মা
মা
মা গো; তুমি চলে গেছো অনেকদিন হলো; কিন্তু আজও তোমার নম্বর মোবাইল থেকে ডিলিট করতে পারিনি । কি জানি কেন মনে হয় ; হটাৎ তুমি ফোন করবে; তোমার গলা শোনার অপেক্ষায় কেটে যায় রাত্রি দিন অষ্টপ্রহর।
তোমার কাপড়গুলো আজও ধুয়ে আলনায় গুছিয়ে রাখি। মনে হয় জানো মা, তুমি অফিস থেকে এসে আলনা থেকে একটা সুন্দর শারি এসে পড়বে। আলনা অগোছালো দেখলে আবার আমার গুষ্টিসুদ্ধ উদ্ধার করবে।
আজও সকাল দশটা বাজলে মনে হয়, এইতো মা অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হবে, আমাদের বারবার তাড়া দেবে বাবা খেতে আয়, তোমার মেয়ে চন্দ্রা কে ডাক দেবে মা খেতে আয়, মাছ ভেজে দি। হ্যাঁ তোমার মেয়ে, তোমার পুত্রবধূ নয়, তুমি তো বাইরে সবার সামনে তাই বলতে চন্দ্রার অলক্ষে।
মনে হয়
এখনো ঝগড়া করলে বাচ্চা মেয়ের মতো অভিমান করে বসে থাকবে, চকলেট চাইবে, আইসক্রিম চাইবে, নাহলে মুখ ফুলিয়ে বলবে নামেই তোমরা বাবা, নাহলে আমার মত ছোট মেয়ের খেয়াল রাখনা, হু।
জানো মা তোমার একটাও ফটো রাখিনি আমি, কেনো রাখবো? ফটোতে তোমায় মনে করবো, এতবড়ো ধৃষ্টতা আমার নেই।
জানি তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেছো না ফেরার দেশে, তবুও আজও বাড়ি থেকে বেরোলে বলি; মা আসি, আমার প্রত্যুত্তর দেয়না কেউ। তবুও কেনজানি মনে হয়, তুমি ছাদের উপর থেকে আমাদের যাবার পথে চেয়ে আছো।
মা , তোমায় দেখে মনে হয় যে দুহাতে কুর্নিশ করি নারীজাতিকে। নারীরা নিজের মা বাবা ছেড়ে বিয়ের পর চলে আসে আরেকঘরের লক্ষ্মী হোয়ে। কিন্তু ছেলেরা তাদের মা ছাড়া এখনো অন্ধকার দেখে দুচোখে। এইখানেই নারীরা সত্যিকারে এম্পাওয়ারড, সাহসী, শক্তিশালী।
বিদায় মা, তোমার চকলেট আর ফুল রেখে গেলাম। আবার আরেক জন্মদিনে আসবো।