খিদে
খিদে
" কিছুটা এগোতেই খচরমচর শব্দটা কানে এলো৷ কবরস্থানের রাস্তাটা দিয়ে রাত্রিবেলায় লোক হাঁটে না, পারতপক্ষে এড়িয়ে চলে৷ কিন্তু আমাকে তো চিনিস! কোনোকিছুই পরোয়া করিনে, সেটাই কাল হলো আমার। " গলা খাঁকারি দিয়ে পরিস্কার করে নিয়ে বললেন বনমালীদা।
ফাল্গুনী রাত, জ্যোৎস্না ফুটে আছে আকাশে। মৃদুমন্দ হাওয়ায় ভেসে আসছে অজানা ফুলের গন্ধ। বসে আছি গাঙ্গুলিবাড়ির সামনের মাঠখানায়। দক্ষিণ দিকে যে টিলার মতো উঁচু ঢিবিখানা রয়েছে, সন্ধ্যা নামতেই ওটি এখন আমাদের অস্থায়ী আস্তানা। আমরা বলতে অভি, অনিন্দ্য, বিকাশ, বাপন, আমি ; ও অতি অবশ্যই বনমালী দা। গাঙ্গুলিবাড়ির বংশপ্রদীপ এই সদাহাস্যময় প্রৌঢ় ঘুরে বেড়িয়েছেন বহু অজানা জায়গায়। শৈশব হতেই বাউণ্ডুলে প্রকৃতির মানুষটির অভিজ্ঞতার ঝুলি সর্বদাই টইটম্বুর। কোনো জায়গা থেকে ঘুরে বাড়ি ফিরলেই আমরা তাই ছেঁকে ধরি তাঁকে। মাথার ওপরে তারাভরা আকাশের চাদর জড়িয়ে, অন্ধকার গা ছমছমে রহস্যময়তায় আচ্ছন্ন হয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে মন্দ লাগেনা। হ্যাঁ, গল্পই বলছি সজ্ঞানে, এইসব বিচিত্র অভিজ্ঞতার কতখানি বাস্তব আর কতখানিই যে কল্পনা, তা তো আর আমরা জানি!
" তোমার তো সবেতেই বরাবর বড্ড বেশিবেশি, কোনদিন এভাবেই বিপদে পড়বে তুমি। আমাদেরও ফেলবে দেখো!" উষ্মা প্রকাশ করে বললো বিকাশ। আমাদের সকলের মধ্যে সবচেয়ে ভীতু ও সাবধানী সেই, পারতপক্ষে যেকোনো অজানা জায়গা এড়িয়ে চলে সে। ভূতে ও ভগবানে সর্বদাই অগাধ আস্থা তার।
" ধুর বোকা! অতশত কি ভাবতে কি আছে নাকি! অত ভাবলে ঘুরতে যেতে পারবিনে৷ যদি প্রকৃত ভ্রমণের স্বাদ পেতে চাস তো ভাবনাচিন্তা না করে টুক করে বেরিয়ে পড়, যা থাকে কপালে! " বিড়িতে একটা লম্বা টান দিয়ে বললেন বনমালী দা।
গল্পের গাড়ি বেলাইন হচ্ছে দেখে আমায় চিমটি কাটলো অনিন্দ্য। তড়িঘড়ি বললাম,
--" ওর কথা ছাড়ো, তুমি বলো তুমি কি বলছিলে বনমালী দা! ওই যে শব্দটা হলো, তারপর........?"
" আসলে তোরা বড্ড বেশি কথা বলিস। অমন মাঝে মাঝে টুকতে থাকলে কি আর গল্প এগোয়! ভুলে যাই, বয়স হচ্ছে তো! দাঁড়া ভাবতে দে, বিড়িতে আরেকটিবার টান দিয়া লই। " লম্বা করে ধোঁয়া ছেড়ে বিড়ির টুকরোটা মাঠের মাঝখানে ছুঁড়ে দিলেন তিনি, তারপরে আরেকবার গলা পরিস্কার করে শুরু করলেন,
--" তখন মধ্যরাত, আকাশে একটু একটু মেঘ জমেছে। পরামাণিকদের বারান্দায় বসে তাস পেটাতে পেটাতে যে এত রাত হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। এদিকে খাওয়াদাওয়াটাও হয়েছে বেশ জব্বর! ভরাপেট নিয়ে, মুখে একখিলি সুগন্ধী পান গুঁজে মনের আনন্দে পথ হাঁটছিলাম, চলতে চলতে কখন এসে পড়েছি কবরস্থানটার কাছে; খেয়াল করিনি৷ খেয়াল হলো খচরমচর শব্দে। যেন কেউ শুকনো মাটির ওপর নখের আঁচড় কাটছে, এমনই আওয়াজটা। "
--" বাপরে! কি বলো! লোকে মাটিতে নখ দিয়ে আঁচড় কাটবে কেন! নখ উপড়ে আসবে না!" চোখদুটো ক্রিকেট বলের সাইজের গোল্লা গোল্লা করে গালে হাত দিয়ে বললো অভি৷ আমাদের মধ্যেই ওই একমাত্র একটু নরমসরম, মেয়েলি ধরনের। সবচেয়ে বড় কথা নিজের নখ নিয়ে চরম অবসেসন রয়েছে তার, রীতিমতো খেটেখুটে যত্ন করে। তাই নখের আঁচড় কাটার কথায় একটু ঘাবড়ে গিয়েছে সে।
--" তুই থাম! এখানে তোর নখের কথা নয়, অচেনা নখের কথা হচ্ছে। মাটিতে আঁচড় কাটা তো দূরে থাক, তুই তোর নখ দিয়ে কারো পিঠটাও চুলকে দিবিনা....সবাই জানে। " খেঁকিয়ে উঠলো বাপন।
--" আচ্ছা তোরা শুনবি কি? নয়ত আমার ম্যালা কাজ আছে বাপু, বাড়ি যাবো। তোদের মত আমায় তো আর কেউ বাড়ি গেলে রাঁধা ভাত দেবেনা, নিজেই ফুটিয়ে খেতে হবে৷ তোদের মত রাত্রি দেড়প্রহর পর্যন্ত গুলতানি করলে চলবেনা! " খিঁচিয়ে উঠলো বনমালী দা।
সকলে থতমত খেয়ে চুপ করে গেল৷ বনমালী দা ক্ষেপেছে! এই অকৃতদার মানুষটির পরিবার বলতে কেউ নেই, সুবিশাল গাঙ্গুলিবাড়ি এখন রীতিমতো খাঁ খাঁ। ভ্রমণপিপাসু বনমালী দা বাড়ি এলে আগে কমলা দাঈ রাঁধাবাড়া করে দিতো, তিনদিন হলো সেও আসছেনা ; দেশের বাড়ি গিয়েছে। আমাদের কারো বাড়িতে বনমালীদা খেতে ইচ্ছুক নন। তাঁর কথায়, " যে কটা দিন বাড়ি আছি, বাড়িরই খাবার খাই!" অগত্যা নিজ হাত জগন্নাথই ভরসা।
--" দাদা রেগোনা, আসলে তোমার গল্পগুলো যেন চোখের সামনে দেখতে পাই। তাই আরকি..... কেমন ভয়ভয় করে!" মুখ কাঁচুমাচু করে বললো অনিন্দ্য।
--" গল্প কি রে পাগলা! এ হলো সত্য ঘটনা। জীবনের অভিজ্ঞতা, বুঝলি!" হালকা হেসে বললেন " কিছুটা এগোতেই খচরমচর শব্দটা কানে এলো৷ কবরস্থানের রাস্তাটা দিয়ে রাত্রিবেলায় লোক হাঁটে না, পারতপক্ষে এড়িয়ে চলে৷ কিন্তু আমাকে তো চিনিস! কোনোকিছুই পরোয়া করিনে, সেটাই কাল হলো আমার। " গলা খাঁকারি দিয়ে পরিস্কার করে নিয়ে বললেন বনমালীদা।
--" আচমকা শুনশান কবরস্থানে অমন শব্দ শুনে আমার তো বাপু আত্মারাম খাঁচাছাড়া। বুকখানা কেমন যেন ধড়াস ধড়াস করতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে অদম্য কৌতুহল, শব্দটা কিসের! রাম নাম জপ করে এগিয়ে গেলুম একটু! হাতে দুইব্যাটারির একখানি টর্চ। বেশিদূর পর্যন্ত আলো পৌঁছয় না ঠিকই, তবে কাছাকাছি বেশ খানিকটা ভালোই দেখা যায়।
কবরস্থানের গেটের কাছাকাছি আসতেই মড়াপচা গন্ধে বমি ঠেলে উঠে এলো। নাকমুখ কুঁচকে বমি আটকাতে আটকাতে জংধরা তালা আঁটা গ্রিলের ফাঁক গলিয়ে টর্চের আলোটা ফেলতেই ভয়ে প্রাণটা উড়ে গেল!"
এই পর্যন্ত শুনেই আমাদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। শিরদাঁড়া বেয়ে হিমস্রোত নামছে, সেইসঙ্গে ফাগুন রাতেও কপালে জমে উঠেছে বিন্দুবিন্দু ঘাম। আমরা কেউই শব্দ করতে সাহস পাচ্ছিনে। তাছাড়া তখন থেকেই আমার মনটা কেন জানিনা কু গাইছে। তিনদিন ধরে পাশের পাড়ার মণ্ডলের ফুটফুটে বাচ্চাটা নিখোঁজ। যথাসম্ভব খোঁজাখুঁজি হয়েছে, পুলিশেও খবর গেছে..... তার সন্ধান পাওয়া যায়নি এখনো। এর আগেও বাচ্চা নিখোঁজ হয়েছে পাশের গ্রাম থেকে, তাকে এখনো পাওয়া যায়নি। মণ্ডলের বাচ্চাটাকেও পাওয়া যাবে কিনা কেউ জানেনা। বাচ্চাটা আমার বড়োই ন্যাওটা ছিল!
--" তুমি কি দেখলে বনমালী দা! থেমে গেলে কেন!" কাঁপা কাঁপা গলায় বললো বিকাশ।
বনমালীদা একদৃষ্টে চেয়ে আছেন চাঁদের দিকে। আলো কমে এসে রাত সাড়ে নটাতেই বড্ড ম্যাদামারা লাগছে চাঁদখানা। বনমালীদার চোখদুটো কেমন ঘোলাটে হয়ে আছে, চোখের দৃষ্টি বড্ড তীক্ষ্ণ। বিকাশের কথায় যেন সম্বিত ফিরে পেলেন তিনি।
--" ও হ্যাঁ! কি যেন বলছিলাম....হ্যাঁ, কবরস্থানের ভেতরে টর্চের আলো ফেলতেই দেখলাম এক কালচে ছায়ামূর্তি। তালঢ্যাঁঙা, সাদা রঙের খাটো কাপড় পরনে। কবর থেকে একটি বাচ্চার পচাগলা মৃতদেহ খুঁড়ে তুলে সবে তখন দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে খাওয়া শুরু করেছে সে। টর্চের আলো পড়তেই চমকে চিৎকার করে উঠলো। উফফফ কি তীক্ষ্ণ সেই চিৎকার! আমার মনে হলো আমার পা দুটো কেউ যেন পেরেক দিয়ে গেঁথে দিয়েছে ওখানে। হাত থেকে পড়ে কাঁপতে কাঁপতে নিভে গেছে টর্চখানা। নিচ্ছিদ্র অন্ধকারে চোখের পলক না ফেলা আমি স্পষ্ট দেখলাম আমার দিকে এগিয়ে আসছে একজোড়া জ্বলন্ত চোখ, কালচে মুখ দিয়ে লালা গড়াচ্ছে তার..... বাতাসে মড়াপচা গন্ধটা এখন প্রবল.... তাও আমার বমি হচ্ছেনা ..... সে এগিয়ে আসছে আমার দিকে.... একটু একটু করে কমছে দূরত্ব....! "
আচমকাই যেন কিছু মনে পড়ে গেল এমন ভাব করে উঠে দাঁড়ালেন বনমালী দা। বাড়ির দিকে এগোতে এগোতে কেমন যেন ফ্যাঁসফ্যাঁসে সুরে বললেন,
--" যা বাড়ি যা! ম্যালা দেরী হয়ে গেলো! বড্ড খিদে পাচ্ছে....মাংস ভাত খাবো! উফফ কতদিন পর! " সুড়ুৎ করে তাঁর জিভের জল টানার শব্দটা বড্ড বিকৃতভাবে কানে বাজলো আমাদের। তাঁর চলে যাওয়ার রাস্তাটার দিকে চেয়ে স্তম্ভিত মুখে বসে রইলাম আমরা।
---" হ্যাঁ রে, বনমালীদা কেমন যেন বদলে গেছে মনে হলো না! এত খাদ্যলোভী তো ছিলো না কখনো! গলার আওয়াজটাও কেমন যেন.....! " চোখদুটো বড় বড় করে বললো অভি।
--" তুই থাম তো! খিদে মানুষের কি পেতে পারেনা নাকি! অদ্ভুত কথাবার্তা! রাতও তো কম হলোনা, চল বাড়ি যাই। কাল একবার থানায় যেতে হবে৷ বাচ্চাটার কেসটা কতদূর এগোলো দেখা দরকার!" খেঁকিয়ে উঠলো অনিন্দ্য।
--" না দাঁড়া। আমারো কেমন যেন লাগলো বনমালী দাকে। আর একটা জিনিস লক্ষ করেছিস! বনমালীদার গায়ে কেমন যেন ভ্যাপসা গন্ধ! বিড়ির গন্ধও চাপা দিতে পারেনি তাকে।" চিন্তিত গলায় বললো বিকাশ।
--" অদ্ভুত তোরা সত্যিই! বেচারা মানুষটার কত কাজ সারাদিন। ক্লান্তি সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে এলো। এত সন্দেহ তোদের! চল তবে বনমালীদার বাড়িই চল। আড্ডা দিয়ে খাওয়াদাওয়া করে একেবারেই বাড়ি যাবো, তোদেরও সন্দেহ কাটবে৷ " গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললো বাপন।
সবাই মাঠ পেরিয়ে এগিয়ে চললো গাঙ্গুলিবাড়ির দিকে। আমার কেমন যেন খারাপ লাগছে শরীরটা। একদমই যেতে ইচ্ছে করছেনা ওই বাড়িতে। কিন্তু একা মানুষের বাধা কি আর ধোপে টেকে! অগত্যা এগিয়ে চললাম একসাথে।
গাঙ্গুলিবাড়ির প্রকান্ড ফটক হাট করে খোলা। ঢুকতে গিয়ে কোনোরকম বাধাই পেতে হলোনা। উঠোন পেরিয়ে এসে দাঁড়ালাম বারান্দায়। কেমন যেন শুনশান চারিদিক। একটা পাতার শব্দও শোনা যাচ্ছেনা। বনমালীদার সাধের কুকুর ভুলু গেল কোনদিকে কে জানে! বারকয়েক বনমালীদার নাম ধরে হাঁকডাক করেও যখন কোনো সাড়া পাওয়া গেল না, সকলে দুটো দলে ভাগাভাগি হয়ে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করলো সারা বাড়িতে। শুধুমাত্র আমিই দাঁড়িয়ে রইলাম উঠোনে। শরীর খারাপটা বড্ড বেড়েছে। গা গুলিয়ে আসছে বারবার।
--" ওরে সারাবাড়ি দেখে এলাম রে! বনমালীদা কোথাও নেই। গেলো কই লোকটা! " হন্তদন্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বললো বাপন।
--" একটাই জায়গা দেখার বাকি, রান্নাঘরটা। কিন্তু ওর দরজা তো বাইরে থেকে হুঁড়কো তোলা! ঢুকবে কিকরে!" বললো অভি।
--" চল তো দেখি! সব ঘর যখন দেখলাম এটাই বা বাকি থাকে কেন! " রান্নাঘরের দিকে এগোতে এগোতে বললো অনিন্দ্য।
--" ওরে বাড়ি চল। শরীরটা ঠিক...! " ওদের আটকাতে কথাকটা বলার চেষ্টা করলাম। শেষ করতে পারলাম না, ততক্ষণে অনিন্দ্য দোর খুলে প্রবেশ করেছে ঘরে ও তার আর্তচিৎকারে কেঁপে উঠেছে গোটা গাঙ্গুলিবাড়ি।
সকলে হুড়মুড় করে ছুটলাম সেদিকে। রান্নাঘরে চাপ বাঁধা অন্ধকার, সকলের ঝলসে ওঠা টর্চের আলোয় দেখা গেল রান্নাঘরের সিলিং থেকে ঝুলছে তিনটি মড়ার মাথা। যে বাচ্চাদুটো এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ মাথাগুলো তাদেরই, সাথে রয়েছে কমলা দাঈ এর মাথা। ঘরময় ছড়িয়ে আছে হাড় - পচা চামড়া! বিভৎস গন্ধ চারিদিকে। রান্নাঘরের কোনের দিকে স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে আছে অনিন্দ্য। তাকে টেনে বের করার জন্য এগিয়ে গেলাম। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রেতপুরী ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে আমাদের, এখানে আর এক মুহূর্তও না।
--" চল এখান থেকে এখুনি! আর এখানে না!" অনিন্দ্যর হাত ধরে ঝটকা টান দিয়ে কাঁপা গলায় বললো বাপন। উত্তরে অনিন্দ্য জড়ানো শব্দে যা বললো বোঝা গেল না ঠিকই, তবে ওর আঙুল নির্দেশিত স্থানে টর্চের আলো ফেলে স্তম্ভিত হয়ে গেল সকলে।
লাশটি বটে আধখাওয়া, তবে নিজের লাশ চিনতে ভুল হওয়ার কথা নয় আমার। গতকাল সন্ধ্যায় আমি একাই এসেছিলাম গাঙ্গুলিবাড়িতে, বনমালীদার কাছে কিছু ব্যক্তিগত কাজে। বন্ধুদের অপার্থিব চিৎকারগুলো কানে তালা ধরাচ্ছে আমার। পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন সদাহাস্যময় বনমালীদা, হাতের চপারখানা ঝকঝক করছে তাঁর। অনেকদিন শিকার করতে হবে না তাঁকে, শিকার যে নিজে এসেই ধরা দিয়েছে তাঁর খাঁচায়! বাইরে কোথাও ইনিয়েবিনিয়ে কাঁদছে একটা কুকুর। ভুলুকে যে আগেই গলাধঃকরণ করেছেন বনমালীদা তা কি আর আমি জানিনে! শরীরটা কেমন যেন হালকাবোধ হচ্ছে আমার, বড্ড ঘুম পাচ্ছে।।