স্নিগ্ধজিতা
স্নিগ্ধজিতা
স্নিগ্ধজিতা !
তুমি তো রয়েছ বেশ;
উদ্দাম এলোকেশ ছড়িয়ে,
জলটুকু হয় না নিতে গড়িয়ে।
নিয়ত যে ধূলিঝড়ে ;
চাপা পড়ে,
স্বচ্ছ সবুজ ঘাস ;
নীল জল,
কালো হয় ; ঘন কালো , তোমার কুন্তল,
আলোর বন্যা তারে ;
নাই বা পারে ;
ধুয়ে দিতে, বিস্তীর্ণ নীল সবুজের প্রান্তর,
কোলাহলে ছেয়ে যায় ;
পাখিরাও গেয়ে যায় ;
বিপ্লবের গান,
তা'দের সেই কলতান ;
বিষাদের সুরে,
হয়তো তারাও হয়েছে শহুরে ।
অস্থি মজ্জায় রাজরোগ,
হাসি , কান্না, কাজযোগ,
জীবনটাকে উপভোগ করবারই মত,
স্নিগ্ধজিতা ! ভাবনা তোমার যথেষ্ট সঙ্গত।
বোকা আমি ;
তুমি জানো ; জানেন অন্তর্য্যামী,
পড়ে থাকি ধাপধাড়া গোবিন্দপুরে,
শহর থেকে দূরে - বহুদূরে ;
নিয়নের আলো যেথা পারে না ভাসাতে,
পারে না লোক হাসাতে ;
ধূলিঝড়,
পড়বি পড় ;
সবুজের বিপ্লবী মিছিলে,
হাসিমুখী আকাশের স্বচ্ছতার নীলে।
স্নিগ্ধজিতা ! তুমি আছো বেশ ;
বিজ্ঞাপনে বিজ্ঞানের রেশ ;
কাটেনি তোমার,
আমিও এই আছি বেশ ; সঙ্গি মোর কুমোর কামার,
শরতের কাশবনে ;
আনমনে;
উঁকি দেয় শেয়াল,
ছাগশিশু করে বিচরণ;
তুচ্ছ করি' শ্বাপদের শ্বদন্তের উচ্ছৃঙ্খল খেয়াল,
মাঠে চরে গোরু ; দীঘিজলে রকমারি হাঁস,
গোয়ালে গোয়ালে সাপ সপরিবার করে বসবাস।
ঝোপে ঝাড়ে গাছে গাছে হাওয়া,
পথের মাঝে ঝরাপাতার এমনি আসা যাওয়া,
ভালো লাগে লাউয়ের মাচায়,
ঝিঙে ফুলে যে নাচ নাচায়,
আমার এই বদ্ধ খাঁচায়,খুশি খুশি আবেশ,
স্নিগ্ধজিতা ! যেমন তুমি ; আমি তেমনই,
রয়েছি হেথায় বেশ।