সেই চোখ
সেই চোখ
যদি কখনো খুঁজে না পাও , যদি সারা পৃথিবীর কোথাও আমায় আর না দেখা যায়,
তবে তোমরা আমাকে খুঁজে দেখো
সেই চোখের ভিতর।
আমার যখন খুব বেশি আঘাত পাই
খুব করে কষ্ট হয়, তখন আমি বাস্তবতা থেকে পালিয়ে গিয়ে ;
আমি সেই চোখের ভিতর ডুবে যাই।
কি সেই স্বপ্নময় মায়াভরা চোখ!
দৃষ্টিতে যেন কঠিন মরুভূমির তপ্ত বালুকাচরের উত্তাপ ,
আবার ক্ষণে ক্ষণে সাগরের বিশালতা ভরা এক অসীম নৈশব্দের গল্প।
হঠাৎ হঠাৎ সেই কালো মেঘের দৃষ্টি , বৃষ্টি হয়ে ঝরে নামে তৃষিত ধরার বুকে;
কখনো বা পাহাড় থেকে ভেসে আসে ঝর্নার মত।
আমি সেই ঝর্নার জলে মন ভেজাই।
সেই এক জোড়া চোখ, আমার নিজস্ব বাসস্থান ।
গোটা পৃথিবী যেদিন তীব্র যন্ত্রনায় আমার বিরোধ করে ,
এই পৃথিবীর সবকিছুই পর ভেবে দূরে ঠেলে দেয়;
আমার তখন একমাত্র আশ্রয় হয় সেই গভীর চোখের তারাতে ,
রাতের আকাশের সবথেকে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতই সেই মায়াবী চোখের মনি।
সেই চোখ!
কি এক বেদনা বিধুর হয়ে, সদ্য যৌবনা তরুণীর,
না হওয়া প্রেমের উপন্যাস হয়ে যায়;
আমি শুধু সেই উপন্যাস পড়ে যাই, পড়েই যাই।
মাঝে মাঝে প্রচণ্ড ব্যথা জাগানো হাহাকার জন্মে তার চোখের গভীরে,
আমি ডুবে যাই সেই গভীরে , ব্যথার রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে;
অথবা আমার সমস্ত আনন্দ মুক্তোর মত খুঁজতে ।

