সঙ্গিনী
সঙ্গিনী
গভীর রাতে রেলগাড়ির ছন্দে ঘুম তখন বড্ড ছোঁয়াচে;
সীট গুলো যেন পাতা মেলেছে নীল আভা আলোয়।
পর্দার ফাঁক দিয়ে মাঝে মধ্যে উঁকি ঝুকি হকারের।
ঘুমের তাতে খুব একটা হেরফের হয়না অনিকের।
হঠাৎ একটু বেশি আওয়াজ, আলো ও জ্বলে উঠল
বেশ কবার। খালি সিট টায় নতুন দম্পতি উঠল, বাক্সে
বাক্সে পা রাখা দায়। বিরক্ত অনিক পাশ ফিরে আবার
হারিয়ে যায় সেই মায়াবী ছন্দে।
‘ইস কি যে করো’, ‘সবাই দেখতে পাবে তো’, আতকে
ওঠে বুক। সেই স্বর সেই কথা। সেই কথার মাঝে একটু
ঢোক গিলে নেওয়া। নিজের অজান্তে চোখ খুলে সেই মুখটা
দেখতে চায় অনিক। যাকে তন্নতন্ন খুঁজেছিল নদীর এপার অপার।
রাতের বাতাস চিরে তখন যন্ত্রের অবিশ্বাস্য গতি;
মনের এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয় নিস্পলক এক স্মৃতি।