শুধু তুমি
শুধু তুমি


প্রথম যেদিন দেখেছি তোমায়, অপরূপ অনুভূতি,
সৌন্দর্য্যের নতুন সংজ্ঞা নিশীথে দীপের ভাতি।
কাজল কালো কেশের কোলে উজল জোছন শশী,
মুখপানে চেয়ে অনুভবে পাওয়া সারা জীবনের খুশি।
মোহময়ী ওই চোখের আড়ে মায়ার স্পষ্ট রেখা,
সাত সুমুদ্দুর পার টি করেও ক্লান্তির নেই দেখা।
অমলিন মুখে স্নিগ্ধ হাসি ওষ্ঠদ্বয়ের কোণে,
রূপের ডালায় মনোবাগিচায় দ্যুতির বিচ্ছুরণে।
দেখা দিয়েছিলে গভীর রাতে নিদ্রা যাবার কালে,
সুখস্বপ্নে মজেছিলো মন তোমার নুপুর তালে।
আঁখিপাতে পাওয়া তোমার শ্রীরূপে, তুষ্টির স্পৃহা থাকে।
প্রসন্ন মনে, হাতের বাঁধনে, ঘিরে
রাখি দয়িতাকে।
যৌনতাহীন স্পর্শে জাগে পুলকিত প্রত্যয়,
সান্নিধ্যের দৃঢ় আলিঙ্গনে নির্ভরতার জয়।
স্বপ্নধারায় এসেছো তুমি আমার মনের দ্বারে,
হৃদয়ের আলো হারাবে না জেনো গহন অন্ধকারে।
পেয়েছি তোমায় লেখনীর মাঝে, কবিতায় রূপ গড়ি,
অনুভূতির প্রকাশ হীনতায় আমি সংকোচে মরি।
ইচ্ছেমতোই বর্ণনা করি তোমার রূপের বাহার,
পূর্ণতা তবু, পায় না যে কভু, বাক্যের সমাহার।
হার মেনেছে ভোরের আকাশ, হার মেনেছে চাঁদ,
তোমার রূপের তুলনা বৃথা, ঘটে যাবে পরমাদ।
স্বপ্ন কিংবা কবিতায় হোক রূপের অভ্যুদয়ে,
ভালোলাগার অনুভবে থাক তৃপ্তি সমন্বয়ে।