সরণী বেয়ে..
সরণী বেয়ে..


তোমার মনের ঘরের সেতুর প্রান্ত
আমার মনের ঘরের সাথে জোড়া,
দুই হৃদয়ের রাস্তা মিলেছে যেথায়
সেথায় শুধুই কৃষ্ণচূড়ায় ভরা..
কত গ্রীষ্ম, কত বসন্ত ঋতু
একে একে এসে ফিরে যায়,
সেতুর মাঝে সেই কৃষ্ণচূড়া
নীরবে দাঁড়িয়ে মোদের অপেক্ষায়..
শরতের সেই উজ্জ্বল দিনগুলো
শ্রাবণে শ্রাবণে হঠাৎ বৃষ্টিপাত,
জ্যৈষ্ঠে তীব্র রোদের গরম হাওয়ায়
কাটিয়েছি মোরা কত দিন, কত রাত..
ফাগুনমাখা আবির রাঙানো দিনে
হাওয়ায় যখন উড়ত রঙিন ফাগ,
বিভোর হয়ে শুনতে তখন তুমি
আমার কন্ঠে বসন্ত বা বেহাগ..
মধ্যিখানে অনেক ঝড়ের আঘাত
বজ্র, বৃষ্টি, বন্যা গিয়েছে বয়ে,
তবুও মোদের মনের ঘরের সেতু
আগের মতই আছে অটুট হয়ে..
অনেক যত্নে, অনেক কষ্টে তৈরি
ভালোবাসা বোঝাপড়ার সেই সড়ক,
কত উৎসব কাটাই মোরা সেথায়
নববর্ষ, ভাদু, বিহু বা চড়ক..
কত কালো রাত এসেছে মোদের ঘরে
কত অভিমান বাড়িয়েছে ব্যবধান,
তবুও মোরা সব উপেক্ষা করে
পাশাপাশি আছি, থাকব আজীবন..
তোমার আমার দুই হৃদয়ের সেতু
মধ্যিখানে কৃষ্ণচূড়ার বাস,
তোমার হৃদয়ে আমি আছি দেখো ভরে
আমার হৃদয়ে কেবল তোমারই আবাস....