লকডাউনে ওরা
লকডাউনে ওরা


ভোরবেলা কোঁকোড়-কো যখন তার লাল ঝুটি ঝাঁকিয়ে, গলা তুলে ডাক ছাড়তে যাবে ঠিক তখনই সে হঠাৎ ভ্যাবা-চ্যাকা খেয়ে গেল। কি ব্যাপার! রাস্তাঘাট এত শুনশান কেন? মানুষজন কেউ নেই! কৌতূহল কোনোরকমে নিবারণ করে সে আবার গলা তুলে ডাকতে যাবে এমন সময় পাশে গাছের ডালে একটি দাঁড়কাক এসে বসল।
-কি হে মোরগ ভায়া, খবর কি?
- কি আর বলব ভাই, চারিদিকে তাকিয়ে আমার এত রহস্যময় ঠেকছে যে আর গলায় ডাক আসছে না।
- আমারও তো একই অবস্থা। কি যে হল বুঝে উঠতে পারছিনা। কেন যে সবকিছু বন্ধ কে জানে?
এরইমধ্যে একটি কোকিল ওদের সাথে যোগ দিল।
- আরে! তোমরা জানো না! শুনলাম একটা পুঁচকে ভাইরাস যাকে খালি চোখে দেখা যায় না, সে নাকি মানুষদের আক্রমণ করে বেড়াচ্ছে। তাই, আজ থেকে যে লকডাউন। তাই কেউ বাইরে বেরোতে পারবে না। কি মজা কুহু, কুহু, কুহু…...
কাক বাবাজী তাকে ধমক দিয়ে বলল, “থামো তো! ওই ভাইরাসটা তো আমাদেরকেও আক্রমণ করতে পারে, না কি! তাছাড়া যেখানে ওদের আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ওরা হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমাদের তো কোন ছাড়।কা কা…... ”
মোরগটা বলল, "ঠিকই তো। বড়োই চিন্তা ঘনিয়ে আসছে মাথায়। তবে আনন্দও হচ্ছে। আমাকে কেউ আর খাওয়ার জন্য ধরতে আসবে না। মানুষের পাতে নয় এবার পাশে থাকব। তাই, মনের সুখে ডেকে নিই কোঁকড়-কো, কোঁকড়-কো,........”