Manik Goswami

Classics Inspirational

4.2  

Manik Goswami

Classics Inspirational

চেতনা

চেতনা

8 mins
481


চেতনা 

মানিক চন্দ্র গোস্বামী


নবনীল বড় হয়েছে জামশেদপুরে। স্কুলের পাঠ শেষ করে পুনের কলেজে পড়াশোনা। সবেমাত্র কলেজ পাশ করে চাকুরী পেয়েছে একটা। বেঙ্গালুরুতে। মোটামুটি ভালো মাইনের চাকুরী। এক রুমের একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকে। একা থাকতে খারাপ লাগে না, তবে প্রতিদিন তো আর রান্নাবান্না করতে ইচ্ছে করে না। তখন বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খেতে হয়। বাইরের খাবার খেতে খুব একটা ভালো না লাগলেও মাসে দু একবার আনতেই হয়। স্কুল পাশ করার পর পাঁচ বছরের ওপর হয়ে গেলো বাইরেই আছে, তবু মনের মাঝে রয়ে গেছে শুধু জামশেদপুর। ছোটবেলা যেখানে কেটেছে সেই জামশেদপুর ছেড়ে বাইরে মন টেকে না। পুনেতে থাকাকালীন মাঝে মাঝেই ছুটিছাটাতে জামশেদপুরে চলে আসা যেত। বেঙ্গালুরুতে চাকুরীটা পাবার পর থেকে ছুটি পাবার সমস্যা বেড়েছে, হুট্ করে তাই আর বাড়িতে চলে আসা যায় না। কাজের চাপ তো রয়েছেই, থাকবেও। তাই বলে তো আর জামশেদপুরকে ভুলে থাকা যায় না। সেই ডিমনা লেক, জুবিলী পার্ক, উইক এন্ডে ঘুরে বেড়ানোর কত ভালো ভালো জায়গা।তবু সব থেকে ভালো লাগে গ্রামের বাড়িতে থাকতে। জামশেদপুর থেকে কিছুটা দূরে গালুডিতে নবনীলদের একটা গাঁয়ের বাড়ি আছে। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। নবনীলদের পূর্বপুরুষেরা এই গ্রামেরই মানুষ। বেশ কিছু জমি জায়গা আছে। মাটির দেয়াল দিয়ে ঘেরা একটা মাথা গোঁজার আস্তানাও রয়েছে। এখন অবশ্য নবনীলের বাবা ধরণী বাবু একটা পাকা বাড়িও বানিয়ে নিয়েছেন সেখানে। মাটির ঘরগুলো এখনও ঐভাবে রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় একটু আধটু ভাঙ্গনও ধরেছে। বছরে এক আধবার মেরামতিও করে নেওয়া হয়। ঘরগুলো অনেক ঐতিহ্য বহন করে এখনও দাঁড়িয়ে আছে, ভেঙে ফেলা তো যাবে না।

ওই গ্রামে সেসময় নবনীলের ঠাকুরদা রমণী বাবুর অনেক প্রতিপত্তি ছিল। গ্রামের লোকেরা তাকে যেমন শ্রদ্ধা ভক্তি করতো, তেমনি ভালোও বাসতো খুব। বাড়িতে গ্রামের সব লোকেরই অবাধ যাতায়াত ছিল। কারো কোনোরকম অসুবিধা হলে সেটা সমাধানের জন্য সোজা রমণী বাবুর কাছে চলে আসতো তারা। তাদের বিশ্বাস ছিল যে রমণী বাবু সবার সব সমস্যার সমাধান করে দেবেন। রমণী বাবুও গ্রামের প্রত্যেকটি লোককে চিনতেন। প্রত্যেকের দুঃখে, কষ্টে তাদের পাশে এসে দাঁড়তেন। গ্রামের লোকেরা রমণী বাবুকে ডাক্তার বাবু বলেই জানতো। আসলে অসুখ বিসুখে গাঁয়ের লোকেদের ওষুধপত্র মানে আয়ুর্বেদিক ওষুধ দিতেন তিনি। সেই ওষুধেই জ্বর জ্বালা সব ভালো হয়ে যাওয়াতে ডাক্তার বাবুর খুব সুনাম ছিল গ্রামে। মান্যতাও পেতেন। ডাক্তারি ফী বা ওষুধের জন্যও রমণী বাবু কিন্তু গরিব আদিবাসী মানুষ গুলোর থেকে টাকা-পয়সা কিছু নিতেন না। তবুও, গাঁয়ের মানুষেরা টাকা-পয়সা না দিতে পারলেও ফল, সবজি, মাছ, ডিম, সামর্থ্য অনুযায়ী যে যা পারতো দিয়ে যেত। রমণী বাবু নিতে না চাইলেও তারা একরকম জোর করেই দিয়ে যেত। 'তুকে ইটা লিতেই হবে রে ডাক্তার। তুই তো মোর দেবতা রে দেবতা। দেবতারে না দিয়ে মুরা খেতেই পারব লি। গাছে ইবার মেলা কাঁঠাল ধরিছে, কাল একটা ইঁচড় দিয়ে যাবু তুকে'। রমণী বাবু না না করে উঠলেও তারা শুনতোই না।

নবনীলের ভালোই লাগে দেশের বাড়িতে যেতে। চারদিক এতো খোলামেলা, মন ভরে যায়। এখন তো আবার রাস্তাগুলোও পাকা হয়ে গেছে। আগে কাঁচা লাল মাটির রাস্তা ছিল। রমণী বাবুই গাঁয়ের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে কত বড় বড় রাস্তা বানিয়ে দিয়েছিলেন গাঁয়ে। সেই রাস্তাগুলোই আজ পিচ রাস্তা হয়ে গেছে। আগে এই রাস্তায় সাইকেল আর গরুর গাড়ি ছাড়া কিছু যানবাহন দেখা যেত না। কেউ বড় অসুখে পড়লেও হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য সেই গরুর গাড়িই ছিল ভরসা। এখন গাঁয়ের লোকেরা অনেকেই বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ায়। দু'চারটে চার চাকার গাড়িও দেখতে পাওয়া যায় মাঝে সাঝে।

নবনীলদের গাঁয়ের এই বাড়ি, জমি দেখাশোনার দায়িত্ব এখন মুকরুর। ধরণী বাবু, মানে নবনীলের বাবা, চাকুরীসূত্রে জামশেদপুরেই থাকেন। রমণী বাবু মারা যাবার পর থেকে মুকরুই এ বাড়ির সমস্ত দায়িত্ব সামলায়। ধরণী বাবু ছুটিছাটায় গ্রামের বাড়িতে আসেন। জামশেদপুরে থাকাকালীন নবনীলও বাবার সাথে যেত গ্রামের বাড়িতে। এখন নমাসে ছমাসে একবারই হয়তো যাওয়া হয়। অবশ্য পুজোর সময় একবার হলেও যেতেই হবে। ধরণী বাবু প্রতিবারই পুজোর সময় গ্রামের বাড়ি গিয়ে জামা-কাপড়, মিষ্টি, কিছু টাকা-পয়সা এখনও দান করেন গাঁয়ের গরীব লোকগুলোকে। রমণী বাবুই চালু করেছিলেন এই প্রথাটা। গাঁয়ের গরীব লোকগুলো পুজোকালের দিনে একটু আনন্দ করবে না, নতুন জামা-কাপড় পরবে না, তা কি হয় ? ধরণী বাবুও চালু রেখেছেন প্রথাটা। নবনীল নিজের মনেই শপথ নেয় যে এই সুন্দর ব্যবস্থাটাকে সেও নিশ্চয়ই চালু রাখবে। দাদুর মতো সেও গাঁয়ের লোকেদের উন্নতি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু সুযোগ তো কম। বেঙ্গালুরুতে কাজের মধ্যে থেকে গাঁয়ের লোকেদের উন্নতি করার চিন্তাটাই প্রতি বছর করা সম্ভব হবে কি না এখনই বলতে পারছে না। গাঁয়ে আসতে না পারলে বাবার মাধ্যমে টাকাই পাঠাতে পারে, তাদের সুখ দুঃখের অংশীদার হওয়া যায় না বা তাদের মনের সাহসও বাড়ানো যায় না। কিন্তু ছুটি পাওয়ার অসুবিধা থাকলে টাকাটাই পাঠিয়ে দিতে হবে, যাতে গাঁয়ের গরীব মানুষগুলো উৎসবে মেতে একটু আনন্দ করতে পারে।

এবার পুজোতে বাবার সাথে দেশের বাড়ি এসেছে নবনীল। মুকরুর ছেলে ভোলাটাও এখন একটু বড় হয়েছে। আট ক্লাস পর্যন্ত পড়েছে। অভাবের জন্য আর বেশি পড়াশোনা করে উঠতে পারেনি। জমিজমার কাজ ধরেছে। মুকরুকে যতটা পারে সাহায্যই করে। রান্নাবান্নার কাজটাও শিখে গেছে বেশ ভালোই। মা টার তো বয়েস হচ্ছে, কতই বা আর কাজ করতে পারে। তবুও তো করছে, যতটা পারছে করছে। ভোলাও মা কে সাহায্য করতে করতে নিজেই বড় রাঁধুনি হয়ে গেছে।

-'ভোলা, তুই আর পড়াশোনা করলি না কেন ? বাড়ির কাজকর্ম তো পড়াশোনা করার সাথে সাথেও করা যায়'। নবনীল জিজ্ঞাসা করে। 

- 'নবদা, তুমি তো জানোই আমাদের অবস্থা। জমিজমা দেখাশোনা করে যেটুকু পয়সা বাপে ঘরে আনতে পারে, তাতে এতবড়ো একটা সংসার চালিয়ে পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব নয়। তার ওপর বই-পত্তরের যা দাম হয়েছে, কিনতেই পারি না। তুমি তো জানোই, আমার পরে আরো দুটো বোন আছে, ওরাও তো বড় হচ্ছে। ওদের বিয়ে টাও দিতে হবে। বাবার একার পক্ষে সেটা আর সম্ভব নয় গো নব দা। তার ওপর বাবারও তো বয়স বাড়ছে। আর আগের মতো কাজও করতে পারে না। তাই আমাকেই একটু-আধটু বাবার কাজে সাহায্য করতে হয়'।

- 'কিন্তু, পড়াশোনাতে তুই তো মোটামুটি ভালোই ছাত্র ছিলি। সেই লেখাপড়াটা ছেড়ে দিয়ে তোর এতটুকু খারাপ লাগছে না, নাকি পড়াশোনা করার ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেছিস' ?

- 'না গো দাদা না, পড়াশোনা করার ইচ্ছেটা আমার এখনও আছে। পড়াশোনা করতে এখনও খুব ভালো লাগে। কিন্তু বুঝতেই পারছো, পরিস্থিতির চাপে পড়ে পড়াশোনাটা আর করা হয়ে উঠলো না'।

- 'তোরা যদি পড়াশোনা না করিস, চাকরী বাকরি না করিস, তবে তোদের এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতি হবে কি করে, বলতে পারিস আমায়। টাকা দিয়ে, দান দিয়ে, ভর্তুকি দিয়ে একটা সম্প্রদায়ের উন্নতি করা কি সম্ভব ? সরকার এতো স্কুল-কলেজ তৈরী করে দিয়েছে, তোরা পড়াশোনা করবি বলে, পাশ করে চাকরী করবি বলে, এইসব স্কুলেই শিক্ষকতা করবি বলে। গাঁয়ের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা তো তোদের দেখেই শিখবে। তোরা ওদের পড়াবি, ওদের শেখাবি, বোঝাবি শিক্ষার মর্যাদা কত। একটা জাতির উন্নতি করার জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কতটা, সেটা তোরাই তো ওদের বোঝাবি। তোদের দেখেই তো ওরা উদ্বুদ্ধ হবে, শিক্ষা লাভ করবে, গাঁয়ের উন্নতি হবে।

- 'কিন্তু দাদা, সংসারই যদি না চলে তবে পড়াশোনা দিয়ে কি হবে। আমরা যদি হাতে টাকা না পাই তো সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়ে কি না তুমিই বলো'।

- 'তোদের ধারণাটা এখনও সেকেলেই রয়ে গেলো দেখছি। আরে বাবা, পড়াশোনা শিখলে তবেই না কিছু কাজকর্ম করে দুটো পয়সা ঘরে আনতে পারবি, সংসারটা চালাতে পারবি। এই যে এখন তোরা মাঠে কাজ করিস, সেই তো পুরোনো ধারণাগুলোকে সঙ্গে নিয়েই করিস। আমি বলছি না, সে ধারণাগুলো ভুল, কিন্তু একটু শিক্ষা থাকলে, একটু বুদ্ধি প্রয়োগ করতে পারলে, ওই কাজ গুলোই তো আরো একটু উন্নত প্রক্রিয়াতে করতে পারা যায়। ফলে, আখেরে তো তোদেরই লাভ হবে। ফসল ভালো হবে। তুলনামূলক ভাবে হাতে দুটো বেশি পয়সা আসবে, সংসারটাতেও একটু স্বচ্ছ্বলতা আসবে'।

- 'কিন্তু তার জন্য পড়াশোনা তো শিখতে হবে। মুখে বলে দিলেই তো আর শিক্ষা গ্রহণ করা যায় না। তার জন্য স্কুল, কলেজ চাই। শিক্ষক চাই। যেখানে কোনো পরিকাঠামোই নেই, শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুবিধাই নেই, সেখানে গায়ের উন্নতিটা হবে কিভাবে, বলতে পারো ? চার-পাঁচ মাইল পথ হেঁটে গেলে তবে না একটা স্কুল দেখতে পাওয়া যাবে, কোথাও আবার আরো বেশি পথ চলতে হয়। দিনে দুবেলা এতদূর পথ হেঁটে যাওয়া-আসা করার পর গ্রামের এই অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগা ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলো ঘরে ফিরে আর পড়া তৈরী করার চেষ্টা বা ইচ্ছে কোনোটাই করে উঠতে পারে না। তার ওপর সন্ধ্যের পর আলোর সমস্যা তো লেগেই আছে। এই অবস্থায় কি ভাবে একটা গ্রাম উন্নতি করতে পারে, বলতে পারো' ?

- 'দেখ, এ ব্যাপারে সাফল্য পেতে গেলে গাঁয়ের লোকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তোরা হয়তো বলবি, এই আমাদের মতো লোকেরা শুধু বড় বড় কথাই বলতে পারে, উপদেশই দিতে পারে, কিন্তু গ্রামের উন্নয়নের জন্য কোনো গঠনমূলক কাজ করতে পারে না। হয়তো ঠিক। এই আমার কথাই চিন্তা কর, আমি এখনই তোদের হয়তো সঠিক পথ দেখাতে পারবো না। আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে আমি যদি কিছু একটা করার চেষ্টা করি, যাতে তোদের কিছুটা হলেও মঙ্গল হয়, তোরা কি সেটা মেনে নিতে পারবি বা সে কাজে সম্মতি দিতে পারবি' ?

- 'তুমি ? তুমি কি করতে পারো দাদা। সবে তো চাকরিতে ঢুকেছো। তাছাড়া, থাকো তো সেই বেঙ্গালুরুতে। এই গাঁয়ের উন্নতি তুমি কিভাবে করতে পারবে গো দাদা' ?

- 'আমি জানি, আমি কিছুই করতে পারবো না। কিন্তু তুই যদি সত্যি সত্যিই পড়াশোনা করতে চাস, যদি ভবিষ্যতে গ্রামের উন্নতি করার কথা নিজের মনের মধ্যে গেঁথে রাখতে পারিস, তবে তোকে আমি আমার সাথে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যেতে চাই। সেখানে আমার সাথে থেকে তুই পড়াশোনা করবি। স্কুল-কলেজ পাশ করে গ্রামে ফিরে এসে গ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিবি। এখানকার ছেলেমেয়েদের পড়াবি, পড়া ছাড়াও হাতের কাজ শেখার জন্য অনুপ্রাণিত করবি। গ্রামকে, গ্রামের মানুষদের ভালোবাসতে শিখবি। তাহলেই দেখবি গ্রামের উন্নয়ন একদিন নিশ্চয়ই হবে। অবশ্য তোকে আমি এখানে, এই গ্রামেই তোর পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিতে পারি, পড়ার সমস্ত খরচ খরচার দায়িত্ব নিতে পারি, কিন্তু আমি সে টা করতে চাই না। আমি কাছে থাকলে তুই যেভাবে পড়বি, বা বাড়ির থেকে দূরে থাকলে তুই যেভাবে মন দিয়ে পড়াশোনা করবি, আমি কাছে না থাকলে তোর সেরকম পড়াশোনাটাই হবে না। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ফাঁকি দেবার প্রবণতা টা বাড়বে। তাই তোকে আমি আমার সাথেই নিয়ে যেতে চাই। পড়াশোনা শেখানোর দায়িত্বটা আমার। তারপর গ্রামে ফিরে, গ্রামে শিক্ষা প্রসারের দায়িত্বটা কিন্তু তোকেই নিতে হবে। যদি রাজি থাকিস, তবে চল। থাকা-খাওয়ার কোনো অসুবিধা হবে না'।

- 'দাদা, তুমি আমাকে তোমার কাছে নিয়ে গিয়ে পড়াশোনা শেখাবে ? আমি অবশ্যই যাবো দাদা। ভালোভাবে পড়াশোনা শিখে এসে এই গাঁয়ের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মানুষ করার কাজে নিশ্চয়ই ব্রতী হবো। তুমি চিন্তা করো না। আমাদের এই গ্রাম একদিন ঠিক উন্নতি করবে। গাঁয়ের এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে আর অনুদানের পয়সার ওপর নির্ভর করে দিনাতিপাত করতে হবে না। তারা সবাই শিক্ষিত হয়ে উঠবে। নিজেদের সংসার নিজেরাই ঠিকমতো চালাতে পারবে, কারো মুখাপেক্ষী হয়ে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে না। আমি যাবো, নিশ্চয়ই যাবো তোমার সঙ্গে। যাই, খবরটা বাবাকে জানিয়ে আসি, বাবা নিশ্চয়ই খুব খুশি হবেন'।


            -----x-----


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics