#ঝড়া_পাতা
#ঝড়া_পাতা


ও..পল্লবী...পল্লবী...পল্লবী..
নীলেশ ছুট্টে এসে পল্লবীকে কোলে তুলে নিয়ে ঘোরাতে থাকে।
-আরে কি হোলো কি। ছাড়ো ছাড়ো বলছি।
-না না ছাড়বো না কিছু তেই।
-আরে পরে যাব যে।
শেষে নীলেশ নামিয়ে দেয় পল্লবী কে।
-কি ব্যপার এতো খুশি যে আজ।
-আমার আর শিঞ্জিনীর ডিভোর্স টা শেষ পর্যন্ত হচ্ছে। উচ্ছ্বসিত হয়ে নীলেশ জানায়।
-কি বলছো? সত্যি! শিঞ্জিনী রাজি হয়ে গেলো।
-একদম
-কি চাইলো খোরপোশ বাবদ?
-আরে না না ও নিজেই বললো ডিভোর্স চায়। আমি জোর করিনি।
-বাব্বা তাই বুঝি। মহানত্ব দেখাচ্ছে নাকি। হুহ।
মুখ বেকিয়ে পল্লবী বলে।
-আরে ছাড়ো তো। ডিভোর্স টা হয়ে গেলেই আমি তোমাকে বিয়ে করে সুখে থাকবো। বলেই নীলেশ জড়িয়ে ধরে পল্লবী কে।
-দ্যাখো নীল, তোমাকে স্পষ্ট করে একটা কথা বলে দিচ্ছি। তোমার ছেলে আর মেয়ের দায়িত্ব কিন্তু আমি নিতে পারবো না।
-কেনো? ওরা যে আমারও সন্তান।
-কিন্তু আমার তো নয়। সো...প্লিজ।
আমাদের বিয়ে হবে আমাদের সন্তান হবে ব্যাস।
অন্য কারও ঝামেলা আমি পুষতে পারবোনা।
-ঠিক আছে তুমি যা ভালো বোঝো।
****
-কিরে শিঞ্জিনী ছেলে মেয়ে নিয়ে যে চলে এলি ও বাড়ি ছেড়ে।
-কি করবো ম
া আমি। ওই বাড়িতে যে দম আটকে আসে।
-এখনো তো ডিভোর্স হয়নি তোদের।
-সে তো খাতা কলমে। মনের ডিভোর্স তো অনেকদিন আগেই হয়ে গেছে।
-কষ্ট যখন পাচ্ছিস তবে রাজি হলি কেনো...ডিভোর্স দিতে?
-কি করবো মা। আমি যে নীল এর জীবনে এখন শুধুই ঝড়া পাতা।
নীলের জীবনে এখন যে নতুন ফুল ফুটেছে।
ওর জীবনে বসন্ত এসেছে যে।
আর যেখানে বসন্ত উপস্থিত,
সেখানে ঝরা পাতা যে মূল্যহীন।।
-কিন্তু ও তো তোকে প্রমিস করেছিল খুশি রাখবে, ভালো রাখবে...?
-আর...প্রমিস
-আমি বুঝতে পারছি না কেন এমন করলো? তাও আবার এতগুলো বছর পর।
-ছাড়ো না মা ওসব। প্রমিস তো সে তোমাকে আর বাবাকে করেছিল। আর তাছাড়া তুমিও তো আমাকে প্রমিস করেছিলে সব থেকে ভালো, দায়িত্ববান পুরুষের সাথে আমার বিয়ে দিবে, কই সে প্রমিসের কি হোল...?
-না...মানে...? আমতা আমতা করতে থাকে শিঞ্জিনীর মা
-বাবা প্রমিস করছিল বি.এস.সি কমপ্লিট না হলে বিয়ে দেবে না কোথায় গেল সেই প্রমিস...?
ছাড়ো, কত প্রমিস এভাবে জন্ম নেয় আবার সময়ের সাথে সাথে বিলীন হয়ে যায়।
কত প্রমিসের খবর রাখবে তুমি।
আর কিছু বলতে পারে না শিঞ্জিনী , শুধুই একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে।