড়ি সরু পথ দিয়ে একাকী হেঁটে যায়। শীতল বাতাস যেন তাকে স্পর্শ করে তার মধ্যে এক শীতলতার আমেজ সৃষ্টি করে। চারিদিকে এক নিস্তব্ধতা। হঠাৎ নিস্তব্ধতার মধ্যে জলের শব্দ তার কর্ণকুহরে প্রবেশ করে। সে তখন কৌতুহলী হয়ে পরে জলের উৎস দেখার জন্য। এগিয়ে দেখতে পায় এক পাহাড়ি ঝরনা। দেখে সে অভিভূত হয়ে গেল। তার চারপাশে ছোটো ছোটো ঝোপেতে প্রজাপতিরা আপন মনে খেলা করে। সায়কের চোখে পরে ঝরনার সামনে একটি মেয়ে বসে আছে। তার খোলা চুল শীতল বাতাসে উড়ে যেন গগন স্পর্শ করছে। তার কেশসজ্জা দেখে সায়ক মুগ্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ মেয়েটি পিছনে তাকায় আর সায়ক তাকে দেখে বলে ওঠে,"সায়নী, তুই এখানে?" সায়নীও সায়ককে দেখে অবাক হয়ে যায়। সায়নী বলে,"আমি তো পরিবারের সাথে ঘুরতে এসেছি এখানে।" সায়ক ও সায়নী অনেকদিনের পরিচিত। তারা দুজন দুজনকে একাদশ শ্রেণি থেকে চেনে। কিন্তু তখন তাদের মধ্যে কোনো কথা হতো না। এখন তারা একই কলেজে পড়ে। এখন তাদের মধ্যে নিয়মিত কথা হয়। তারপর তারা দুজন পাহাড়ি ঝরনার ধারে বসে গল্প করতে থাকে। সায়ক ঝরনা দেখে বলে ওঠে,"দেখ সায়নী, জলের কি তেজ! যেন মনে হচ্ছে, সব অশুভ শক্তিকে নাশ করে শুভশক্তির বার্তা নিয়ে আসছে।" সায়নী বলে,"ঠিক বলেছিস। আর ওই দেখ রঙিন প্রজাপতিগুলোকে, যেন মনে হচ্ছে তারা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।" এইভাবে তাদের গল্প চলতে লাগে। পাহাড়ি ঝরনার জল তীব্র বেগে নীচে পরে জলীয় বাষ্পের মতো সৃষ্টি করে। সেই জলের কিছু বিন্দু তাদের গায়ে এসে পরে। আর তারা দুজন যেন নতুন করে নিজেদের চিনে নিতে থাকে। পাহাড়ি ঝরনার জল নীচে পরে যেমন সমুদ্রে গিয়ে মেশে ঠিক তেমনি সায়কের মন সায়নীর মনের সাথে একাত্ম হতে থাকে। পাহাড়ি ঝরনার এই অকৃত্রিম সৌন্দর্য্য তাদের পুলকিত করে।