সিঁথির সিঁদুর
সিঁথির সিঁদুর
সেদিন সিঁথিতে সিঁদুর উঠলো,
গনগনে লাল টুকটুকে!
কত স্বপ্ন ছিল মনে আশা ছিলো বুকে,
মাসখানেক বুঝিনি কিছু,
কেটে গেল নানান রকম রেশে,
কল্পনা আর স্বপ্নের আবেশে।
ধীরে ধীরে সাথি হল নিত্য নতুন অভিজ্ঞতা,
জানলাম বুঝতে শিখলাম তারা কারা,
যারা আছে আপন জনের বেশে।
শুরু হলো দিনের ক্লান্তি ,
আর রাত জাগার গল্প,
চুকেবুকে গেল মনের সব শান্তি,
হৃদয় জুড়ে কেবল অবহেলায় কাটানোর শ্রান্তি।
সুখ হাসি কিছু আর বেঁচে আছে কি নেই!
ফেলি শুধু দীর্ঘশ্বাস!
বিনিদ্র রজনী এপাশ-ওপাশ,
কেটে যায় এক একটা করে দিন বারো মাস।
তাগিদ ছিলনা তার রাখতে মনের খবর,
আমি শুধুই অতিরিক্ত,
যেন অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথির ভার,
প্রথম দিকটায় ঘরের ভেতর,
বিছানা ছেড়ে পায়চারি সারা রাত ভোর,
তারপর কখন নিজের অজান্তে,
কখন যেন পা চলে আসে বারান্দাতে।
ছটফট মন বুক চাপা ব্যথা,
অসহায় আমি বিপন্ন সমূহ বিপদ,
চাপা কান্না আর বোবা কথার ভান্ডার,
যদি কেউ শোনে ভাববে মস্তিষ্ক বিকার।
জানিনা দোষ কি আমার!
দিশেহারা আমি নির্বাক- হতবাক!
বছর ঘুরে এভাবেই,
জানালা খুলে দৃষ্টি চলে যায় চাঁদের পানে,
তাকিয়ে থাকি কল্পনায় ভাসি উদাস মনে।
তাকে মিনতি করে বলি তুই যেন থাকিস,
এইভাবে জীবন সাথী হয়ে আমার সনে।
আবার ফিরে আসি সেই বিছানায়,
জানি সেখানে আমার জন্য শুধুই একরাশ শূন্যতা,
তাদের সাথেই যে আমার বাকি জীবনের সখ্যতা।
এমন করে যদি এক এক করে দিন কেটে যায়,
তবে তাই যাক না মন্দ কি!