ময়নামতি
ময়নামতি


গেলবার পূজায় স্কুল মাঠের যাত্রায় যে কৃষ্ণ রাধারে সই কইলো? তাতে তো হেইদিন রাধা তো গোস্যা অয় নাই!
রাধা তো আর তোর মতো কালা ছিলান না,তাইলে তোর এতো দেমাগ কেনরে মাগী? যা, আমারও তোরে দরকার নাই, গঞ্জে কি মাইয়ার অভাব পরসে? যা ছেমরি, তুইও ভাগ !" এই বলে এক ডুবে নদীর পাড়ে ভিড়লো, অমল আর পেছনে ফিরে চায় নি সেদিন। কিন্তু, ময়নামতি পেছনে ফিরে চেয়েছিল ! ভরাট কন্ঠের শক্ত শরীরের পুরুষ অমলকে দেখতে সেদিন ময়নামতিরও ভালো লেগেছিলো ! এমনিতে ভালো মানুষ হিসেবে অমলের পাঁচ গাঁয়ে নাম ছিলো ! তাই অমলকে আগে থেকেই জানতো ময়নামতি। মনে মনে হাসতে হাসতে আরো বেশী জল গায়ে নিয়ে সুখ মেখেছিলো মনে মনে । কতদিন পুরুষ মানুষের শরীরের গন্ধ পায় না ! সেই কবে সোয়ামী মরলো বিয়ের সাত মাসের মাথায়,
সেই যে গঞ্জে গেলো, আর মানুষটা বাড়ী ফিরলো না, ফিরলো শুধু একটা অচেনা শরীর ! গাঁয়ের মাঝ দিয়ে নতুন পাঁকা রাস্তা গেছে, সেই পাঁকা রাস্তায় এখন অনেক দুরপাল্লার দামি দামি ঠান্ডা গাড়ি চলে ! ময়নামতির খুব শখ ছিলো তার সোয়ামীকে নিয়ে সেই গাড়ি করে ঘুরতে যাবে, সেই গাড়িতে নাকি বসে বসে সিনেমা দেখা যায়, গান শোনা যায়, আবার দামি দামি খাবারও মেলে টাকা দিলে ! গেলোবার পূজোয় গাঁয়ের ধনী বাবু চন্দনের নাতনী বলেছিলো ময়নামতিকে। ময়নামতির সোওয়ামী পরের জমিয়ে ক্ষেতি দিতো, আর ময়নামতি বাড়ী বাড়ী কাজ করে, দুজনের পয়সায় ভালই ছিলো।