স্বর্গের কাছাকাছি
স্বর্গের কাছাকাছি
শীত বুঝতে কোনো শীতের দেশে যেতে হবে না,
কখনও সখনো দার্জিলিঙেও তো এত শীত পড়েনা।
দার্জিলিঙে যখন দশ তিব্বতের লাসাতে হয়তো সাত,
রায়গঞ্জ তখন তিব্বতকে বলে "ওরে! আমিও সাত!"
পাহাড় ঘেরা জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে
কেউ শীতকালে এখানে এলে বলে " বাপরে বাপ ! "।
গ্রীষ্ম কালে এখানে লু বয়, একদম টেঁকা যায় না।
দার্জিলিং বা সিকিমে যাই ঠান্ডা খুঁজতে, বেড়াতে না,
তাই তো লাচুং কিংবা ইয়াংথাম গেলেও কষ্ট হয় না।
আর যাই হোক এই রায়গঞ্জ জায়গাটাকে
কক্ষনো কিছুতেই নাতিশীতোষ্ণ বলা যাবে না !
তবু কি জানি কিসের মোহে এখানে থাকতে থাকতে,
কেউ আর নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে চায় না।
আল্পস বা হিমালয়, কাছে গেলে রহস্য আর থাকেনা,
ন্যাড়া পাহাড় দেখতে আমার একটুও ভালো লাগেনা।
বরফে সূর্যের আলো পড়ে সোনালী রূপালী দেখায়,
নদী কোত্থেকে কি করে সৃষ্টি হয়, সবটাই জানা যায়।
ভুসভুসে তুলোর মতো বরফ কে কি আইস বলে না ?
তার আগে চলন্ত গাড়ির সারি কিছুতেই যে দাঁড়ায়না।
ওখানে নাকি বিপদ, সংঘর্ষের ভয়, আছে ওৎ পেতে,
তাই, মন প্রাণ ভরে রাস্তার রঙীন দৃশ্য দেখা হয়না।
গাছে যেন সাদা দাঁড়ি ঝুলে আছে, হাসিও পায়না ?
লাল, হলুদ, গোলাপী, সবুজ পাতারা হাতছানি দেয়,
কথা না বলেও মন দিয়ে ডেকে বলে ওঠে, "দাঁড়া না!"
কোনও কথাই মনোযোগী ড্রাইভারের কানে যায়না।
গাড়ির জানালা দিয়ে স্বর্গীয় সব দৃশ্য সরে সরে যায়,
উপত্যকাতে ইয়াক ও পাহাড়ি ছাগলেরা চড়ে বেড়ায়।
যেন ঐ জায়গায় আছে ওদের অধিকার একচেটিয়া,
এমনকি ঠান্ডায় ওদের মালিকের দেখা পাওয়া দায়।
বারবার মন যেন ঐ স্বর্গের কাছাকাছি যেতে চায়,
শুধুমাত্র মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখবার আশায়।