STORYMIRROR

Apurba Kr Chakrabarty

Classics

4  

Apurba Kr Chakrabarty

Classics

বেহুলা (পর্ব দুই)

বেহুলা (পর্ব দুই)

8 mins
479


অভির বাবা সামরিক বাহিনীর, উচ্চ পদস্থ কমিশন গ্রেড আফিসার। দিদি, ডাক্তার স্বামীর সাথে থাকে কনাডায়। মা অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারকের কন্যা।সচ্ছল ধনী বনেদী পরিবারে,অভি কেমন আলাদা। ইতিহাসে এম এ পাশ করে ,বি সি এসের জন্য কলকাতায় এক কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়।এক মেসে থাকত, সপ্তাহে এক দুদিন, বর্ধমানে বাড়ী আসত।

ঠাকুরমার দীর্ঘদিনের পক্ষঘাতে শয্যাশায়ী,চব্বিশ ঘণ্টার আয়া,নিকট বস্তির মেয়ে তিলোত্তমা রাত আট থেকে সকাল ছটা তার সেবা করত। 

তার বাবার সব্জি ফেরী করত আর মা অন্যের গৃহে পরিচালিকার কাজ করলেও বুদ্ধিমতী পরমা সুন্দরী একমাত্র মেয়েকে, পড়াশোনা শেখায়।

বিএ অনার্স পড়ার সময় মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হল । তার চিকিৎসা খরচ বাবার একা আয়ে হয় না,তাই তিলোত্তমা স্থানীয় এক নার্সিংহোমে আয়া আর সেবিকার কাজ নিল। এর কমাস পর হঠাৎই বাবা এক পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। মায়ের ওষুধে অনেক খরচ ,নার্সিংহোমের যা পেতো চলে না,আর দিনে মাকে একা রেখে যাওয়া সমস্যার। ঐ নার্সিংহোমের মাধ্যমেই, তিলোত্তমা অভির ঠাকুরমার রাতের আয়ার কাজ পেলো।ভালো মজুরি দিন আটশো টাকা,মায়ের খরচ বহুল চিকিৎসার সম্ভব না হলেও তার যন্ত্রণার ওষুধ , আর মা মেয়ের খাবার খরচ চলে যেত।

বস্তি থেকে অভিদের বাড়ী বেশ নিকটে। রাতে মাকে ঘুম পারিয়ে দশটায় যাতায়াতের সমস্যা হতো না।

  সমস্যা হল তার রূপে অভি পাগল। রাতে মায়ের গভীর নিদ্রাকালে,চুপি চুপি উঠে অভি তিলোত্তমার কাছে আসত।দুচোখ ভরে দেখত, ঠাকুরমা তো অক্ষম কথা নড়াচড়া তেমন করার সাধ্য নেই। তিলোত্তমা লজ্জা পেতো। কিন্তু অভি তো সপ্তাহে একদুদিন রাতে তাকে দেখে, এ দেখা বড় আকাঙ্খার, খারাপ কিছু করে না।

অভির চোখে কালীদাসের কাল্পনিক নারীর মেয়েলী গঠন রূপের বর্ণনার তিলোত্তমা যেন বাস্তব রূপ বা আরও আকর্ষনের।গভীর নির্জন রাতে তিলোত্তমার মাঝে মধ্যে ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসত, টুলে বসে ঝিমুত, শাড়ি সড়ে যেত, খসে পরত, তার ব্লাউজে ঢাকা উপচে পরা নিখুঁত সুডৌল স্তনের ভাঁজ, সুগভীর নাভী,মেদ হীন কটি, স্ফীত নিতম্ব,সেদিন গভীর রাতে ঘুম ভাঙ্গা চোখে দেখতে দেখতে অভির কেমন এক অনুভুতি, সারা শরীরের রক্ত যেন বুকে জমেছে , ঠোঁট আর আঙ্গুলের অগ্রভাগ কেমন ঝিম ঝিম করছে,অবশ ভাব,দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাসে কেমন তোলপাড় করা বুকটা ধরাস ধরাস করছে।

সহসা তিলোত্তমার ঘুম ভেঙ্গে জেগে যায়। অভিকে এত কাছে দেখে চমকে ওঠে ।লজ্জায় আলুথালু শরীর কাপড়ে ঢেকে ঠিকঠাক করে। বিব্রত অভি একটু লজ্জিত কিন্ত পরক্ষণেই বলে " তুমি কী ভীষণ সুন্দর! এত দারিদ্র্য, রাত জাগা পরিশ্রম, উদ্বেগ দুশ্চিন্তার তবু যেন ঈশ্বরের তুমি সেরা সৃষ্টি! সুস্থ সচ্ছল সুখী জীবন পেলে তুমি নিশ্চিত স্বর্গের অপ্সরা কে লজ্জা দেবে ।"

তিলোত্তমা কোন উত্তর না দিয়ে অভির ঠাকুরমার সেবাযত্নে মন দিল।মনে মনে ভাবে ধনী সচ্ছল ঘরের আভিজাত্যের রক্তে আবেগ ক্ষনস্বায়ী। নীরবে অভি দেখছিল ,নোংরা পায়খানা পেচ্ছাপ দুহাতে সড়িয়ে নতুন পোশাক চাদর পাল্টে, ঠাকুরমার মাথায় হাত বুলিয়ে পা হাতে ম্যাসেজ করে আরাম দিচ্ছে।

অভি তাকে বলল,"তোমার না ঘুমিয়ে রাত কাটাতে কষ্ট হয় না! "

তিলোত্তমা এবার বলে "দুপুরে একটু ঘুমাই, আর 

পায়খানা পেচ্ছাপ হাত দিতে ঘৃনা হয় না! আমার মা অসুস্থ ,অনেক টাকার দরকার, আমি এসব করে যে টাকা পাই চলে যায় ,দিনে মায়ের সেবাযত্ন করতে পারি,সঙ্গ দি। চলে যাচ্ছে, অসুবিধা নেই। "


"তুমি যেমন ভীষণ সুন্দরী ,আবার মনটাও খুব ভালো, সেবাযত্ন এত কর্তব্য দায়িত্ব, এ যুগে কোন মেয়ে পাওয়া যাবে না। তোমাকে আমার ভীষণ ভালো লাগে, স্বপ্ন যেন সব সময় দেখি,কলকাতায় থাকার সময় তোমার কথা ভীষণ মনে হয়। "

একটু লাজুক হেসে তিলোত্তমা বলে "কিন্ত বাবু আপনি এভাবে কেন জীবন নষ্ট করছেন! আমি সামান্য বস্তির মেয়ে,আপনি কত বড় ফ্যামিলির ছেলে।আপনাদের বাড়ী আর মানুষদের এখনকার বস্তির মানুষ সম্মান করে।আপনার বাবা বড় সেনা অফিসার, পুরোন বনেদী জমিদার বাড়ি বলতে এই বাড়ি সবাই জানে।"

অভিকের জেদের কাছে তিলোত্তমা হার মানে,তার মনে হয়,ইনি অন্য রকম, সত্যি তাকে ভালোবাসে।সপ্তাহে দুটো রাত তারা গভীর প্রতিক্ষায় থাকত। তিলোত্তমা কিন্তু অভির কোন উপহার নিতে চাইত না,বলত যেদিন তোমায় পাবো,স্বপ্ন বা কল্পনায় নয় বাস্তবে।তোমার সব উপহার নেবো।

 

শারীরিক সম্পর্ক হীন সবে তখন একমাসের আবেগঘন প্রেম। তিলোত্তমার মা মারা যায়। রায় চৌধুরী গিন্নি তিলোত্তমাকে স্নেহ করত,একজন মনিব বা মালকিন,অনুগত দায়িত্বশীল ভুত্য বা দাসীকে যতটা করে । বললেন,"ঐ বস্তি ছেড়ে আমার নিচে তলা সিঁড়ির পাশে ঘরে থাক।টাকা সমান পাবি,সঙ্গে তিনবেলা খাবার, তার জন্য, আমার রান্নায় সাহায্য, আর ঘরগুলো মুছবি পরিস্কার করবি। বড় জোর তিন চার ঘণ্টার কাজ, বাকী সময় দিনে ঘুমোবি, রাত জাগতে তাহলে তোর কষ্ট কম হবে।"

তিনদিন পর অভি বাড়ি এল ,তখন সন্ধ্যা , দেখল সিড়ির পাশে ঘরে তাদের এক অব্যবহারকৃত খাটে তিলোত্তমা ঘুমুচ্ছে। মায়ের মুখে শুনল ,তিলোত্তমার মা মারা যাবার পর ,তিলোত্তমা এখানে থাকবে। যুবতী মেয়ে,রূপ যৌবন আছে একা বস্তিতে নিরাপদ নয়।কেউ ফুসলে নিয়ে পালালে, রাতে এমন একজন শাশুড়ির জন্য আয়া পাওয়া সমস্যার। সঙ্গে,তাকে দিনে রান্নার এক জন সাহায্য কারী পেলে তার কষ্ট কমবে।

ঐ রাতে অভি তিলোত্তমার অভিসারে এল,তিলোত্তমা মাথা ঝুঁকিয়ে মনমরা হয়ে টুলে বসে, ঠাকুরমার শয্যার পাশে, ঠাকুরমার ঘুমে অচেতন মৃদু নাক ডাকার শব্দ । অভি একটু কাছে গিয়ে তিলোত্তমার মাথায় হাত ঠেকিয়ে তার মায়ের মৃত্যুর জন্য দুঃখ সমবেদনা জানালে।সহসা তিলোত্তমা কেমন ফুঁপিয়ে কেঁদে পা দুটো জড়িয়ে কাঁদতে থাকে।

অভি তাকে তুলে বুকে টেনে নেয়, "তুমি এত ভেঙ্গে পরো না! "

তিলোত্তমা কান্নাভেজা হতাশা গলায় বলে,"আমি একা হয়ে গেলাম ,তবু মাকে কাছে পেতাম, অসুস্থ হলেও আমার কথা ভাবত, একটু সাহস পেতাম।"


অভি শান্ত্বনা দিয়ে বলে" আমি তোমার সঙ্গে থাকব। ঠাকুরমার সামনে কথা দিচ্ছি। "


তিলোত্তমা কাতর ভাবে বলে" তুমি সত্যিই আমায় ভালোবাসো অভি দা! তোমার পায়ে একটু আশ্রয় দেবে!আমি ভীষণ একা,খুব ভয় করে,মনে হয় আমার আর কোন ভবিষ্যত নেই! "

অভি তাকে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ধরে বলে"আমি কামুক কাপুরুষ নয়। এই বংশে পুরুষরা বীর, কথা দিলে কথা রাখে। "

তারপর অসহায় তিলোত্তমা কেমন দিন দিন নিজেকে অভির কাছে সঁপে দিল। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একতলায় সিড়ির পাশের ঘরে সেদিন গভীর নির্জন রাতে তাদের ঘনিষ্ঠ ভাবে, অভির মায়ের নজরে এল! সন্দেহ তার দুতিন দিন হয়েছে।

তিলোত্তমার মায়ের মৃত্যুর তখন মাস খানেক অতিক্রম করেছিল। অভির ঘন ঘন বাড়ি আসা তাকে হঠাৎই ভাবায়, সঙ্গে কেমন চুপ চাপ, তার স্বভাব আচরণ মায়ের মনে খটকা লাগে। বড় মাছ ধরার আগে রীতিমত আয়োজনের মত, রাতে এদিন না ঘুমিয়ে ছিল। ঘুমুলে তার গাড় ঘুম তাকে কেমন অচেতন করে, এক ঘুমেই সকাল। রাতে অভির খিল খুলে বের হওয়া ,একটু পর সে বের হয়ে দেখে দোতলায় কেউ নেই, শাশুড়ির কাছে তিলোত্তমার থাকার কথা! ধীরে ধীরে নিচের সিড়ির পাশের ঘরে দরজা লাগানো, আচমকা দরজা খুলতেই এমন দৃশ্য ! তার মাথায় আগুন জ্বলে যায়। তীব্র ভৎসনায়,বলে "হারামজাদী নচ্ছার!" ইতিমধ্যেই অভি তিলোত্তমা চমকে ঠিকঠাক পোষাকে হলেও, লজ্জা আর ভয়ে কথা বলতে পারে না।

শেষ রাত তখন সাড়ে তিনটে কী চারটে ,ফাল্গুন মাঝামাঝি, হাল্কা শীত,রাস্তার সদর দরজা খুলে তিলোত্তমার যা কিছু ব্যাগ বাক্স ছিল ছুড়ে ছুড়ে রাস্তায় ফেলতে লাগল,"কাল সাপ পুষেছি, কী করে তোকে বিদায় করতে হয় আমার জানা আছে, বের হ বেশ্যা খানকী মা বাপ খেয়ে এবার আমার ছেলেকে খাবি! ডাইনী মাগী "বলেই,নারকেল কাটি মুরো ঝাঁটা মারতে লাগল বিরামহীন,তিলোত্তমা ভয়ে কাঁপছিল, যন্ত্রণায় চোখ দিয়ে জল ঝরলেও কান্নার শব্দ বের হচ্ছিল না,মনে হচ্ছিল সে মরে যাবে, এত রাতে বাড়ির বাইরে যেতে চায় না। এক স্থানে দাঁড়িয়ে ঝাঁটা মারার তীব্র যন্ত্রণার ভোগ করছিল।অভি এতক্ষণ অবধি লজ্জা সরম কেমন উদভ্রান্ত ছিল, আট দশ বার ঝাঁটা আঘাতে তিলোত্তমা কেমন যন্ত্রণায় থরথর কাঁপছিল।

অভি ছুটে এবার তাকে আগলে মাকে বলে, "আমাকে মারো,ওর কোন দোষ নেই সব দোষ আমার। "

মা তীব্র ভৎসনায় বলে "তুই কার সাথে কী বলছিস জানিস !"

"হ্যা জানি! তিলোত্তমাকে আমি ভালোবাসী ওকে বিয়ে করব।"

এবার ভারতী তীব্র ভৎসনায় অভিকে বলে" ঐ বস্তির জাত কুলহীন ভিখারী মেয়েকে তুই বিয়ে করবি! তুই পাগল হয়েছিস!"

"হ্যাঁ হ্যাঁ যদি পাগল ! তবে বিয়ে ওকেই করব।"

এবার ভারতী ক্ষোভে ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে চিৎকার করে বলে,"তবে শুনে রাখ,তুইও বাড়ি থেকে বিদেয় হ, জানব আমার ছেলে অভি মরে গেছে।এ বাড়ীই দরজা তো জন্য চিরকাল বন্ধ, ঐ ডাইনী মোহ মুক্তি যদি কোন দিন হয়, প্রায়শ্চিত করে বাড়ী ঢুকতে পারিস। না হলে তুই আমাদের কাছে আজ থেকে মৃত। "

এবাড়ি সব আইন চলে ভারতীর কথায়। অভি জানে তার বাবা যত বড় সেনা অফিসার হোক, বাড়িতে তার একমাত্র বস ভারতী।

দুঃখে অভিমানে অভি ,তিলোত্তমাকে নিয়ে বাড়ী থেকে চলে আসে, বাবা মা বাড়ি সম্পদ সব সম্পর্ক ছেদ করে।তিলোত্তমার ব্যাগ ছোট বাক্সে তার উপার্জনের কিছু টাকা আর কিছু পোষাক সঙ্গে নিয়ে,ভোড়ের ট্রেন ধরে হাওড়া হয়ে তার শিয়ালদহে মেস গেল ,সেখান থেকে কিছু তার পোষাক আর নিজস্ব সার্টিফিকেট বই ম্যাগাজিন নিল।একটা বস্তির মত এলাকায় ঘর ভাড়া নেয়। কালীঘাটে তিলোত্তমার সিঁথিতে সিঁদুর ,পরিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিল। 

সঞ্চয়ে আর কদিন চলবে! আর স্ত্রীর উপার্জনের খাওয়া সম্মানের নয়।চাকরী বেশ কিছু পরীক্ষা দিয়েছিল।রেজাল্ট কবে হবে,সাফল্য পাবে কীনা সেই ভরসা না করে,তিলোত্তমার কিছু টাকায় বই ম্যাগাজিন কিনে ট্রেন হকারী শুরু করল।

তিলোত্তমার হাজার আপত্তি সে মানল না। তিলোত্তমাকে অভি কোন অসম্মানজনক কাজ করতে দেবে না,এটাই তাদের বংশের রীতি।

আয় হত নামমাত্র কিন্ত সারাদিন অকান্ত পরিশ্রম আর খাবার অনিয়ম, ধনীর দুলাল অসুস্থ হয়ে পরছিল কিন্ত অসুস্থ শরীরেই জেদী অভির হকারী চলল,। একরাতে খুব বাড়াবাড়ি শ্বাসকষ্টে ছটছট করছে গায়ে জ্বর, প্রান সংশয়।

পরদিন তিলোত্তমা তাকে অভির ইচ্ছার বিরুদ্ধেই নামী ডাক্তার দেখালো, বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা ওর তার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানালেন ওর কিছুদিনের মেডিসিন দিলাম, এখন খেলে কটা দিন হয়ত রিলিফ পাবে, কিন্ত সময় নষ্ট না করে, কোন ভালো হার্ট সার্জেন সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন ।আবার বাড়াবাড়ি হলে প্রানসংশয়ের সতর্ক করলেও,লাখ লাখ টাকা খরচ করে অপারেশন সাধ্য ছিল না। সামান্য মেডিসিন ট্যাবলেট কিনতে তার গচ্ছিত টাকায় হয় না।শেষ সম্বল তিলোত্তমার কানে আড়াই আনা সোনার রিং। তার পর কল্পতরু সুন্দরী সাধক আবীরের দেখা।

আবীরকে তিলোত্তমা এদিনের সব ঘটনা বলে, তাকে এবার থেকে বোনের চোখে দেখত হাতে ধরে অনুরোধ করে।

আবীর লজ্জিত হয়,সহমত পোষণ করে, পরদিন তার ফ্ল্যাটে এসে অভির কাছে ক্ষমা চাইতে এল।

অভি বলে ," তিলোত্তমা এতটাই মনমোহনী সুন্দরী, আমি তো আমার মা বাবা সম্পদ সব ছেড়ে ওর সাথে বস্তির জীবন শুরু করি। আপনার চারিত্রিক দোষের বিচারে আমি যাবো না ,পুরানে দেবদেবী সাধু ঋষি কত নেবেন! তবু তারা কর্মগুনে মহান, আপনিও মহান ।"

আবীর একটু দুঃখ আর আফসোস নিয়ে বলল "আমার ব্যক্তিগত জীবনে কিছু ঘাটতি আছে ।আমি অনেক নারীর সান্নিধ্যে এসেছি। তিলোত্তমা যেন অন্য রকম,শুধু সুন্দরীই নয়,চরম বুদ্ধিমতী আর বাস্তববাদী।আর তোমায় প্রানের অধিক ভালোবাসে, সঙ্গে এক অকৃত্রিম স্নেহ করে।

একটু থেমে বলে,যদি দাদার মতই আচরণ করতাম তোমাদের কাছে আজ সংকোচ লাগত না। যাইহোক আমি এ ফ্ল্যাট তিলোত্তমার নামে লিখে দিয়েছি।আমার নার্সিংহোমে একটা কাজ দিয়েছি। তুমি সুস্থ হলে তোমাকে আমার বন্ধুর এক স্কুলে কাজ দেবো।তোমরা সুখী হও,বিপদে বা যেকোন দরকারে আমাকে পাবে।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics