কলম
কলম


আজ আমি আমার জীবনের অন্তিম পর্যায়ে এসে নিজের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ করছি।কারণ এই মূহুর্তে না বললে হয়তো অনুভূতিটা অধরাই রয়ে যাবে।
জন্মটা কবে হয়েছিলো ঠিক মনে নেই তবে আমার জন্ম হয় এক বড় ফ্যাক্টরিতে। আমায় সুন্দর কারুকার্য করে সাজানো হয় সেই বড় কোম্পানির লোগো আর নামটাও আমার গায়ে জুড়ে দেওয়া হয়। আমায় রক্তআমি কলম।হ্যাঁ আমার মতই আরো কত কলমের জন্ম এই ফ্যাক্টরিতে।
সুন্দর মোড়কে করে আমরা দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পৌছে যাই সবার প্রয়োজনের স্বার্থে। অনেকটা সমাজ সেবাই বলা যাযমোড়ক থেকে বেড় হতেই শুরু হয়ে যায় আমাদের কাজ,শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্ম করে যাই তবে হ্যাঁ বিনিময়ে পাই না কিমানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মের লেখনীয় কাজে আমরা সর্বদা হাজির থাকি। যতদিন আমরা কাজ করতে সক্ষম ততদিন আমরা সকলের বুক পকেটে, ডাইরির মাঝে,বইয়ের ভাঁজে, কলম দানিতে স্থান পাই। আজ আমার রক্ত শেষ আর বিন্দু মাত্র আছে, মানে যেটাকে তোমরা কালি বলো,কলমের কালি। কাল থেকে আমি অচল আমি আর কোন কাজে লাগবোনা, হয়তো আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে কোন আস্তাকুঁড়েতে বা ডাস্টবিনে। সেকথা মনে হলেই কষ্ট আর যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠি বুক ফেটে আর্তনাদ বেড়িয়ে আসে, কাল থেকে আমি আর কারো বুক পকেটে ঘুরে বেড়াবো না। কেউ মনে রাখবে না আমায় কেউ না শুধু আমার রক্তের দাগ রয়ে যাবে খাতার পাতায় পাতায়।।ছুই।
়।
দেওয়া হয়।