তোমার জন্য..
তোমার জন্য..
আমার শহরে তোমার অবাধ যাতায়াত
তোমার শহরে ছিটেফোঁটা এক আধদিন
যাপন করা আমাদের সব মুহুর্ত রোজ
একলহমায় আকাশ বুকে হয় বিলীন..
তোমার ঘরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকি
নিঃশব্দে উঁকি মারি তোমার মুখে,
তুমি যদি জানতে পারতে কেমন সে সুখ
কেমন করে তাকিয়ে থাকি মন অসুখে..
তোমার কবিতা শব্দ খোঁজে রূপের জন্য
ব্যস্ততম মুহুর্তেও কলম ছোটায়,
আমার আমি পাঁচিল ঘেরা যক্ষপুরী
শব্দ জড়ো করি বুকের বৃষ্টিফোটায়...
আমার কবিতা প্রাণ পায়না সাত বসন্ত
সোনার কাঠি রূপোর কাঠির অদলবদল,
কে করবে, কে আসবে যক্ষপুরী?
কে বাজাবে কাড়ানাকাড়া ধামসা মাদল??
তোমার সব মুহুর্তগুলো জানি বরাদ্দ
আমার জন্য কোত্থাও কোনো সিট খালি নেই,
গর্ত হওয়া হাওয়াই চপ্পল কেবল জানে
সবকিছু ছেড়ে এগোতে হবে সেই আমাকেই..
তবুও জানো কিসের টানে আঁকড়ে ধরি
হয়ত ভাবি পেরোতে পারবে যক্ষ-পাঁচিল,
হয়ত কোথাও কোনো মুখ গভীর হবে
মিলিয়ে যাবে সারি সারি মুখের মিছিল..
তোমার জামার বোতাম সুতোয় লেগে থাকি
তোমার গায়ের গন্ধ আরামের নিঃশ্বাস,
হৃদপিণ্ডের আওয়াজ দুবাহুর ঘেরাটোপ
তোমার অজান্তে কথা বলে সেই ইতিহাস..
তোমার শহরে হয়ত আমি এক আধদিন
তোমার কবিতা অস্তিত্ব চায় অন্য কারও,
তোমার ঘড়ি সময় দেয় অন্য কোথাও
তবুও জানি একমুহুর্ত আছে আমারও..
এমনি করেই অজান্তে সব মুহুর্তরা
আস্তে আস্তে গল্প-শরীর হয়ে ওঠে,
যক্ষপুরীর পাঁচিল আরও কংক্রিট হয়
বৃষ্টিফোটায় মুহুর্মুহু শব্দ ছোটে..
এমনভাবেই আমার শহরে ছড়িয়ে থাকো
আমিও সে মুখ গভীর হওয়ার আশা রাখি,
তেমনভাবেই আগলে রাখি মুহুর্তদের
যেমনভাবে জামার সুতোয় জড়িয়ে থাকি...