অশ্রীলতার দায়ে
অশ্রীলতার দায়ে
অশ্রীলতার দায়ে
কলমে - কৃষ্ণ ব্যানার্জী
হরপ্রসাদ মান্না , বর্তমান যুগের অনলাইন পত্রিকার এক জনপ্রিয় নাম । বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকাতে তার লেখা চাপা হয়ে থাকে । বহু পত্রিকাথেকে তিনি উপহারো পেয়েছেন । আবার তিনি একটি গল্প ছাপতে দিলেন জার নাম মন্দ মেয়ের আত্ম কথা । গল্পের বিষয় বস্তু এখানে মুল বিষয় নয় , মুল বিষয় হলো যে পত্রিকাতে তিনি গল্পটি দিলেন দিলেন সেই পত্রিকার সাথে তার সম্পর্ক চার বছরের । হাজারের অধিক অনুসরণ কারি তার । হটাত পত্রিকার কর্তৃপক্ষ তাকে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিলেন উক্ত গল্প টির জন্য তার একাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে । তিনি কারণ জানতে চাইলে তাকে জানানো হলো এই পত্রিকাতে অশ্রীল কোনো পোস্ট ছাপা হয়না। প্রথমতা তিনি একটু অবাক হলেন , তিনি বুঝে উঠতে পারলেন না গল্পে তিনি কি এমন লিখলেন যে তাদের গল্পটা অশ্রীল বলে মনে হলো ? অনেক চিন্তার পড়ে তিনি অনুধাবান করলেন গল্পের কভারপেজ দেখে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই তিনি কোনো কিছু না ভেবেই ঐ পত্রিকার বিরুদ্ধে একটা কেশ ঠুকেদিলেন লোয়ার কোর্টে । কেশের তারিখ পড়তে দুই পক্ষ মুখ মুখী । বিচারপতি জানতে চাইলেন কি কারণে এই মামলা ? লেখক জানালেন ওনারা আমার লেখাটা না পড়েই আমার একাউন্ট টা ব্লক করেছেন , আমি জানতে চাই আমার লেখাতে এমন কি আছে যেটা ওনাদের মনে করিয়েছে যে লেখাটি অশ্রীল । অপর পক্ষকে তিনি বললেন আপনাদের কানো এমনটা মনে হয়েছে ? কর্তি পক্ষ জানালেন স্যার গল্পের নাম আর তার কভারপেজ দেখলেই বোঝা যায় যে গল্পের লাইন আপ কেমন হতে পারে ? তাই আমরা ওনার একাউন্ট ব্লক করেছি । লেখক বলেন এখানে আমার অবজেকশন আছে হুজুর , কিছুদিন আগেই ওনারা একটি অনলাইন পোগ্রামে বলেছেন পাঠাকদের আকর্ষণ করবারজন্য কভারপেজ আর টাইটেল আকর্ষণীয় হতে হবে । আর সেই মিটিংয়ের রেকর্ডিং আমার কাছে রয়েছে যদি আপনি দেখতে চান আমি দেখাতে পারি , আর যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে সেক্স একটি আকর্ষণ , এতে দোষের কি আছে ? কর্তৃপক্ষ বলে হুজুর আমাদের পত্রিকাতি সকল বয়সের মানুষ পড়ে , ছোট - বড় সব বয়সের মানুষ সেখানে এটা আমরা কিভাবে মেনে নেই । লেখক বলেন এখানেও আমার অবজেকশ আছে হুজুর । বিচারক বলেন কেমন ? তিনি বলেন হুজুর আমাদের দেশে বহু দর্শনিক স্থান রয়েছে , রয়েছে বহু তীর্থ স্থান যেখানে শিল্পকলার মুল রসদ সেক্স । তাহলে নিশ্চই ঐ স্থান গুলো বাচ্ছাদের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ কিন্তু তাকি হয় ? আমরা পরিবার পরিযান নিয়ে সেখানে তীর্থ করতে যাই ঐতিহাসিক স্থানে দেখতে যাই প্রাচীন শিল্পকলা আর শুধু দেখতে যায়না তা দেখে আমরা মুগ্ধ হই। এবার আপনি বলুন তাহলেতো মহামান্য আদালতের উচিৎ ঐ সকল স্থানগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া নচেৎ ওখানে শিশু প্রবেশ নিষিদ্ধ করা । ওনারা গল্পকারের জন্য বিভিন্ন অপশন দিয়েছেন তারমধ্যে একটি অপশন রয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য , যে গল্প প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সেই গল্প শিশু পাঠাকদের কাছে যায় কি করে ? বিচারক কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলেন উনিকি ঠিক বলছে ? কর্তৃপক্ষ সম্মতি জানালেন এবার বিচারক প্রশ্ন করলেন তাহলে আপনাদের সমস্বা কোথায় ? কর্তৃপক্ষ জানালেন গাইডলাইনে । আমাদের গাইডলাইন এগুলো গ্রান্ট করেনা । বিচারক বললেন তাহলে এই অপশনটা দিয়েছেন কানো ? কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পড়লেন না । বিচারক লেখককে প্রশ্ন করলেন আপনি কি চান ? লেখক বললেন হুজুর ওনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ ছবি আর টাইটেল দেখে একটা লেখার বিচার না করে গল্প পড়ে সিদ্ধান্ত নিক গল্পটি বাস্তবিকই কি ছাপার যোগ্য নয় , এতে লেখকদের মন ভেঙে যায় । আপনাদের আমি আমার একাউন্ট খুলে দেওয়ার অনুরোধ করছিনা , অকারণে জানো আর কারো একাউন্ট ব্লক না করা হয় শুধু এটুকুই আমার অনুরোধ ।
সমাপ্ত
