মানুষ মানুষের জন্যে
মানুষ মানুষের জন্যে


জীবন যেখানে সামাজিকতা সেখানে। পশু,পাখি, পতঙ্গ প্রত্যেকে নিজের মতো করে জীবনকে সামাজিক করে তোলে। পরিবেশের সব দিকের সাথে সমন্বয় রেখে চলা হোল সামাজিক জীবন।
"মানুষ মানুষের জন্যে" এটাই হলো সামাজিক জীবনের মূল সুর। সমাজে অন্যের নিজেকে বিকাশের অধিকার আমাকে মেনে নিতে হবে তেমনি অন্যেও আমার বিকাশের অধিকার মেনে নেবে তবেই সামাজিক জীবন গতিশীল হয়ে উঠবে।
সামাজিক জীবনে অনেক না পাওয়ার বেদনা ব্যক্তি মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় তেমনি অনেক কিছু পাওয়ার আনন্দও তাকে উদ্বেল করে রাখে।আমি যা চেয়েছি তা হয়তো পাইনি, যা চাইনি তা হয়তো পেয়েছি। এই না চাওয়ার পাওয়াকে মানিয়ে নেওয়ায় হলো সামাজিক জীবনের স্বার্থকতা।
সামাজিক জীবন আছে বলেই বন্ধু আছে, বান্ধবী আছে, প্রেয়সী আছে, ভাই আছে, বোন আছে, মা-বাবা আছেন।সমাজ বিহীন জীবনে এসব সম্পর্কের কোন মূল্য থাকে না। সব সম্পর্কই সামাজিক।
সম্পর্কের নিরেট জালে নিজেকে আবদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়া হলো সামাজিক জীবনের স্বার্থকতা।
অনেক রাত পর্যন্ত তিমির পড়াশোনা করে, লেখালেখি করে। তিমিরের মেয়ে তিতলি বলে বাবা তুমি এখনো পর্যন্ত কি পড়ো? তুমি তো চাকরি করো তাহলেও কেন পড়ো? আসলে তিমির চাকরির পাশাপাশি কবিতা, গল্প লিখে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় পাঠায়, সেখান থেকে কিছু অর্থ উপার্জন করে। এতে সংসারের স্বচ্ছলতা বাড়ে,নিজের মানসিক তৃপ্তি আসে, সাহিত্যের অগ্রগতিতে সমাজের অগ্রগতি হয়, সেইসব লেখা পড়ে কতো মানুষ অবসর যাপন করে, নিজেরা মনে আনন্দ পায়। তিমির অফিসে গেলে সহকর্মীদের অনেকে বলে দাদা দেশ পত্রিকায় আপনার লেখাটা পড়লাম খুব ভালো লাগলো, রাস্তাঘাটে পরিচিতদের অনেকে একই কথা বলে। গর্বে তিমিরের বুক ভরে যায়। মনে মনে ভাবে সমাজ না থাকলে কে আমার লেখা পড়তো, কেই বা প্রসংশা করতো। তিমির সমাজকে ধন্যবাদ দিতে থাকে।