খটকা
খটকা


বিকেল হলেই আজকাল বাড়িটা বড় টানে ভবতোষকে। আগে যেমন সন্ধে হতেই টানতো ক্লাবঘরে তাসের আড্ডা, এখন তেমন করেই দু'হাত বাড়িয়ে ডাকে ছোট্ট একতলা বাড়িটা।
এই বুঝি গিন্নি এলেন চায়ের কাপ হাতে নিয়ে, এসেই বুঝি ভবতোষের হাত থেকে রিমোটটা ছোঁ মেরে নিয়েই নিমেষে চ্যানেল বদলে ফুটবল থেকে 'পটলকুমারের গানে' ঢুকে পড়বেন, মোক্ষম গোলখানাই আর দেখতে দেবেন না পতিদেবতাটিকে।
ভাবতে ভাবতেই খেয়াল হয়, আরে, পটল কুমার তো ক-অ-বে শেষ হয়ে গেছে, সেইসঙ্গেই মনে পড়ে, বড়ছেলেকে কালকেই দেখলেন কাবলের দোকান থেকে টুপি কিনতে, ন্যাড়া মাথায় রোদটা বেজায় ঝাঁঝালো লাগে কিনা!
আচ্ছা, এই পোড়া গরমে ছেলেটা ন্যাড়া হয়েছে কোন্ আক্কেলে? প্রশ্নটা মনে আসতেই সবকিছু মনে পড়ে যায় ভবতোষের।
কেবল একটা খটকা যায় না কিছুতেই। দুদিন আগেই অত খরচা করে দুই ছেলেতে বাপের শেষ কাজ করলো, তাতেও তাঁর শখসাধে ভরা আত্মাটি মুক্তি না নিয়ে রোজ বিকেল হলেই বাড়িটার পানে ধেয়ে যায় কেন?
(সমাপ্ত)