শিম্পান্জি ওয়ালা
শিম্পান্জি ওয়ালা
একটা তাকে থাকে থাকে রাখা থাকতো ব্যাগগুলো,
জলের বোতল, আর খুচরো টুকিটাকি কাগজপত্তর।
সাথে একটা হাত পাখা, লুকোনো পকেটে কিছু টাকা,
আর থাকতো, একটা ফোল্ডিং ছাতা।
বেরোতে হলে হতো দেখে নিতে,
ডুপ্লিকেট চাবির গোছাটা আছে কি না সাথে।
চাবির গোছাতে ঝোলানো ছিলো শিম্পান্জি পুতুল,
নরম সরম সেই পুতুল হেসে তাকাতো বেশ টুলটুল।
রান্নার মাঝে একদিন দুপুরে তাকিয়ে দেখি,
জানালার গ্রীলে আটকে আছে একটা ব্যাগ, সে কি !
ব্যাগটার চেনগুলো সব খোলা, ভেতরটা এলোমেলো।
ভালো করে বাইরে চুপি দিয়ে দেখি, এ কেমন হলো?
বাইরে, আরেকটা ব্যাগ আছে মাটিতে পড়ে,
ব্যাগের কাগজপত্র যত মাটিতে গড়াগড়ি করে।
কুড়োতে গিয়ে দেখি ব্যাগের পকেট ফাঁকা,
একটা ফোঁকরে একশো টাকা লুকিয়ে ছিল রাখা,
দেখি সেটা তো তেমনই রাখা আছে,
আমার মুখে হাসি, চোরের খোঁজাটা বৃথা গেছে।
ফিরে এসে ঘরে, রান্না করতে করতে মনে পড়ে,
এ্যাঁ ! কোথায় আমার সেই ডুপ্লিকেট চাবির গোছা?
খোঁজা শুরু করে দিই এসে তখন রান্না বান্না ছেড়ে।
সব ব্যাগ খুলে খুলে আঁতিপাতি করে খুঁজে চলি,
না, না, না সেই শিম্পান্জি ওয়ালা কোত্থাও নেই!
আর কি আমি চোরকে বোকা বলি!
কি আর করি, বর বাড়িতে ফিরলে,
চা খাবার পর ধীরে ধীরে কথাটা বলি।
তখুনি মানুষ টা থানায় ছোটে ডায়েরি করতে____
কিনে নিয়ে ফেরে নতুন তালা চাবি গুলি,
তড়িঘড়ি আমরা সমস্ত বাড়ির তালা বদলে ফেলি।
ভাগ্যিস চাবির কথাটা সেদিন মনে পড়েছিল !
সুযোগ বুঝে চোর, সব ফাঁক করে দিতো তা না হলে।