আদর্শ শিক্ষক
আদর্শ শিক্ষক
বদমেজাজি ফাঁকিবাজ অনিকেত। ক্লাস সিক্সের ছাত্র। কিন্তু একটুও পড়া করেনা ক্লাসে। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে পড়াশুনো গোল্লায় গেছে ছেলেটার। অনিকেতের মা খুব টেনশন করে ছেলেকে নিয়ে। একদিন রাস্তায় তার মা ওই স্কুলের এক শিক্ষক সুব্রতবাবুর কাছে এসে কান্নাকাটি করে গেছে। বলে গেছে যে, তার ছেলেকে যেনো একটু মানুষের মত মানুষ করে। সুব্রতবাবু অনিকেতের গ্রামেরই শিক্ষক। তাই তিনি ঠিক করলেন, একে মানুষ করবেন। তাই এরপর থেকে খুব শাসনে রাখতেন অনিকেতকে। ওনার মারের ভয়ে অনিকেতও পড়া করতো নিয়মিত, এমনকি ভালো পড়াশুনোর ফলে ভালো রেজাল্টও করে পরীক্ষাতে।
কিন্তু একদিন হৃদরোগে মাস্টারমশায়ের মৃত্যু হলে আবার সঙ্গদোষে একই অবস্থা হয় অনিকেতের।
এরপর পরীক্ষার সময় মায়ের কথা না শুনে খেলতে যাবে, এমন সময় এক ভূতুড়ে লাঠি পিঠে দমাদম প্রহার করতে থাকে। তার মা সেই দৃশ্যে ঘাবড়ে যায়। একবার পড়তে পড়তে ঘুমোতে গেলেও একই ঘটনা ঘটে, ফলে তার ঘুমও কেটে যায়। এরপর থেকে তার মা লক্ষ্য করে, ছেলে পড়াশুনোতে ফাঁকি দিলেই ঘটছে ঘটনাটা। অনিকেতও ভয়ে মনোযোগী হয়। মনে স্বস্তি এলেও একটু চিন্তিত হন অনিকেতের মা। একদিন কেউ একজন স্বপ্নে এসে তার মাকে স্বপ্নে জানায়, "ভয় নেই, আমি সুব্রতবাবু। আমি চেয়েছিলাম অনিকেতকে মানুষ করবো, মৃত্যুর পরেও তাই করছি। যতদিন না মানুষ হচ্ছে এইভাবেই ছায়া হয়ে থাকবো"।
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় অনিকেতের মায়ের। মনে মনে প্রণাম করেন সেই আদর্শবান শিক্ষককে।