Indranil Majumder

Classics Others Children

5  

Indranil Majumder

Classics Others Children

গাছেদের নেটওয়ার্ক

গাছেদের নেটওয়ার্ক

7 mins
1.0K


সেটা ছিল মার্চ মাস। তখন সবে বসন্ত শুরু হয়েছে। শীতকালে ঝরে যাওয়া গাছের পাতা আবার নতুনভাবে গজাতে শুরু করেছে। মনে হয় যেন প্রতি বসন্তে গাছেরা নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। এরসাথে তাদের মধ্যে ফুলও ফুটেছে। নতুনভাবে যখন প্রকৃতি জেগে উঠছে তখন একদিন বিকেলে আমরা অর্থাৎ ‛বিজ্ঞান পাঠশালা’ নামক বিজ্ঞান ক্লাবের সব সদস্যরা কলকাতার ফুসফুস নামে ডাকা হয় যাকে সেই রবীন্দ্র সরোবর লেকের ধারে ঘুরতে এলাম। সদস‍্যদের সবার সামান্য বৈকালিক ভ্রমণ আর কি! নানান গাছপালার সমারোহ, পাখির কিচিরমিচির, নানান মানুষের যোগ-ব‍্যায়াম, হাঁটাহাঁটি,গল্প-আড্ডা ইত্যাদি কাজকর্ম যেন মুখরিত করে রেখেছে এই রবীন্দ্র সরোবর লেক ও তার আশেপাশের বিস্তৃত পার্ককে। আমরা বেশ খানিকটা ঘুরে-ফিরে এসে বসলাম সাফারি পার্কের এক বটগাছের তলায়। আমাদের সাথে ছিলেন আমাদের এই বিজ্ঞান ক্লাবের প্রধান সম্পাদক ও কার্যনির্বাহক প্রফেসর বালককৃষ্ণ হাজরা, যাঁকে আমরা সবাই ‛প্রফেসর বালক’ বা ‛বিজ্ঞানীকাকু’ নামে ডাকি। তিনি একজন সত‍্যিকারের বলতে গেলে বিজ্ঞানের সাধক। বিজ্ঞানের এক মস্ত বড়ো পণ্ডিত। রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় এম.এসসি., বিজ্ঞানে ডক্টরেট, দেশ-বিদেশের নানা নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণা করে অবসর গ্রহণ করে বর্তমানে তিনি আমাদের পাড়ায় এসে আমাদের সাথে বিজ্ঞানের আড্ডায় মজে থাকেন। সাদা পাঞ্জাবী-পায়জামা,দড়ি-ঝুলানো চশমা, মুখে একগাল দাড়ি, মাথায় উশকো-খুসকো চুল, কাঁধে ঝোলানো ব‍্যাগ– বিজ্ঞানীকাকুর এই চিরাচরিত স্টাইল যেন তাঁর বৈজ্ঞানিক পাণ্ডিত‍্যের প্রতীক। আর সত্যিই বলতে কি তাঁর পাণ্ডিত্য এতখানি যে বিজ্ঞানের যেকোনো দুরহ, কঠিন বিষয় বা তথ‍্য ও তত্ত্বকে সহজ-সরল করে বোঝানোয় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তাঁর ‛বিজ্ঞানের গল্প’ আকৃষ্ট করে রেখেছে সব ধরনের, বয়সের ও পেশার মানুষকে। তাই বিজ্ঞান পাঠশালায় অল্প বয়সীদের পাশাপাশি বয়স্ক সদস‍্যরাও রয়েছেন। তো আজ বটগাছের তলায় তাঁকে ঘিরে আমরা সবাই বসলাম। আজ এখানেই হবে ‛বিজ্ঞানের গল্প’ বা বলা যায় আমাদের বিজ্ঞানের আড্ডা।


প্রথমেই বিজ্ঞানীকাকু আমাদের জিজ্ঞেস করলেন,“আমরা তো আজ প্রকৃতির মাঝে গাছপালার কোলে এসেছি। গাছেদের সঙ্গে আজ আমাদের এক নিবিড়ভাবে পরিচয়লাভের দিন। আচ্ছা, গাছেদের ব্যাপারে তোমাদের কার কি মতামত? শুনি।”


আমরা সবাই আমাদের মতামত জানালাম যার সারমর্ম হল গাছেরা জীব অর্থাৎ এদের প্রাণ আছে যা বিশ্ববরেণ্য জৈবপদার্থবিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত। এরা সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে প্রকৃতি থেকে জল এবং কার্বণ ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে নিজেদের খাদ্য নিজেরাই বানায় এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যার নাম সালোকসংশ্লেষ(Photosynthesis)। কিন্তু, তাদের একাকী কোনো এক জীব বলেই তো মনে হয়। তারা কথা বলতে পারে না, চলতে-ফিরতে পারে না….”


বিজ্ঞানীকাকু এবার আমাদের কথা থামিয়ে সহাস্যে বললেন,“তারমানে তোমরা বলছ যে গাছেরা নিঃসঙ্গ জীব।তাই তো? কিন্তু বর্তমান উদ্ভিদবিজ্ঞান তথা বিজ্ঞান কিন্তু অন্য কথা বলে। আমরা যে মাটির উপর বসে কথা বলছি, এই আশেপাশে কত লোক যে মাটির উপর হাঁটছেন,দৌড়চ্ছেন আরও ইত্যাদি কত কিছু করছেন সেই মাটির নীচের জগৎ আমাদের কিন্তু অন্য কথা বলে। আসলে, জানলে অবাক হবে যে, গাছেরাও একে অপরের সাথে কথা বলে, লেনদেন করে এমনকি যুদ্ধ করতেও পিছপা হয় না।”


আমরা সবাই শুনে অবাক হয়ে গেলাম। আমাদের মধ্যে স্কুলপড়ুয়া ভিকি জিজ্ঞেস করল, “কাকু, কিভাবে?”


বিজ্ঞানীকাকু আমাদের কৌতূহল আঁচ করে হাসছিলেন। এবার ভিকির প্রশ্নে বেশ প্রসন্নভাবেই কিছুটা রহস্য করেই বললেন, “এও এক ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ(www)।”


আমরা সবাই আঁতকে উঠলাম, “এ্যাঁ।”


-এ্যাঁ নয় হ‍্যাঁ। মনে রাখতে হবে যে, এই ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ কিন্তু ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(World Wide Web)’ নয় বরং ‘উড ওয়াইড ওয়েব(Wood Wide Web)’। বলতে পার গাছেদের মূল(roots)-এ এক অদ্ভুত নেটওয়ার্ক! আর এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গাছেরা একে অপরের সাথে গোপন কথোপকথন চালায়, খাবার আদান-প্রদান করে এমনকি যুদ্ধও পর্যন্ত করে।”


আমি জিজ্ঞেস করলাম,“কিভাবে কাকু?”


-ব‍্যাপারটা তাহলে তোমাদের একটু খুলেই বলি। আসলে, গাছেরা এই আদান-প্রদানের কাজটা করে থাকে তাদের মূলে বা তার চারপাশে থাকা একধরনের ছত্রাকের নেটওয়ার্ক ব‍্যবহার করে। এই ছত্রাকের নাম মাইকোরাইজাল ছত্রাক (mycorrhizal fungi)। উল্লেখিত এই ছত্রাকের নেটওয়ার্কের মাধ‍্যমে গাছেরা একে অপরের সাথে তথ্য এবং খাদ‍্য সহ অন‍্যান‍্য সম্পদ আদান-প্রদান করে থাকে। আমরা যদি ছত্রাকটির নামটা ভালোভাবে দেখি তাহলে বুঝতে পারব যে গ্রিক শব্দ ‛mýkēs’ মানে ‛ছত্রাক’ আর ‛rhiza’ মানে ‛মূল বা শেকড়’। এই ছত্রাক যেন লম্বা, পাতলা ফিলামেন্টের একটি মাদুর। এই ছত্রাক গাছেদের মূলের চারপাশে এবং মূলের ভেতরে বেড়ে ওঠে। এই ছত্রাক গাছেদের পুষ্টিকর খাদ্য(nutrients) জুগিয়ে থাকে আর তার বিনিময় এরা শর্করা(sugars) লাভ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানকালের উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এই খাদ্য দেওয়া-নেওয়া সম্পর্কের থেকেও এই ছত্রাকদের সাথে গাছেদের এক সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে। ছত্রাকের এই নেটওয়ার্ক ব‍্যবহার করে এক গাছ অপর এক গাছের সাথে তথ‍্যও আদান-প্রদান করে থাকে। এই গোটা পদ্ধতিটাকে ডাক নামে ডাকা হয় ‛উড ওয়াইড ওয়েব(Wood Wide Web)’। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, বয়স্ক গাছেরা(যাদের ডাকা হয় ‛মাদার ট্রিস’ নামে) ছত্রাকের এই নেটওয়ার্ক ব‍্যবহার করে তার ছায়ায় আবৃত চারাগুলিকে শর্করা প্রদান করে থাকে। এই শর্করালাভ করে চারাগুলো আরও ভালোভাবে বাঁচতে পারবে এই আশায় পাঠায়। আবার, যে সমস্ত গাছগুলি অসুস্থ বা রুগ্ন এমনকি মৃতপ্রায় তারা তাদের সমস্ত সম্পদ নির্দ্বিধায় ছত্রাকের ওই নেটওয়ার্কের দ্বারা আশেপাশে থাকা অন‍্যান‍্য গাছগুলিতে পাঠিয়ে থাকে যাতে এই সম্পদগুলি ব‍্যবহার করে তারা সুস্থভাবে জীবনধারণ করতে পারে। তারমানে বুঝলে তো এবার যে এই ছত্রাককে কেন বিজ্ঞানীরা ‛উড ওয়াইড ওয়েব’ নামে আখ‍্যা দিয়েছেন। কেননা, প্রাপ্তবয়স্ক গাছগুলি ছোট গাছগুলির সাথে শর্করাজাতীয় খাবার ভাগ করে নেয় আবার সুস্থ, সবল গাছগুলি তাদের উদবৃত্ত খাবারগুলি অন‍্য গাছেদের জন্য নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ফেরত পাঠাতে পারে যারফলে এই খাবারগুলি পেয়ে দুর্বল গাছগুলি বাঁচতে পারে। সবই হয় এই নেটওয়ার্কের সাহায্যে। আবার, গাছেরা এই ছত্রাকদের ব‍্যবহার করেই একে-অপরকে বার্তা পাঠায়। অতএব, বলতে পারো যে, এইসব ছত্রাকেরা পোস্টমাস্টারের কাজও করে থাকে। এছাড়া, গাছেরা যদি পোকামাকড়ের দ্বারা আক্রান্ত হয় বা অন্য কোনো ক্ষতিকারক জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হয় সেই সময় তারা একধরনের রাসায়নিক সিগন্যাল বা সংকেত তাদের মূলের মারফতে এই ছত্রাকের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাদের আশেপাশের গাছগুলিকে পাঠিয়ে সতর্ক করে তোলে। এভাবেই, গাছেরা এই ছত্রাকের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অপরের পাশে থাকে। 


বিজ্ঞানীদের মতে এই মাইকোরাইজাল ছত্রাকের এবং যে গাছেদের সাথে তারা সংযোগ স্থাপন করেছে এদের মধ্যে সম্পর্ক বহু যুগের। প্রায় বলা যায় ৪৫ কোটি বছরের এই দোস্তি। আর এত যুগের এই দোস্তি অনেকাংশেই সহভোক্তা(symbiosis) বা পারস্পরিকতা(mutualism)-এর মতো গড়ে উঠেছে। অনেকটা ভালো মনিব ও ভৃত্যের মতো সুন্দর সম্পর্কের মতো। মনিব তাঁর কাজ করিয়ে নেন বাড়িতে থাকা ভৃত‍্যকে দিয়ে আর তার পরিবর্তে ভৃত‍্যও লাভ করে মাইনে সাথে মাঝে-মধ্যে বকশিশও এবং অন‍্যান‍্য সাহায‍্য তো বটেই। মোটকথা, দীর্ঘদিনের এই সহাবস্থানের ফলে তারা একে অপিরকে সাহায্যের মাধ্যমেই বেঁচে থাকে। এই সহাবস্থানের একটা উদাহরণ দিই, গাছেরা সালোকসংশ্লেষের সময় যে শর্করাজাতীয় খাবার তৈরি করে তা মাইকোরাইজাল ছত্রাকরা টেনে নেয়। আবার, ছত্রাকরা মাটি থেকে যে ফসফরাস এবং নাইট্রোজেনের মতো পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে তা গাছেরাও নিয়ে থাকে। এ যেন নাও আর দাও-এর মতোন সম্পর্ক, কিন্তু কেউ কারুর প্রতি রেগে নেই।”


আলোচনাটি বেশ জমে উঠেছে। এরমধ্যে আমাদের ক্লাবের বর্ষীয়ান সদস্য প্রদীপবাবু জিজ্ঞেস করলেন, “আচ্ছা, গাছেরা তো এই নেটওয়ার্কের সাহায্যে উপকার করে থাকে তো দেখলাম। কিন্তু অপকার কি করে থাকে?”


বিজ্ঞানীবাবু প্রশ্নটি শুনে খুব খুশি হলেন। তিনি হেসে বললেন, “বাহ্, ভেরি গুড কোশ্চেন। গাছেরা করে থাকে বৈকি! আলবাত করে থাকে। কেউ কেউ উপকার করবে আর কেউ কেউ অপকার করবে না তা কি কখনো হয়? ইন্টারনেটের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের যেমন ডার্ক সাইড বা মন্দ দিক রয়েছে তেমনি গাছেদের ইন্টারনেট উড ওয়াইড ওয়েবেরও রয়েছে। হ্যাকাররা যেরকম নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই অন্যান্য ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করে সেগুলোকে ধ্বংস করে সেই সাইটের তথ্য চুরি করে। তেমনি কিছু অর্কিড গাছ এই নেটওয়ার্কের সিস্টেমটাকে হ্যাক করে আশেপাশের গাছগুলির সম্পদ চুরি করে থাকে। আবার, অন্যান্য গাছ যেমন কালো আখরোট(Black walnut) ক্ষতিকারক বা বিষাক্ত কেমিক্যাল এই নেটওয়ার্কের সাহায্যে অন্যান্য গাছেদের ধ্বংস করবার জন্য পাঠায়। তাহলে আমরা বলতে পারি যে, গেছো এই সাইবার ক্রাইমও যেমন চলে তেমনি গাছেদের মধ্যে নিবিড় সুসম্পর্ক বা পরার্থপর স্বভাবও দেখা যায়। আর এই গোটা উড ওয়াইড ওয়েব ব‍্যাপারটাই বিজ্ঞানীদের কাছে বর্তমান সময়ের যাকে বলে ‛হট টপিক’, বুঝলে। তাই, নিঃসন্দেহে বলা যায়, এই গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গাছেদের মধ্যে এক সমৃদ্ধশালী সমাজ গড়ে উঠেছে। এই উড ওয়াইড ওয়েবের অস্তিত্ব এবং এর কাজকর্ম আমাদের মনে এক প্রশ্নের বা বলা ভালো এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করে যে এই এত গাছেদের প্রজাতির কোথা থেকে শুরু এবং কোথায় গিয়ে শেষ? 


এরপর যখন আমরা কোনো বন বা এইরকম পার্কে ভ্রমণ করতে যাব তখন আমরা যেন এইসব স্থানকে অনেকগুলো গাছেদের প্রজাতির দল যেন না ভেবে সবাইকে এক মহাপ্রজাতি(super organism)-এর অংশ হিসেবে কল্পনা করি। কেননা, এই সমস্ত গাছেদের একসাথে আবদ্ধ করে রেখেছে এই সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া ‛উড ওয়াইড ওয়েব’-ছত্রাকের নেটওয়ার্ক। আর মাটির নীচে এই নেটওয়ার্কের সাহায্যেই এইসব গাছেরা আমাদের অজান্তেই একে অপরের সাথে কথা বলছে, তথ্য আদান-প্রদান করছে, খাবার শেয়ার করছে, একে অপরকে সম্পদ দিয়ে উপকার করছে, হ্যাক করে সম্পদ লুটছে আবার বিষাক্ত রাসায়নিক ছড়িয়ে ক্ষতিও করছে। আমরা এসব ব‍্যাপারে কিচ্ছু টের পাচ্ছি না। আচ্ছা, আমরা এসবের ভালো দিকটা গ্রহণ করতে পারি কি? এই যেমন ধরো, এই গাছেদের মতোই আমরা আমাদের মধ্যে এক নিবিড় নেটওয়ার্ক স্থাপন করে তথ্য,সম্পদ, খাদ্য ইত্যাদি আদান-প্রদানের জন্য যে নেটওয়ার্ক তা আরও বিস্তার করতে কি পারি না? ফল-ফুল সমৃদ্ধ যাকে বলে উচ্চশ্রেণীর এইসব গাছেদের সাথে ওইসব নিম্নশ্রেণির সমাঙ্গদেহী ছত্রাকদের নিবিড় সম্পর্কের কথাটাই ভাবো। ওদের মতো আমরাও সমস্ত জাতি,ধর্ম, বর্ণ তথা শ্রেণির ভেদাভেদ ভুলে আমাদের মধ্যেও সম্পদে আদান-প্রদান, একে অপরের পাশে থাকা এবং এক নিবিড়, অকৃত্রিম বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রাখা কতকিছু ভালো দিকগুলি গ্রহণ করতে কি পারি না? আমরা মানুষ,8নের ও অগাধ বিচার-বুদ্ধিসম্পন্ন জীব হয়েও এই সহজ-সরল অথচ দৃঢ়, অকৃত্রিম, নির্ভেজাল সম্পর্ক আমরা প্রকৃতির থেকেই শিক্ষালাভ করতে পারি। প্রকৃতি আর তার অংশ এই গাছ-গাছরার দল আমাদের আদি ও মস্ত বড়ো শিক্ষক যে! ”


বিজ্ঞানীকাকু থামলেন। ব্যাপারটা আমাদের বেশ ভাবিয়ে তুলল বটে! সত্যিই তো গাছেদের এই ‛উড ওয়াইড ওয়েব’ নামক নেটওয়ার্কটি বড়োই বিস্ময়কর এবং এর পাশাপাশি শিক্ষণীয় বটে। তাই না?



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics