চাকরীটা আমার এবারও হলো না। রাতে বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে মা অবশ্যই জিজ্ঞেস করবেন আমার চাকরি হয়েছে কিনা। সম্ভব হলে আজও চুপ থাকবো অথবা বলবো এখনো ফলাফল দেয় নি। কারণ নিজেই বহুদিন ধরে নানান বিষন্নতায় ভুগছি। মন ভালো থাকে না। মা জিজ্ঞেস করলেই বলবো চাকরীর ফলাফল দিতে অনেক দেরী আছে।
রাতে ঘরে ঢুকতেই মা জানতে চাইলেন আমার চাকরি হলো কিনা? আমি চুপ না থেকে মিথ্যে বললাম। মা আমার কথা শুনে মন খারাপ ভঙ্গিতে আর কিছু বললো না। কিছুসময় পর মা আমার রুমে এসে আমার কাঁধে বলতে লাগলেন, “শোন, ছোটবেলায় তুই যখন স্কুলের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে বিজয়ী হয়ে বাসায় ফিরতি, তখন বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে তোর পুরস্কার দেখতে দিতি। মায়ের সাথে এতোটা দূরত্ব কিসের তোর? আমি তো জানি তোর মনের অবস্থা।’’ এই কথা বলে মা কাঁদতে লাগলেন। আমার এই পঙ্গু মায়ের চোখের জল আমি কেনো জানি একদমই সহ্য করতে পারি না। ‘‘মা, তুমি কেঁদোনা। আমি কখনো হাল ছাড়বো না। আমার জন্য দোয়া করো মা। আমি অবশ্যই একদিন বিজয়ী বেশে ফিরবো। পৃথিবীতে আমার মনের অবস্থা তুমি ছাড়া আর কেউ বুঝে না।’’ এই বলে তন্ময় তাঁর মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।