“সঙ্গতার মাঝেও নিঃসঙ্গতা”
“সঙ্গতার মাঝেও নিঃসঙ্গতা”
মাঝারি ধরণের কক্ষ!
দেয়ালে টিউব লাইট; মাথার উপর সিলিং পাখা।
সেই কক্ষে পাশাপাশি তিনটি বিছানা।
কেউ কাউকে না জানলেও দুএকদিনের মাঝে পরিচিত হয়ে যায়।
কেননা প্রত্যেকেই বর্তমানের করোনা রোগী।
তাঁদের কাছে রাত আর দিন সবই সমান।
শুধু ডাক্তার, নার্স, আয়া এলে বোঝা যায় সন্ধ্যা না রাত।
কারোর হাতে স্যালাইন সাথে মুখে লাগানো অক্সিজেন মাস্ক।
কারোর হাতে লাগানো হৃদস্পন্দনের মনিটরিং যন্ত্র।
এই করোনা রোগীদের পাশে নেই তাঁদের কাছের মানুষেরা।
যতদিন থাকে হাসপাতালে;
কাছের মানুষদের সাথে কথা হয় অডিও অথবা ভিডিও কলে।
একাকী জীবনযুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে;
সঙ্গতার মাঝেও নিঃসঙ্গতা ঘিরে ধরে তাঁদের হৃদয়কে।
কিছু কিছু রোগী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে-
হারিয়ে ফেলে জীবনের নতুন একটি দিন দেখবার;
অনুপ্রেরণা আর আত্মবিশ্বাস।
অসুস্থতার সময়েই থাকেনা কাছের মানুষগুলো পাশে;
তাইতো ভাবে আনমনে জীবনের অবসান হলে-
আসবে কি কাছের মানুষগুলো নিতে তাঁদের নিথর দেহ।
এইসব ভেবে সিক্ত হয় তাঁরা অশ্রুজলে।
হে করোনা!
করুনা করে ছাড়ো এইবার মানব দেহ।
মানব শরীরকে করো মুক্ত-
তোমার নানা লক্ষণের দহন থেকে!
ফিরিয়ে দিয়ে প্রত্যেক করোনা রোগীকে;
তাঁদের কাছের মানুষদের কাছে, জাগাও প্রাণের স্পন্দন।
করোনা রোগীদের হোক শুধুই সঙ্গতা-
নয় নিঃসঙ্গতা!