চিঠি
চিঠি
প্রিয়,
অতনু
প্রায় নয় মাস হয়ে গেলো তুমি আমার সাথে নেই। অনেক যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেছি দেখা হয়নি, ফোনও করেছি তোমাকে বহুবার কিন্তু তোমার নম্বর সবসময় ব্যস্ত বলে,তাই আজ বাধ্য হয়েই চিঠি লিখছি। তোমার সাথে সম্পর্ক শুরু হওয়ার প্রায় চার বছর হয়ে গেল, চিঠি লেখার অভ্যেস টাও প্রায় হারিয়েই গেছে। প্রথম প্রথম প্রেম শুরু হওয়া কালীন কত্ত চিঠি লিখতাম তোমায়, মনে পড়ে? ফোনে কথা হোত না তা নয়, তুমিই আমাকে চিঠি লেখার অভ্যেস টা করিয়েছিলে একরকম। বলতে এতে কলমের সাথে সম্পর্ক নাকি ভালো থাকে আর প্রেমও মধুর হয়। তারপর থেকে চার বছর তোমার সাথে লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলাম। বেশ তো চলছিল আমাদের প্রেম ভালোবাসা। যাই হোক ভাবিনি কখনো আবার তোমাকে চিঠি লিখতে হবে, কারণ তুমি আমার এত্ত কাছে থাকতে যে শ্বাস নেওয়ার খবরও বুঝি তোমার কাছে থাকে। তখন চিঠি লেখার অভিজ্ঞতা ছিল আমার কাছে এক উত্তেজনামূলক, মধুর আর অনেক অনেক আশা আকাঙ্খা সম্পূর্ণ ভালোবাসা।
আর এখনো চিঠি সেই কিছু আশা আকাঙ্খা নিয়েই শুধু অভিজ্ঞতা টা আলাদা, না পাওয়ার অভিজ্ঞিতা,
যেটা বলার জন্য চিঠি লিখছি সেটা হোল,
আমাদের ভালোবাসার পরিণতি আমার গর্ভে,আমি ন-মাসের অন্ত্বঃসত্তা। না, আমি পারিনি তোমার কথা মতো গর্ভপাত করাতে।ন-মাস আগে তোমার কাছে ভালোবাসার স্বীকৃতি চেয়েছিলাম কিন্তু হঠাৎ কি হোলো জানিনা তুমি বললে তোমার মা আমাকে মানবে না কিন্তু কেনো তার কোন উত্তর ছিলোনা। এরপর বহুবার চেষ্টা করেছি তোমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনার কিন্তু তুমি আমার কারণে মা কে ছেড়ে আসোনি। না না অছিলায় আমায় এড়িয়ে গেছো।জানো অতনু,ডাক্তার বলেছেন হয় আমি নয় আমাদের সন্তান যেকোন একজনকেই বাঁচানো যাবে।
আর কিছু চাইনা জীবনে বিশ্বাস করো,শুধু শেষ ইচ্ছেটা তোমার কোলে আমার সন্তানকে দেখার।
হ্যাঁ, আমি চাই আমাদের সন্তানই এই পৃথিবীর আলো দেখুক আর এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকুক তোমার ছত্র ছায়ায়, আমার আর না থাকলেও চলবে কিছু পাওয়ার নেই আর এই পৃথিবীতে।
ইতি
তোমার প্রাক্তন