অপরাধী কারা
অপরাধী কারা


অপরাধী কারা
ডক্টর কৃষ্ণ ব্যানার্জী 30/06/2022
10/ 06 / 2022 উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার অনলাইন ফল ঘোষনা হলো। ইতি পূর্বে 2020 এবং 2021 করণা মহামারির জন্য লাগাতার বিদ্যালয় বন্ধ। পেটে ভাত নেই অথচ সরকারের আদেশে ছাত্রদের হাতে হাতে সেল ফোন চলে এলো। পাঠক্রম সম্পূর্ণ হবে অনলাইনে। কোন কোন শিক্ষক 15 মিনিট তো কোন কোন শিক্ষক সপ্তাহে একদিন অনলাইনে ছাত্রদের শিক্ষা বিলি করতে লাগলেন। যাইহোক ছেলে মেয়েরা ফোনটাকে পড়াশুনার চাইতে খেলা ধুলা আর সোশ্যাল মাধ্যমের জন্যই বেশি ব্যবহার করেছে এই দুই বছর। বাপ মারা পেট কেটে নেট ভরে দিয়েছে কোন কম্পানি সহানুভূতি দেখায়নি বরঞ্চ সরকারের পরক্ষ সহযোগিতায় মূল্যবৃদ্ধি করেছে তারা।
অবশেষে 2022 সালে দুই মাসের জন্য বিদ্যালয় চালুকরে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রশ্নটা হলো এক বছরের পাঠ্যক্রম কি ভাবে দুই মাসে সম্পর্ণ করা সম্ভব। যদি এটা সম্ভব হয়েই থাকে তাহলে এতগুলো বছর পড়াশুনার কি দরকার? একটা ক্লাস দুই মাসেইতো শেষ হতে পারে তাহলে বারোমাসে ছয়টা ক্লাস সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সরকারের চাপ কমে বাবা - মায়ের চাপ কমে।
এবার আসি ফল
াফলের কথায়, ইংরেজিতে ফেল করে বাংলায় লেটার, কেউ কেউ একাধিক সাবজেক্টেও লেটার পেয়েছে, তারমানে এটাই দাঁড়ায় ছাত্ররা ইংরেজি বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়গুলি মনযোগ সহকারে পড়েছে অথবা যে শিক্ষক ইংরেজি খাতা দেখেছেন একমাত্র তিনিই সঠিকভাবে খাতা দেখেছেন অন্যান্যরা ভূল খাতা দেখেছে। অথবা পুরটাই ভুল ছিলো।
মা - বাবা অবশ্যই দোষী প্রথমত তারা তাদে সন্তানকে বিশ্বাস করেছে, দ্বিতীয়ত তারা সরকারের কথামতো বাচ্চাদের হাতে সেলফোন তুলে দিয়েছে এটা নাকরে যদি জোর করে ঘরে পড়াতেন তাহলে না তাদের পেট কাটতে হতো না ছেলে মেয়েগুলো বেপথে যেত। পাশাপাশি শিক্ষকরাও সমান অপরাধী তারাতো আটঘন্টার বেতন পেয়েছেন, নিয়মিত 45 মিনিট দিতে পারেন নি যদি দিতেন তাহলে ক্লাস শেষ করার পর ছাত্রদের ফোনে পর্যাপ্ত ডেটা থাকতোইনা সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটবার মতো বা সারাদিন গেম খেলার মতো। ছাত্র ছাত্রীরাতো অপরাধী বটে তবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু তাদের উপর যে সকল অভিভাবকদের দ্বায়ীত্ব বর্তায় যেমন বর্তমান সরকার, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং বাবা - মা মূল পর্বের অপরাধী এরা।
কারণ আমাদের চিন্তাধারা সেখানে গিয়ে ঠেকেছে যে ফ্রিতে যদি জহর দেওয়া হয় সেটাও অমৃত, আমরা একটা জিনিস ভূলে যাই ভিক্ষা একদিন দুইদিন দওয়া যায় প্রতিদিন কেউ কাউকে ভিক্ষা দেবেনা আসলে দিতেও পারবেনা। তাই নিজেরা সাবলম্বি হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
🙏 সমাপ্ত 🙏