রামরি
রামরি
মনহারি, সুকুমারি, নার্সিংহোম তো নয় নার্সারি,
তবু আজকাল রাস্তায় এরা দাঁড়িয়ে যে সারি সারি।
দিন কে দিন যতো বাড়ছে মানুষের অসুখ রকমারি,
অথচ এমন নয় যে সবারই আছে ইনকাম উপরি।
নাক সিঁটকোয় লোকে নাম শুনলেই হাসপাতালের,
ব্যবসা উঠছে ফুলে ফেঁপে আজকাল নার্সিংহোমের।
দু মিনিট দূরে দূরে দেখা যায় প্যান্ডেল দুর্গা ঠাকুরের,
পাঁচ দশ মিনিট পরেই পাবে দেখা নার্সিংহোমের।
অথচ ছোটবেলা শুনেছি হসপিটাল ও হেল্থ সেন্টার,
নার্সিংহোমের সাথে কোনো পরিচয় ছিলোনা আমার।
মাসির কোমরের ব্যাথাটা যখন হলো বাড়াবাড়ি,
হাই ফাই ট্রিটমেন্ট হয়ে উঠলো ভীষণ জরুরী !
হাসপাতালে এসবের ব্যবস্থা ছিলো কি না জানা নেই,
ভর্তি করা হলো একমাত্র "রায়গঞ্জ নার্সিংহোম" এই।
আকুপাংচার পদ্ধতিতে সারানো হলো রোগটা,
ডাক্তার রন্জন মজুমদার, করেছিলেন ট্রিটমেন্টটা।
সেই নার্সিংহোমটা অনেকদিন আগেই উঠে গেছে,
এফ.আর.সি.এস. ডাক্তারবাবু শিলিগুড়ি চলে গেছে।
একে একে জীবনদীপ হাত বদলে হয়েছে রেনুকণা,
আছে নিবেদিতা, সুধা, জীবনরেখা, কানে শোনা।
উপশম, মিক্কি-মেঘা, জানিনা আরো আছে কি না!
যোগাযোগ রাখে রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনা, মনা।
কলকাতার আমরির মতো এখানে আছে এক রামরি,
তবে এটা হয়তো নার্সিংহোমের মতো হলেও তা নয়,
আপাতত শুধুই ক্লিনিক, এখানে রুগী দেখানো হয়।
বেশীরভাগ রুগীই আসে গ্রাম,গন্জ, দূর দূরান্ত থেকে,
এখানে আসার পর ঠেকতে ঠেকতে অনেক শেখে।
তারপর ব্যঙ্গালোর বা অন্য কোথাও রুগী নিয়ে যায়,
ওখানেও হয়তো রোগীর নানারকম পরীক্ষা করায়।
কেউ কেউ হয়তো অপারেশন বা ওষুধে সেরেও যায়,
কাউকে বলে, "বড় দেরী করে ফেলেছো ভাই,
এখন যে আমাদের আর কিছুই করার নাই !"
কিছু ওষুধ দিচ্ছি লিখে, বাড়ি নিয়ে গিয়ে যাও,
ভগবানকে ডাকো, রুগী যা খেতে চায় খাওয়াও।