“কফির আড্ডায় হৃদয়খানি”
“কফির আড্ডায় হৃদয়খানি”
গোধূলি বিকেল!
আকাশ ছেয়ে আছে গোধূলির স্নিগ্ধ হলুদ আভায়।
এক কাপ কফি হাতে নিয়ে সাগরিকা;
কানে হেডফোন লাগিয়ে শুনছিল-
“মান্না দে” কণ্ঠে “কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই।“
যিনি কখনো নাকি যায়নি কফি আড্ডায়।
তবে সেই গানের সুরে সাগরিকার হৃদয় গিয়েছে হারিয়ে তাঁর প্রিয়তমের সাথে;
প্রথম সেই কফির আড্ডার স্মৃতিতে; এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো সাগরিকার ঠোঁটে।
তাঁর প্রিয়তম রেখেছিল একটি প্রশ্ন, সেই উত্তর দিতে পারায়-
প্রিয়তম সাগরিকাকে দেয় কফি আড্ডার প্রস্তাব।
কয়েকটি কেদারা আর টেবিল নিয়ে ছিমছাম রেস্টুরেন্ট।
টেবিলটা ছোট; মুখোমুখি বসেছিল দুজন তাঁরা।
সাগরিকা পড়েছিল হালকা নীল রঙের পোশাক আর প্র
িয়তম-
পড়েছিল গাঢ় নীল রঙের গেঞ্জি যা অনেকটা কালো রঙের মতো লাগছিল।
প্রিয়তম তাঁর ফর্সা তাই সেই গেঞ্জিতে খুব সুন্দর লাগছিল।
সাগরিকা গিয়েছিল গোসল করে; চুল থেকে পড়ছিল বারিধারা!
একটু আড়াল আড়াল করে প্রিয়তম দেখছিল তাঁকে।
তাঁর হৃদস্পন্দন দ্রুত সংকোচিত আর প্রসারিত হচ্ছিল!
ভয়ে ভয়ে ছিল এইবুঝি তাঁর প্রিয়তমের পায়ের সাথে লাগে পা।
সাগরিকা কফি হাতে আলতো করে চুমুক দিচ্ছিল লাজুক ঠোঁটে।
পারছিলনা লজ্জায় তাকাতে প্রিয়তমের আঁখির দিকে।
সেই কফি আড্ডায় সাগরিকার হৃদয়খানি-
অজানা অনুভূতির বিন্দু সৃষ্টি করেছিল আজকের এই প্রিয়তমের প্রতি যাকে;
সীমাহীনভাবে পাগলের মতো ভালবাসে আর ভালবাসবে আছে যতক্ষণ এই দেহে নিশ্বাস!