নীরার সাথে এক রাত
নীরার সাথে এক রাত
নীরার সাথে এক রাত
Dr Krishna Banerjee
কলবয় অনিরূদ্ধ প্রতিটা রাত তার জীবনের সোহাগরাত। বড়লোকের মেয়েদের নিয়মিত জামাকাপড় খোলানো এক একজনের এক একরকম দৈহিক গঠন দেখতে দেখতে এখন মেয়ে শুনলেই কেমন যেন ঘিন্না হয় তার কিন্তু উপায় কি এটাই তার প্রফেশন। এক রাতের ইনকাম মিনিমাম দশহাজার। উপার্জন মন্দ নয়। তার বিনিময়ে এক একজনতো আটঘন্টায় আটবার সহবাসে করতে পারলেই বাঁচে, অনিরুদ্ধ ভাবে এটাকি সত্যি সত্যি উত্তেজনা নাকি পয়সা ওশুল। তবে ওদের শরীর দেয় বটে। আজ একটি নতুন কল এসেছে অনিরুদ্ধ পনেরো হাজারে পাকা করেছে ডিল। এটা নতুন পার্টি তাই তেমন একটা বার্গেনিংয়ের মধ্যে সে আসেনি।এক কথায় রাজিহয়ে যায় সে। রাত দশটার মধ্যে যথস্থানে উপস্থিত হলো অনিরূদ্ধ সেখানে পৌঁছে যা ঘটলো তা অনিরূদ্ধ কল্পনাতেও ভাবতে পারলোনা।
না হয় এ মেয়ে অন্যদের মতো নয় না হয় বিষটা প্রথমবার বলে এখনো অভ্যস্থ হয়ে ওঠেনি সে। সোফাতে বসতে বলে মেয়েটি ভিতর থেকে একটি প্লেটে দুটো মিস্টি আর একগ্লাস জল নিয়ে এসে তাকে দিয়ে বলে এটা খেয়েনিন আর পকেট থেকে টাকাটা বার করে তার হাতে তুলে দিয়ে বলে এটা রাখুন আপনার পারিশ্রমিক। অনিরূদ্ধ বলে পরিশ্রম করলাম কোথায় যে পারিশ্রমিক নেবো নীরা বলে পরিশ্রমতো করবেনই এটা ধরুন এখনো অনেক সময় আছে। অনিরূদ্ধ তার ব্যবহার কিছুই বুঝতে পারছেনা অনিরূদ্ধর জীবনে কখনো এমনটা হয়নি আজ অনিরূদ্ধ ভয় পাচ্ছে আজকে তার কপালে একটা দুটো ঘামের বিন্দু পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়। হঠাৎ নীরা বলে ডিনারে কি খাবেন? অনিরূদ্ধ বলে মানে? মানে রাতভোরতো আর না খেয়ে থাকা সম্ভব নয় খালিপেটে কিছুই ভালো লাগবেনা চিকেন না মিট? কিছু না বুঝেই অনিরূদ্ধ বলে চিকেন....... চিকেন হলেই চলবে। নীরা তাকে বলে আপনি বসুন আমি এখুনি আসছি নীরা চলে যায় কিছুক্ষণ পর সে চিকেন কষানো আর হাতে বানানো রুটি সহযোগে উপস্থিত হয় টেবিলের উপর রেখে বলে চলুন এবার খাওয়া শুরু করা যাক। অনিরূদ্ধ হতবাকের মতো তারদিকে তাকিয়ে থাকে, নীরা বলে এইযে মিস্টার বসে থাকলে হবে হাত চালাও আমার ভিষন খিদে পেয়েছে। অনিরূদ্ধ বলে হ্যাঁ এইতো খাচ্ছি। তারা খেতে আরম্ভ করে খেতে খেতে অনিরূদ্ধ বলে আপনি কি চাইছেন বলুনতো পয়সা দিয়ে আমাকে খাবার খাওয়াচ্ছেন বেপারটা কি? নীরা একটু হেসে বলে যানেন কিছু মানুষ আছে যারাভাবে পয়সা দিয়ে সবকিছু পাওয়া যায়। আমার বাবা - মা তেমনই ব্যক্তি আমাকে পয়সা দিয়ে মুরে দিয়েছে, আমার ব্যাঙ্কে ঠিক কতটাকা আছে তা আমার নিজের অজানা কিন্তু ছোটথেকে এতটা বড় হয়ে গিয়েছি একদিনো আপন জনদের সাথে একটেবিলে বসে খাবার খাইনি আর বাবা - মা তাদের তাদের মুখটাইতো আমার কাছে আবছা। আপনি জানেন এই প্রথম আপনার সাথে এক টেবিলে বসে খাবার খেলাম I কিন্তু আমি যে মন্দ মানুষ আমার পরিচয় হলো আমি একজন প্লেবয় I পয়সার বিনিময়ে বড়োলোকের মেয়েদের দৈহিক পরিতৃপ্তি দিয়ে থাকি। জানিতো আর এটাও জানি কেউ জন্মেই খারাপ হয়না আমি আপানার বন্ধু হতে চাই। অনিরূদ্ধ বলে দেখুন আমি আপনার বন্ধু হবার যোগ্য নই লোকে আপনার বদনাম করবে। নীরা বলে কোন লোকের কথা বলছেন যারা আমার জীবনের একুশ বছরের জীবনে একটি বারের জন্যেও জানতে চায়নি আমি আদেও বেঁচে আছি কিনা ওদের নিয়ে আমি ভাবিনা আপনি আমার বন্ধু হবেন কিনা? অনিরূদ্ধ তাকে বলে যানিনা আমি কতটা আপনার বন্ধু হতে পারবো তবে আজকের রাতটা আমি জীবনে ভূলতে পারবোনা এটা আপনাকে কথা দিলাম। নীরা বলে আমার পারসোনাল নাম্বার দিয়েই আপনাকে ফোন করেছি অন্যদের মতো ফেক নাম্বারে ফোন করিনি আপনার কোন তারা নেই আপনি ধিরে সুস্থে ভেবে আমাকে জানাবেন কেমন। কথায় কথায় সকাল হয়ে যায় অনিরূদ্ধ বলে সকাল হয়ে গিয়েছে এবার আমায় যেতে হবে I নীরা বলে হ্যাঁ ঠিক আছে নিচে আমার গাড়ি রয়েছে আপনাকে ছেড়ে দেবে। অনিরূদ্ধ চলে যেতে যায় আবার ফিরে আসে পকেট থেকে টাকাটা বের করে তারদিকে এগিয়ে দিয়ে বলে এটা রাখুন নীরা বলে সারারাত যেগে খালিহাতে ফিরবেন এটা আপনার রাতজাগার পারিশ্রমিক । অনিরূদ্ধ বলে এক বন্ধু যদি অপর বন্ধুর খুশির জন্য রাত জাগে তাহলে বুঝি পারিশ্রমিক দিতে হয় আপনার যখন মনখারাপ হবে তখন আমায় একটা ফোন করে দেবেন আমি হাজির হয়ে যাবো এবার এটা রাখুন আমাকে বেরতে হবে। নীরা টাকাটা হাতে টিয়ে বলে বন্ধু কখনো আপনি হয়না অনিরূদ্ধ বলে ওটা ধিরে ধিরে ঠিক হয়ে যাবে এখন আমি চলি I অনিরূদ্ধ বেড়িয়ে যায় I নীরাকে অনেকটা বেশি প্রাণবন্ত দেখায় তার মুখে যেন একটা আনন্দের হাসি রেখাপাত করে যায়।
🙏 সমাপ্ত 🙏