“গ্রাম্য বিনোদনের আসর”
“গ্রাম্য বিনোদনের আসর”
খোলা আকাশ।
পাখির সুমধুর কণ্ঠে উদিত হওয়া প্রভাত বেলা।
যতদূর আঁখি যায় শুধুই বিস্তৃত ধান, পাট আর সর্ষে খেত।
নানারকমের গাছ আছে দাঁড়িয়ে সারি সারি।
মাঠের মাঝে বৃষ্টিতে আর রোদে পুড়ে চাষীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে;
আপন হস্তে ফলান সোনালী ফসল!
কি অপরূপ সোভায় ঘেরা এই গ্রামখানি-
সেইসাথে গ্রামের মেঠোপথ।
সারাদিনের পর গোধূলি লগ্নে সূর্যের পশ্চিমে গমন বিশ্রামের লক্ষ্যে!
শঙ্খ আর আযানের ধ্বনিতে মুখরিত সন্ধ্যাবেলা।
গাঁয়ের মেঠোপথে শুধুই নিরিবিলি আর নিস্তব্দতা।
দরকারের প্রয়োজনে যে রিক্সাগুলো করে চলাচল-
p>
তাদের পেছনে লাগানো হ্যারিকেন।
গাঁয়ের মেঠোপথে যায় দেখা একটি কিংবা দুটি “টং” এর দোকান।
টিনের শেড দেয়া ছোট টং এর দোকানে থাকে ছোট্ট সাদাকালো টিভি!
চ্যানেল বলতে শুধুই “বিটিভি”।
গাঁয়ের পুরুষেরা এসে চলে চায়ের সাথে বিস্কিট আর আড্ডার আসর।
থাকলে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা থাকেনা উদ্দীপনা আর আড্ডার শোরগোল !
রাত তখন হবে হয়তো ১২ টা।
তখনো চলে তাঁদের আড্ডা।
গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর কাছে;
গ্রাম্য বিনোদনের আসর বলতে ছোট্ট “টং” এর দোকান।
এইটুকু বিনোদনের আসর পেয়েই তাঁদের ঠোঁট জুড়ে একরাশ প্রাণোচ্ছল খুশি!